ছবির দৃশ্য বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন তথ্য খুঁজে দেবে গুগলের সার্চভিত্তিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট ‘এআই মোড’। নতুন এই সুবিধা চালুর ফলে ব্যবহারকারীরা এখন সরাসরি ছবি তুলে বা আপলোড করে ছবিতে থাকা বিভিন্ন পণ্যের বিস্তারিত ও প্রাসঙ্গিক তথ্য জানতে পারবেন। অর্থাৎ ব্যবহারকারীরা সহজেই ছবিতে থাকা বইয়ের নাম জানার পাশাপাশি একই বিষয়ের বিভিন্ন বইয়ের নাম জানতে পারবেন।

গুগল জানিয়েছে, ছবিতে থাকা বিভিন্ন তথ্য দ্রুত জানার সুযোগ দিতে এআই মোডে জেমিনি এআই মডেল এবং ছবি শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ‘গুগল লেন্স’ যুক্ত করা হয়েছে। এই দুটি প্রযুক্তির মাধ্যমে মাল্টিমোডাল সার্চ সুবিধা চালু করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের আরও উন্নত ও প্রাসঙ্গিক অনুসন্ধান অভিজ্ঞতা দেবে। স্মার্টফোনে থাকা গুগল অ্যাপের মাধ্যমেই সুবিধাটি ব্যবহার করা যাবে। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে এ সুবিধা চালু করা হলেও পর্যায়ক্রমে সব ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

গুগলের সার্চ বিভাগের পণ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট রবি স্টেইন বলেন, ‘ভিজ্যুয়াল সার্চ নিয়ে আমরা অনেক বছর ধরে কাজ করছি। এআই মোড সেই অভিজ্ঞতারই পরবর্তী ধাপ। মাল্টিমোডাল ক্ষমতার কারণে এখন একটি ছবি বিশ্লেষণ করে তার পূর্ণাঙ্গ অর্থ অনুধাবন করতে পারে এআই মোড। ছবিতে থাকা পণ্যের গঠন, রং, উপাদান, পারস্পরিক বিন্যাস সবকিছু বিশ্লেষণ করে এআই মোড তথ্য জানাতে পারে।’

গুগল জানিয়েছে, মাল্টিমোডাল এআই মোড ‘ফ্যান-আউট’ নামের একটি পদ্ধতি ব্যবহার করে। এই পদ্ধতিতে একটি ছবিতে যেসব পণ্য বা উপাদান রয়েছে, সেগুলোর আলাদা অনুসন্ধান চালানো হয়। এর ফলে সহজেই ছবিতে থাকা বিভিন্ন পণ্যের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করাসহ প্রাসঙ্গিক উত্তর জানা যায়।
সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: এআই ম ড ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সন্দেহভাজন নীরব মোদির সহযোগী চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার

ভারতের পলাতক জুয়েলারি ব্যবসায়ী মেহুল চোকসি বেলজিয়ামে গ্রেপ্তার হয়েছেন। ভারতের অন্যতম বড় ব্যাংক জালিয়াতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য প্রকাশ্যে আসার সাত বছর পর তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো। আজ সোমবার তাঁর আইনজীবী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, তিনি মুক্তি পেতে আদালতে আপিল করবেন।

ভারতের এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, ভারত সরকার চোকসিকে গ্রেপ্তারের আগেই তাঁকে প্রত্যর্পণের জন্য বেলজিয়াম সরকারের কাছে অনুরোধ পাঠিয়েছিল।

সম্পদের দিক থেকে ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক (পিএনবি)। ২০১৮ সালে এই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, মুম্বাইয়ের একটি শাখা থেকে প্রতারণার মাধ্যমে চোকসি ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার হাতিয়ে নিয়েছেন বলে তথ্যপ্রমাণ পাওয়া গেছে।

ব্যাংকটি ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে একটি ফৌজদারি অভিযোগ জমা দিয়েছে। অভিযোগে ধনকুবের জুয়েলারি ব্যবসায়ী নীরব মোদি এবং তাঁর চাচা ও গীতাঞ্জলি জেমসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহুল চোকসিসহ বেশ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁরা পিএনবির সঙ্গে প্রতারণা করেছেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় পুলিশ চোকসি, নীরব মোদি এবং অন্যান্যের বিরুদ্ধে প্রতারণামূলক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে। এসব লেনদেনে পিএনবির বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এই দুই হীরা কারবারি তাঁদের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ২০১৮ সালে চোকসি এক চিঠিতে বলেন, আগাম একটি ধারণা নিয়ে সংস্থাগুলো তদন্ত করছে এবং এর মাধ্যমে তারা বিচারপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করছে।

চোকসির আইনজীবী বিজয় আগরওয়াল আজ সোমবার রয়টার্সকে বলেন, তাঁর মক্কেল ক্যানসারের চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাঁর পালিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি নেই—এই কারণ দেখিয়ে তাঁর মুক্তির জন্য আপিল করা হবে। তিনিও আরও বলেন, চোকসি বেলজিয়ামে কোনো অপরাধ করেননি।

নীরব মোদির বিরুদ্ধে পিএনবির মামলার বিস্তারিত প্রকাশ্যে আসার আগেই তিনি ২০১৮ সালের ভারত থেকে পালিয়ে যান। তিনিও ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যে গ্রেপ্তার হন এবং এখনো তিনি সেখানে আটক আছেন। যদিও এর মধ্যে তিনি একবার প্রত্যর্পণের আপিলে হেরেছেন।

মোদি বেলজিয়ামের হীরা প্রক্রিয়করণ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত আন্তওয়ার্পেনে বড় হয়েছেন। অর্থ কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ্যে আসার আগে থেকেই চোকসি নিয়মিত ওই শহরে যাতায়াত করতেন।

মুম্বাইয়ের হীরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চোকসির আশ্রয় নেওয়ার আদর্শ জায়গা হতে পারত আন্তওয়ার্পেন। কারণ, তিনি সেখানে অনেককে চেনেন এবং সেখানে যাঁরা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, এমন অনেকের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ