Risingbd:
2025-04-13@09:13:02 GMT

বান্দরবানে ৯ জনকে অপহরণ

Published: 8th, April 2025 GMT

বান্দরবানে ৯ জনকে অপহরণ

বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউনিয়নের দুর্গম লুলাইন এলাকা থেকে তামাকক্ষেতের দুই মালিক ও সাত শ্রমিককে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (৮ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে তাদেরকে অপহরণ করা হয়। অপহৃতদের মধ্যে তামাকক্ষেতের দুই মালিক হলেন— চকোরিয়ার সুরেজপুর এলাকার মো. ভুট্টু ও লামার লুলাইন এলাকার বাসিন্দা আবু তাহের। সাত শ্রমিকের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তামাকক্ষেতের মালিক ও শ্রমিকরা কাজ শেষে খামার ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে তাদেরকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ওই এলাকায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক নেই। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি জানাজানি হয়। এ ঘটনার পর স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন বলেছেন, অপহৃতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালাচ্ছে।

বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) আবদুল করিম বলেছেন, গত রাত ৩টার দিকে ৯ জনকে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। তাদের মধ্যে দুই জন তামাকক্ষেতের মালিক এবং বাকিরা শ্রমিক। তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান চলছে।

ঢাকা/চাইমং/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মডেল মেঘনা আলম কেন নিরাপত্তা হেফাজতে, জানাল পুলিশ

মডেল মেঘনা আলমকে অপহরণের যে অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি)। তাঁকে গ্রেপ্তার ও নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা হেফাজতে নেওয়ার কারণ জানিয়ে শুক্রবার গণমাধ্যমে একটি বার্তা পাঠিয়েছে ডিএমপি।

এতে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত করা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সম্পর্ক মিথ্যাচার ছড়ানোর মাধ্যমে আন্তঃরাষ্ট্রীয় সম্পর্ক অবনতির অপচেষ্টা এবং দেশকে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মেঘনা আলমকে সকল আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তাঁকে অপহরণ করার অভিযোগ সঠিক নয়। আইনের আশ্রয় নেওয়ার অধিকার তাঁর রয়েছে।

বুধবার সন্ধ্যায় ফেসবুকে মেঘনা আলমের লাইভ চলার মধ্যেই তাঁর অভিযোগ অনুযায়ী বাসার ‘দরজা ভেঙে’ পুলিশ পরিচয়ধারীরা ভেতরে প্রবেশের পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়। ১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা লাইভটি এরপর ডিলিটও হয়ে যায়। ওই দিন রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বাসা থেকে তাঁকে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়। মিস আর্থ বাংলাদেশ-২০২০ বিজয়ী এ মডেলকে ডিটেনশন আইনে ৩০ দিনের জন্য কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার রাতে শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এ আদেশ দেন। শুক্রবার আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিটেনশন আইনে সরকার কোনো ব্যক্তিকে আদালতের আনুষ্ঠানিক বিচার ছাড়াই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আটক বা বন্দি করতে পারে। এ ধরনের আইন সাধারণত জননিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে প্রয়োগ করা হয়। আদালত সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১০টায় মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করে ডিবি পুলিশ। পরে ডিবি পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আদালতের আদেশের বরাতে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২ (এফ) ধারায় জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত করার জন্য এবং আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, বিশেষ ক্ষমতা আইনের ৩(১) ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে মেঘনা আলমকে কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আটকাদেশ স্বাক্ষরের দিন থেকে ৩০ দিন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক রাখার আদেশ দেওয়া হয়। পরে তাঁকে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়। 

তাকে আটকের বিষয়ে ভাটারা থানার একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বুধবার মেঘনা আলমকে আটকের জন্য বসুন্ধরা এলাকায় এসেছিলেন। সঙ্গে ভাটারা থানার পুলিশ সদস্যরাও ছিলেন। প্রথমে তিনি দরজা খুলতে চাননি। পরে তাকে আটক করে মিন্টো রোডে নিয়ে যাওয়া হয়।

মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলা করায় পরিবারকে হুমকি
  • মডেল মেঘনা আলম কেন নিরাপত্তা হেফাজতে, জানাল পুলিশ
  • মেঘনা আলমকে অপহরণের অভিযোগ সঠিক নয়: পুলিশ