জুড বেলিংহামের সঙ্গে সাকা বুকাওর সম্পর্কটা সেই বয়সভিত্তিক দল থেকে। তারা ইংল্যান্ডের অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেছেন একসঙ্গে। এই সেদিনও বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে গিয়ে একই লকার রুমে ছিলেন। সেখানে দুই বন্ধুর কথা হয়েছে আজকের ম্যাচ নিয়ে। আর্সেনাল বনাম রিয়াল মাদ্রিদ– চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হচ্ছে জনপ্রিয় এ দুই দল।
বেলিংহাম সেখানে রিয়ালের হয়ে গোলের সন্ধানে নামবেন, ছেড়ে কথা বলবেন না সাকাও। “ম্যাচটির গুরুত্ব জানি আমরা দু’জনই। রিয়াল অবশ্যই বিশ্বের অন্যতম সেরা দল। তবে আমরাও ঘরের মাঠে তাদের ছেড়ে দেব না। তা ছাড়া রিয়াল মাদ্রিদ জানে কেমন হয় ইংলিশ চ্যালেঞ্জ।’
গর্ব নিয়ে কথাগুলো বললেও বেলিংহামের উত্তরটি জানা যায়নি। কেননা এই আসরের প্লে-অফেই তারা ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার সিটিকে বিধ্বস্ত করে এসেছে। তবে লা লিগায় শেষ ম্যাচটি ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হোঁচট খাওয়ার পর রিয়াল মাদ্রিদের লকার রুমের বাতাস নাকি ভারী– স্প্যানিশ আউটলেট মার্কার দাবি অন্তত তেমনই। যে দলে বেলিংহামের মতো মিডফিল্ডার রয়েছেন, ভিনির মতো গতিসম্পন্ন ফরোয়ার্ড রয়েছেন, ফর্মে থাকা ফিনিশার এমবাপ্পে আছেন– সেই দলের আর্সেনালকে নিয়ে খুব বেশি চিন্তিত হওয়ার কথা নয়।
তবে এই মুহূর্তে তাদের যা একটু দুর্বলতা, তা হলো কয়েকজন খেলোয়াড়ের ইনজুরি নিয়ে। গোলপোস্টের নিচে গত তিন ম্যাচে তারা পায়নি কর্তুয়াকে। তবে গতকাল দলের সঙ্গে মাদ্রিদ থেকে লন্ডনে নিয়ে এসেছে তাঁকে। হয়তো আজ তাঁকে দেখা যাবে প্রথম একাদশে। কারভাজাল, মেন্ডি, কার্বাহাল, মিলিতাওদের অনেকে চোটে রয়েছেন। তাই আজ উত্তর লন্ডনের ক্লাবটির বিপক্ষে কৌশলী হয়েই মাঠ সাজাতে হবে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ আনচেলেত্তিকে।
এই মুহূর্তে দুটি দলই নিজেদের ঘরোয়া লিগে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দুটি দল মাঠে হাই ইনটেনসিটি খেলা খেলে থাকে। রক্ষণাত্মক নয় বরং আক্রমণেই বেশি উন্মুখ হয়ে থাকে তারা। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ এ পর্যন্ত ১২ ম্যাচে ২৮টি গোল করেছে, ম্যাচপ্রতি গোলের গড় ২.
গানারদের কোচ মিকেল আর্তেতা তরুণদের নিয়ে দারুণ একটি চ্যালেঞ্জিং দল গড়েছে এবার। দারুণ প্রাণবন্ত এই দলে ডেকলান রাইস, সাকা বুকাও, গ্র্যাবিয়েল জিসাস ছাড়াও মার্টিন ডেগার্ডের মতো খেলোয়াড়রা দারুণ ফর্মে রয়েছেন। ম্যানসিটির মতো আত্মবিশ্বাসে ধুঁকতে থাকা ইংলিশ ক্লাব অন্তত এই আর্সেনাল নয়। তাই লন্ডনে আজ দারুণ একটি ম্যাচ উপভোগ করতে চলেছেন ফুটবলপ্রেমীরা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নববর্ষে পুকুরে ১০ হাঁস ধরতে নামে ৪০ প্রতিযোগী
লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে মানুষ ভিন্ন আয়োজনে মেতে ওঠে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পুকুরের পানিতে সাঁতরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা উৎসবমুখর ছিল। এ প্রতিযোগিতা দেখতে পকুরের চারপাশে উৎসুক মানুষ ভিড় জমায়।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকালে উপজেলা পরিষদ পুকুরে এ আয়োজন করা হয়। ১০টি হাঁস ধরতে নামে ৪০ জন প্রতিযোগী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমান ও রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার প্রমুখ।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীরা পুকুরের দক্ষিণ পাশে ছিল। উত্তর পাশ থেকে হাঁসগুলো পুকুরের পানিতে ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রতিযোগীরা সাঁতরে এসে হাঁসগুলো ধরতে চেষ্টা করেন। অনেক চেষ্টার পর ১০ জন প্রতিযোগী ১০টি হাঁস ধরতে সক্ষম হন।
আরো পড়ুন:
কারাবন্দিদের অন্যরকম বর্ষবরণ
বৈশাখে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস
রায়পুর আর্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক শংকর মজুমদার বলেন, ‘‘পহেলা বৈশাখ বাংলা ভাষীদের জন্য ঐতিহাসিক দিন। এটি বাঙালি জাতির ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে আমরা এই ঐতিহ্য ধারণ করে আসছি। সেই আলোকে নানা আয়োজন করা হয়েছে। হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য হাঁস খেলার আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ আয়োজনে মানুষ আনন্দ পেয়েছে।’’
রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান খান জানান, নববর্ষ উপলক্ষে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এরপর উপজেলা পুকুরে হাঁস ধরা প্রতিযোগিতা হয়। এতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ আয়োজন করা হয়।
ঢাকা/লিটন/বকুল