ফুটবলের বাইরে অন্যান্য জগতেও সাবলীল বিচরণ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ব্যবসায়ী হিসেবেও এরই মধ্যে বেশ খ্যাতি জুটেছে তাঁর। নানা ধরনের ব্যবসার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোনালদোর হোটেল ব্যবসাও আছে। বিভিন্ন সময় বিলাসবহুল হোটেল ব্যবসার কারণে সংবাদের শিরোনামও হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি আরও একবার হোটেল ব্যবসার কারণে সংবাদের শিরোনাম হলেন রোনালদো। যদিও কারণটা একেবারে ভিন্ন। এবার রোনালদো শিরোনামে এসেছেন মূলত তাঁর মালিকানাধীন হোটেলে আগুন লাগায়।

গত শনিবার মরক্কোর মারাকেশে রোনালদোর হোটেল ‘পেস্তানা সিআর সেভেন’-এ আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পর্তুগিজ সংবাদপত্র আ বোলা। তবে অগ্নিনির্বাপণ দল জরুরি ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ায় বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে বলেও জানিয়েছে তারা।

আরও পড়ুন‘১০০০ হলে ভালো, না হলে সমস্যা নেই’—বললেন রোনালদো০৫ এপ্রিল ২০২৫

এদিকে মরক্কো ওয়ার্ল্ড নিউজ জানিয়েছে, আগুন লাগাটির ঘটনাটি খুব বেশি বড় ছিল না। পাশাপাশি হোটেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইমার্জেন্সি দলও বেশ ত্বরিত প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।

যে কারণে আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা গেছে এবং অন্য জায়গাগুলোতে ছড়িয়ে পড়াও থামানো গেছে। তা ছাড়া এই আগুন দুর্ঘটনায় শারীরিকভাবে কেউ ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি।

মারাকেশে রোনালদোর মালিকানাধীন বিলাসবহুল এই হোটেলটি চালু করা হয় ২০১৯ সালে। দুটি রেস্টুরেন্ট, একটি জিম, স্পা এবং সুইমিং পুলসহ এই হোটেলে সব মিলিয়ে কক্ষ সংখ্যা ১৬৮টি। তবে পেস্তানা সিআর সেভেন ব্র্যান্ডের এটিই একমাত্র হোটেল নয়। লিসবন এবং মাদেইরাসহ বিশ্বের আরও কিছু জায়গা এই হোটেলের শাখা আছে বলে জানা গেছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

রূপনগরে শিশুদের জন্য ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা উদ্বোধন

এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে শিশুদের জন্য রাজধানীর মিরপুরে রূপনগর আবাসিক এলাকায় ভ্রাম্যমাণ খেলার জায়গা (মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড) উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে স্কুল অব লাইফ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডব্লিউবিবি) ট্রাস্ট ও হেলথ ব্রিজ ফাউন্ডেশন অব কানাডার সম্মিলিত উদ্যোগে এটির উদ্বোধন করা হয়। এই আয়োজনে সহযোগিতা করেন রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা।

আয়োজকেরা জানান, প্রতি শনিবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কে নিয়মিত মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ডে খেলাধুলার আয়োজন করা হবে। খেলাধুলার মধ্য থাকবে দাবা, লুডু, ক্যারম, দড়ি লাফ ও ব্যাডমিন্টন। এ ছাড়াও থাকবে ছবি আঁকা, হস্তশিল্প ও সামাজিকীকরণের মতো বিভিন্ন কার্যক্রম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মাঠ ও পার্কের অপ্রতুলতা ঢাকা শহরের একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের ১২৯টি ওয়ার্ডের ৩৭টিতে কোনো খেলার মাঠ বা পার্ক নেই। শিশুদের খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য এলাকাভিত্তিক মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি একটি কার্যকর সমাধান। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে উঠবে, শহর হবে প্রাণবন্ত ও বাসযোগ্য।  

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্কুল অব লাইফের চেয়ারম্যান চিকিৎসক অনুপম হোসেন বলেন, ঘরবন্দী জীবনে শিশুরা হাঁপিয়ে উঠেছে। করোনাকালে দীর্ঘদিন ঘরে থাকার ফলে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। এলাকাভিত্তিক স্বল্প ব্যবহৃত বা অব্যবহৃত রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে মোবাইল প্লে-গ্রাউন্ড তৈরি করে খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের সুযোগ তৈরি করা যায়। এতে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণ ও সামাজিক বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেওয়ার মানসিকতা গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ-পার্ক নেই। অর্থ ও স্থান সংকুলান বিবেচনায় সিটি করপোরেশনের পক্ষে দ্রুত বড় আকারের মাঠ-পার্ক তৈরি সম্ভব নয়। তবে খুব কম খরচে ও স্বল্প জায়গায় শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে এলাকাভিত্তিক খেলাধুলা ও সামাজিকীকরণের স্থান গড়ে তোলা সম্ভব। নগরবাসীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি বিবেচনায় নেবেন বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্কুল অব লাইফের সদস্যসচিব সাবরিনা নওরিন লিমু, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের কর্মকর্তা, মিরপুর সেকশন- ৭ এর রূপনগর আবাসিক এলাকার ১৫ নম্বর সড়কের এলাকাবাসী ও শিশু-কিশোরেরা।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা মো. মিঠুন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ