হৃদরোগজনিত সমস্যার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরলেও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে অবশেষে সিঙ্গাপুরে পাড়ি জমিয়েছেন দেশের অভিজ্ঞ ওপেনার ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন।

গত ২৮ মার্চ রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তামিম। চিকিৎসকদের পরামর্শে তখনই জানানো হয়েছিল, ঝুঁকিমুক্ত হলেও তার আরো উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। সে ধারাবাহিকতায় এবার তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হলো। যদিও তিনি কোন হাসপাতালে ভর্তি হবেন, তা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি।

উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ বিকেএসপিতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলার প্রস্তুতির সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। প্রাথমিকভাবে তাকে স্থানীয় কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত একটি এনজিওগ্রামের মাধ্যমে ধরা পড়ে তার এক শিরায় শতভাগ ব্লক। তাৎক্ষণিকভাবে সেই ব্লক করা রক্তনালীতে স্টেন্ট পরানো হয়।  

পরবর্তীতে অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং কয়েকদিন সেখানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠায় এবার সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছে আরো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দুদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনে চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে ঘুড়ি উড়ানো প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী।

তিনি বলেন, “ঘুড়ি উৎসব উদযাপন আবহমান গ্রামীণ বাংলার একটি ঐহিত্য। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো চৈত্র সংক্রান্তিতে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।”

তিনি আরো বলেন, “এ উৎসবের মাধ্যমে সেই শৈশবে ফিরে গেছি। যখন এক টাকায় একটি রঙিন ঘুড়ি কিনতাম। একজন আরেকজনের ঘুড়ি কেটে দিতাম। এখন এই নীল আকাশে বেগুনি নীল সাদা রঙের ঘুড়ি উড়ছে, যেন মনে হয় এটা একটি ঘুড়ি নয়; একেকটা স্বপ্ন, আশা-আকাঙ্ক্ষা। এসব উদ্যোগ দেখে মনে হচ্ছে এটা বাঙালির ঐতিহ্য। আজকের দিনটি আমার বারবার মনে থাকবে।”

পহেলা বৈশাখ নিয়ে উপাচার্য বলেন, “পহেলা বৈশাখে বর্ণাঢ্য বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে বাঙালি সমাজের সংস্কৃতি তথা উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি তুলে ধরা হবে। এছাড়া ২২টি বিভাগের আয়োজনে বৈশাখী মেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”

ঘুড়ি উৎসবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ