একটা সময় ছিল যখন বড় ভাই নাঈম উদ্দিন খেলা শেষ করে বাসায় ফেরার পর ছোট ভাই আবেদ উদ্দিন স্টিকটা নিয়ে জানতে চাইতেন কীভাবে গোল করতে হয়, কীভাবে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল দখলে নিতে হয়। বেশির ভাগ সময় ছোট ভাইকে হকি নিয়ে ধারণা দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন নাঈমও। তবে মাঝেমধ্যে বিরক্ত হয়ে বলতেন, ‘তুই এত কিছু বুঝতে চাস কেন! সময় হলেই সব বুঝবি।’

এবার বোধ হয় সেই সময়টাই হয়েছে আবেদের। গত পরশু এশিয়ান হকি ফেডারেশন (এএইচএফ) কাপের জন্য চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ হকি ফেডারেশন। আর এই দল এক করেছে দুই সহোদর নাঈম আর আবেদকে। নাঈমের সঙ্গে এবার আবেদও প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়েছেন জাতীয় দলে।

আরও পড়ুনপ্রথমবার হকির জাতীয় দলে আবেদ-ওবায়দুল০৬ এপ্রিল ২০২৫

নাঈম-আবেদদের পুরো পরিবারই হকি পরিবার। মোহামেডানের পাঁড় ভক্ত বাবা মোহাম্মদ মোস্তফার স্কুলজীবন থেকেই হকির প্রতি বাড়তি টান ছিল। নিজের মনের মধ্যে থাকা স্বপ্নটা পরে ছড়িয়ে দিয়েছেন ছেলেদের মধ্যে। বড় ছেলে আফসার উদ্দিনও অনেকটা দূর এগিয়ে শেষমেশ জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতে পারেননি। সেই পথ ধরে ২০১৭ সালে প্রথম জাতীয় দলে নাম লেখান আরেক ছেলে নাঈম। তাঁর সাত বছর পর এবার আবেদেরও স্বপ্ন পূরণ হলো। পুরান ঢাকার আরমানিটোলা তারা মসজিদসংলগ্ন এলাকা থেকে উঠে আসা নাঈম-আবেদ এখন মোস্তফা পরিবারের বড় গর্ব।

হকি পরিবারে বড় হয়েছেন নাঈম ও আবেদ.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ত য় দল পর ব র

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাক্সওয়েল আর কত টাকা নষ্ট করবেন

০, ১, ০, ৪, ১৬, ০, ০, ৩০, ১, ৩...

আইপিএলে সর্বশেষ ১০ ইনিংসে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের পারফরম্যান্স এমন। সর্বশেষ ফিফটি করেছেন আরও ৫ ইনিংস আগে। এই ১৫ ইনিংসের মধ্যে তাঁর সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ৩০।

কী বুঝলেন! হ্যাঁ, নামটা ম্যাক্সওয়েল বলেই এরপরও আইপিএলে খেলছেন। সেটিও প্রায় প্রতি ম্যাচে। দলগুলোও কোটি কোটি রুপি খরচ করছে। তবে পারফরম্যান্সের দিকে চোখ দিলে বলতে হচ্ছে, দলগুলোর কোটি কোটি রুপি উসুল হচ্ছে না!

এবার ম্যাক্সওয়েল খেলছেন পাঞ্জাব কিংসের হয়ে। ৪ ইনিংস ব্যাটিং করে রান করেছেন মাত্র ৩৪। ৪ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে কেনা এই ক্রিকেটারকে নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তবে ম্যাক্সওয়েলকে কিনে কিছুটা লাভ এই পাঞ্জাবই করতে পেরেছিল। সেটি অবশ্য ১১ বছর আগের কথা।

৫৫২ রান২০১৪ সালের আইপিএলে ম্যাক্সওয়েলের পারফরম্যান্স

২০১৪ সালের আইপিএলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের (বর্তমানে পাঞ্জাব কিংস) হয়ে ১৮৭ স্ট্রাইক রেটে ৫৫২ রান করেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান। এই পাঞ্জাবকে প্রথমবার তুলেছিলেন ফাইনালে।

সেবার ম্যাক্সওয়েলকে ৬ কোটি রুপিতে কিনেছিল তাঁরা। এমন একটি মৌসুম কাটিয়ে পরের দুই মৌসুমের একটিতেও পাঞ্জাবের হয়ে ২০০ রানও করতে পারেননি তিনি। ২০১৭ সালে করেছিলেন মাত্র ৩১০ রান। হতাশ হয়ে তাঁকে ছেড়ে দেয় দলটি।

এরপর ম্যাক্সওয়েলকে দলে পেতে ৯ কোটি রুপি খরচ করে দিল্লি। ৯ কোটি খরচ করে ম্যাক্সওয়েলের কাছে দলটি পায় মাত্র ১৬৯ রান। এই দিল্লির হয়েই ২০১২ সালে আইপিএলে প্রথমবার খেলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। তাঁকে কিনেছিল ৬ কোটি রুপিতে।

ব্যর্থ হলেও প্রতি ম্যাচে খেলছেন ম্যাক্সওয়েল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রথমবার সরকারপ্রধানের রাষ্ট্রীয় সফরসঙ্গী হচ্ছেন নারী ক্রীড়াবিদরা
  • প্রথমবারের মতো তৈরি হলো মস্তিষ্কের থ্রিডি মানচিত্র
  • ‘সংযোগ’ বদলে দিয়েছে মাতৃত্বের প্রথম অভিজ্ঞতা
  • দেশে প্রথমবারের মতো বিরল রোগ এসএমএ`র ক্লিনিক্যাল টেস্ট সম্পন্ন
  • ম্যাক্সওয়েল আর কত টাকা নষ্ট করবেন