স্পট মার্কেট থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন
Published: 8th, April 2025 GMT
স্পট মার্কেট (খোলা বাজার) থেকে দুই কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত দুইটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।
এ দুই কার্গো এলএনজি আসবে সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান থেকে। বৈঠক সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরের ভাইটাল এশিয়া প্রাইভেট থেকে এক কার্গো এলএনজি কেনা হবে। এতে ব্যয় হবে ৫৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্যভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টোটাল ইঞ্জিনিয়ার গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে কেনা হবে আরেক কার্গো এলএনজি। এতে ব্যয় হবে ৬০৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য: ভারতীয় নাগরিক ও তাঁর চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ভারতীয় ব্যবসায়ী ও তাঁর মালিকানাধীন চার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের অপরিশোধিত তেল ও পেট্রোলিয়াম পণ্যের বাণিজ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দপ্তরের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ–সংক্রান্ত কার্যালয়ের (ওএফএসি) তথ্য অনুসারে, ভারতীয় নাগরিক জুগবিন্দর সিং ব্রার একাধিক শিপিং কোম্পানির মালিক। এসব কোম্পানিতে সব মিলে প্রায় ৩০টি জাহাজ আছে। এর অনেকগুলোই ইরানের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ব্রারের পাশাপাশি তাঁর মালিকানাধীন যে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো, ভারতভিত্তিক গ্লোবাল ট্যাংকার্স, বিঅ্যান্ডপি সলিউশনস এবং আরব আমিরাতভিত্তিক প্রাইম ট্যাংকার্স ও গ্লোরি ইন্টারন্যাশনাল। ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে’ ট্রাম্প প্রশাসনের চলমান পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এমন চাপ প্রয়োগের অংশ হিসেবে তিন মাসের কম সময়ের মধ্যে ইরানি স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পাঁচ দফায় নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
ইরানের তেল–বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচারণা শুরুর আগেও কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যেমন গত অক্টোবরে ভারতভিত্তিক গাব্বারো শিপ সার্ভিসেসকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, রাশিয়ার আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে এলএনজি পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিবন্ধিত তিন শিপিং সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রকল্পটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, গত ফেব্রুয়ারিতে ওএফএসি ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বিভিন্ন দেশের ৩০–এর বেশি ব্যক্তি ও বিভিন্ন জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে ভারতভিত্তিক চারটি প্রতিষ্ঠান আছে। গত মার্চে ইরান থেকে বিপুল পরিমাণে তেল কেনা ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভিযোগে একটি চীনা শোধনাগারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে ২০১৮ সাল থেকে বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে আছে শোধনাগারটি।
ওএফএসি বলছে, ব্রারের যে চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেগুলোর মালিকানাধীন জাহাজ দিয়ে ইরানের তেল বহন করা হতো। ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানি (এনআইওসি) ও ইরানি সেনাবাহিনীর হয়ে তেল আনা নেওয়ার কাজ করত এগুলো।
ইরানের তেল–বাণিজ্যের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রচারণা শুরুর আগেও কয়েকটি ভারতীয় কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। যেমন গত অক্টোবরে ভারতভিত্তিক গাব্বারো শিপ সার্ভিসেসকে ইরানি তেল পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে, রাশিয়ার আর্কটিক এলএনজি ২ প্রকল্প থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পরিবহনে জড়িত থাকার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের নিবন্ধিত তিনটি শিপিং সংস্থাকে নিষেধাজ্ঞা দেয়। প্রকল্পটি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছে।