ফরিদপুর শহরে বহুতল মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় আগুন
Published: 8th, April 2025 GMT
ফরিদপুর শহরের একটি মার্কেটের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে শহরের আলীমুজ্জামান বেইলি সেতুর পূর্বপাড়ে অবস্থিত তিনতলা ভবনবিশিষ্ট রূপসা সুপারমার্কেটের দ্বিতীয় তলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং একটি অ্যাডভাইজার দল সকাল সোয়া ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ‘রেমন্ড শপ’ নামের একটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অবস্থিত। এটিই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে মালিক সুমন মুন্সি দাবি করেন, দোকানটির অন্তত সাড়ে তিন কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
এ ছাড়া ভবনটির নিচতলায় আছে ৯টি ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং তিনতলায় প্রগতি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের কার্যালয়। রেমন্ড শপে আগুন নেভানোর সময় পানি ব্যবহার করায় ফরিদপুর পার্টস হাউস ও সাকিব টেলিকম নামের দুটি দোকানে মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকাল আনুমানিক সোয়া সাতটার দিকে এক পথচারী মার্কেটটির দোতলা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। পরে জেলার ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এসির পাশের একটি ডিভাইস থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট হয়ে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-ছেলেসহ তিন খুনের দায় স্বীকার, ১০ দিনের রিমান্ড
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সিদ্ধিরগঞ্জে তিন খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. ইয়াসিন পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দায় স্বীকার করেছে। শনিবার বিকেলে তাকে তোলা হয় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম বেলায়েত হোসেনের আদালতে। সেখানে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। শুনানি শেষে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান।
শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিমপাড়া এলাকায় ময়লার স্তূপ খুঁড়ে ইয়াসিনের স্ত্রী লামিয়া আক্তার (২২), চার বছরের ছেলে আব্দুল্লাহ ওরফে রাফসান লাবিব ও লামিয়ার বড় বোন স্বপ্না আক্তারের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকেই এলাকাবাসী ইয়াসিনকে (২৪) ধরে পুলিশে দেন। সে মিজমিজি দক্ষিণপাড়ার মো. দুলালের ছেলে। আগে ইয়াসিন ব্যাটারিচালিত রিকশা চালাত। পুলিশ জানিয়েছে, ছিঁচকে চোর ও মাদকাসক্ত হিসেবেও পরিচিত সে।
শুক্রবার রাতেই লামিয়ার মেজো বোন মুনমুন আক্তার বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে ইয়াসিন ছাড়াও তার বাবা মো. দুলাল (৫০) ও বোন মোসা. শিমুকে (২৭) আসামি করা হয়েছে। মুনমুন জানিয়েছেন, লামিয়া সিদ্ধিরগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে ইয়াসিনের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বড় বোন স্বপ্নাও লামিয়ার সঙ্গে পশ্চিমপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকতেন। ৭ এপ্রিল দুপুরে ওই বাসায় বোনদের সঙ্গে তাঁর সর্বশেষ কথা হয়। এর পর থেকে তাদের মুঠোফোনটি বন্ধ ছিল।
মামলায় মুনমুন উল্লেখ করেছেন, মাদকাসক্ত ইয়াসিন কোনো কাজ করত না। প্রায় সময় টাকার জন্য লামিয়াকে মারধর করত ও হত্যার হুমকি দিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ইয়াসিন হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।