নববর্ষ সামনে রেখে নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
Published: 8th, April 2025 GMT
আসন্ন বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, এ বছর ব্যাপকভাবে বাংলা নববর্ষ পালন হবে। ফলে বিষয়টি সামনে রেখে এবার নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন সেসব করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের আট মাসে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আপনি কতটা সন্তুষ্ট এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আপনারা যতটুকু সন্তুষ্ট আমিও ততটুকু সন্তুষ্ট।
বাটাসহ বিভিন্ন বিদেশি কোম্পানির শপে ভাঙচুর হয়েছে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে। এসব শপের সামনে নিরাপত্তা বাড়ানো হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, সারাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমার দায়িত্ব। যারা এসব ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রার নাম ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ হবে কিনা এনিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিবে। সেখান থেকেই ১০ তারিখে সিদ্ধান্ত হবে। তবে নাম পরিবর্তন নিয়ে আজকে আলোচনা হয়নি। যেহেতু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এটা আয়োজন করে সেহেতু তারাই এ বিষয় সিদ্ধান্ত নিবে।
এবারের উৎসবে প্রচুর জনসমাগম হবে। বিভিন্ন জায়গাতে মেলাও হচ্ছে। বাঙালি ছাড়াও ২৬টি জাতিগোষ্ঠী এতে অংশগ্রহণ করবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ল নববর ষ স বর ষ ট র র উপদ ষ ট নববর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ছড়া কবিতা
খোরশেদ আলম নয়ন
প্রিয় বৈশাখ
শুকনো পাতায় ছাওয়া-আমাদের ঘর
এই গড়ে-এই ভাঙে-বৈশাখী ঝড়
মেঘনার কালো জল ঢেউ ওঠে কূলে
ঘাটে বাঁধা ডিঙি নাও কেঁপে ওঠে দুলে।
আমের বনের ছায়ে-জাগে কোলাহল
হঠাৎ বৃষ্টি এসে এক হাঁটু জল
বৈশাখে ছিলো ঝড়-বোশেখ মেলা
ছিলো আরো দুরন্ত কিশোর বেলা।
দিদির আঁচলে ঘেরা-নিবিড় মায়া
ছিলো মেঘনার তীর-বটের ছায়া,
ভাটির দেশের নাও-মাটির পুতুল
বারোয়ারি মেলা জুড়ে-কাগজের ফুল।
হাতের রঙিন চুড়ি-পায়ের নূপুর
‘বউ কথা কও’ ডাকা উদাস দুপুর
বোশেখ দিনের সেই-স্বপ্নমধুর-
মেলায় কেনা বাঁশি-খুঁজে আজো সুর।
নাগরদোলায় দোলা-স্বপ্নিল দিন
ছিলো চির মধুময় স্মৃতি অমলিন।
সবুজ প্রান্ত ছুঁয়ে যতো দূর যাই
শ্যামল এ বাংলার রূপ খুঁজে পাই।
পুরাতন গ্লানি মুছে-নতুনের ডাক
নিয়ে আসে বার বার প্রিয় বৈশাখ।
উৎপলকান্তি বড়ুয়া
বোশেখের পয়লা
রাত শেষে ভোর হলো
জেগে ওঠো সকলে
আসলের মাঝে ঠাঁই
পাবে না তো নকলে।
দীদা হেসে কাছে আসে
মুখে সুর শোলক
তাক ডুম তাক বাজে
নতুনের ঢোলক।
পাক ঘরে মা রাঁধেন
কী স্বাদের পাঁচন!
চিড়া মুড়ি নাড়ু ক্ষির
আনন্দ নাচন।
মুছে যাক ঘুচে যাক
যত ভুল ময়লা
নব রূপে এলো আজ
বোশেখের পয়লা।
আলমগীর কবির
ঝিলমিল ঘুড়ি
বোন চায় মেলা থেকে
লাল নীল চুড়ি
ভাই বলে কিনে দাও
ঝিলমিল ঘুড়ি।
কাগজের ফুল আর
রাঙা বাঁশি কিনি
বোনের জন্য মুখে
মিঠা হাসি কিনি!
সারা মেলা ঘুরে ঘুরে
ফিরি হাতে নিয়ে
মিঠাই শখের হাঁড়ি
খুশি সাথে নিয়ে!
বটতলা জমে গেছে
বৈশাখী মেলা
আনন্দ সুরে যায়
কেটে বাকি মেলা!
মোকাদ্দেস-এ-রাব্বী
নববর্ষের আনন্দে
রঙ লেগেছে চারিদিকে
সাজাও রঙের ডালা
ঢোল-তবলা বাজাও সবাই
আজকে খুশির পালা।
ঝুন ঝুন শব্দ তুলে
ঝুমঝুমিটা বাজছে
শব্দ শুনে খোকাখুকি
হেলে দুলে নাঁচছে।
টম টম শব্দ করে
চলছেরে টম গাড়ি
উৎসবের আনন্দ আজ
সবার বাড়ি বাড়ি।
এই আনন্দ ঘরে ঘরে
চলুক বছর জুড়ে
নববর্ষের গানে থাকুক
দুঃখ অনেক দূরে!
আবেদীন জনী
বাজায় বাঁশি
বোশেখ এলো রোদ ছড়ালো
হলদে রোদের ডানা
বোশেখ যেন স্বপ্ন আঁকার
রংতুলি একখানা।
কালি-ধুলো দুঃখগুলো
যায় বাতাসে উড়ে
বোশেখ যেন বাজায় বাঁশি
নতুন ছন্দ-সুরে।
বোশেখ এলো রং ছড়ালো
পড়লো মেলার ধুম
মনটা খুকির প্রজাপতি
দুই চোখে নেই ঘুম।
মেলা থেকে কিনবে খুকি
খেলনা রাশি রাশি
শখের হাঁড়ি, ঘোড়ার গাড়ি
পুতুল-বেলুন-বাঁশি।