ফরিদপুরে বাস খাদে পড়ে নিহত ৬, আহত ৩০
Published: 8th, April 2025 GMT
ফরিদপুরের বাখুন্ডায় একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে ফরিদপুর-বরিশাল মহাসড়কের জোবায়দা-করিম জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ফরিদপুর থেকে মাদারীপুরগামী একটি বাস বাখুন্ডা জোবায়দা-করিম জুটমিলের পাশে খাদে পড়ে গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
নিহতদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুইজন নারী বলে জানিয়েছেন ওসি।
স্থানীয়রা জানায়, টেকেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুরগামী হাইডেক্স নামের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার খাদে পড়ে। স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা উদ্ধার কাজ চালায়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনা কবলিত বাসটি আরেকটি বাসকে ওভারটেক করতে গিয়ে রাস্তার পাশে বিদ্যুতের খুঁটিতে ধাক্কা লেগে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করেন তারা।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসে ৪০ জনের মতো যাত্রী ছিলো। এতে প্রায় সবাই আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন হয় ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।