মালাইকার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
Published: 8th, April 2025 GMT
আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় বলিউড অভিনেত্রী মালাইকা অরোরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন মুম্বাইয়ের ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ২০১২ সালের একটি মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হলেও তিনি তা এড়িয়ে যান তিনি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মুম্বাইয়ের কোলাবা এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে এনআরআই শিল্পপতি ইকবাল শর্মার উপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার রাতে কোলাবার পাঁচ তারকা হোটেলে সাইফ আলি খান ও বাকিদের সঙ্গেই ছিলেন মালাইকা অরোরা। ঘটনা ঘটে তাঁর চোখের সামনেই। ফলে প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে মালাইকাকে আদালতে হাজিরা দিতে বলা হয়।
২০১৪ সালে এই ঘটনা একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয় সাইফ আলি খান, শাকিল লাদাখ এবং বিলাল আমরোহির বিরুদ্ধে। ২০১৭ সালে ইচ্ছাকৃত আঘাত করার অভিযোগে মামলা হয় সাইফ আলি খানের বিরুদ্ধে। পরে সেশন আদালতের দ্বারস্থ হন সাইফ আলি খান। তবে ২০১৯ সালের তাঁর মামলাটি খারিজ হয়ে যায়।
এরপর ২০২৩ সালে সাইফ আলি খানকে বেকসুর খালাস করে আদালত। তবে বিচার শেষ হওয়ার আগে এবং বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায়দানের পূর্বে বিশেষ নজর রয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ানের উপর। সেই কারণেই তলব করা হয় মালাইকা অরোরাকে।
জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ মালাইকা অরোরার বোন ও অভিনেত্রী অমৃতা অরোরা লাদাখ তৃতীয় প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, সাইফকেই উল্টো মারধর করেন এনআরআই শিল্পপতি। এবার মালাইকা আদালতে কী জানান, সেটাই দেখার। সূত্র: এই সময়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।