ফরিদপুরে বাস উল্টে খাদে, নিহত বেড়ে ৭
Published: 8th, April 2025 GMT
ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে সাত জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। যাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বেলা ১১টায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাখুন্ডা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান জানান, ধারণা করা হচ্ছে, দ্রুত গতির কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে। প্রাথমিকভাবে ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও হাসপাতালে নেওয়ার পর আরো দুই জন মারা যান।
ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা.
এদিকে, ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান মোল্লা নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন এবং নিহতের প্রত্যেক পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন। এছাড়া, এই দুর্ঘটনার কারণ জানতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঢাকা/তামিম/ইভা
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।