ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবোটিকসে মাস্টার্স, জিপিএ ৩.২৫ হলে করুন আবেদন
Published: 8th, April 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (আরএমই) বিভাগে মাস্টার্স ইন রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। দেড় বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আগ্রহী প্রার্থীরা নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে পারবেন। এই কোর্সে ভর্তিতে আবেদন করতে পারবেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। আবেদন ফি ২৫০০ টাকা।
আবেদন যোগ্যতা—রোবোটিকস ও মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, অটোমেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান এবং অন্যান্য (আরএমই এর সঙ্গে প্রাসঙ্গিক হতে হবে এবং ডিপার্টমেন্টের অনুমোদন সাপেক্ষে হবে) বিভাগ থেকে বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে।
স্নাতক বা সমমানে সিজিপিএ-৪-এর মধ্যে কমপক্ষে ৩ দশমিক ২৫ থাকতে হবে।
এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫-এর মধ্যে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে। এসএসসি ও এইচএসসিতে মোট জিপিএ কমপক্ষে ৮ হতে হবে।
আরও পড়ুনআইডিবি দেবে ৭২০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ, মিলবে হাতখরচের অর্থ২৩ মার্চ ২০২৫ভর্তি পরীক্ষা—১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষায় মধ্য ৬০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা এবং ৪০ নম্বর হবে ভাইভা। লিখিত পরীক্ষার সময়কাল হবে ২ ঘন্টা। পরীক্ষার সিলেবাস হলো— ১.
আবেদন শেষ ৯ এপ্রিল ২০২৫;
ভর্তি পরীক্ষা ১৯ এপ্রিল, ২০২৫। পরীক্ষার ভেন্যু: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোবোটিকস অ্যান্ড মেকাট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ
ভাইভা: ২৬ এপ্রিল, ২০২৫
ওরিয়েন্টেশন ও ক্লাস শুরু: মে, ২০২৫
*বিস্তারিত তথ্য এবং আবেদন ফরম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে
আরও পড়ুনহার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাস্পায়ার লিডারস প্রোগ্রাম, আইইএলটিএস ছাড়াই আবেদন ১৭ মার্চ ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
দুচোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে দৃষ্টিহীন মহির
বয়স তখন সবে তিন মাস। পৃথিবীর আলো-হাওয়াই ঠিকমতো দেখা হয়নি। তখনই টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়ে দৃষ্টিশক্তি হারায় মহির। তবে এতে দমে যায়নি সে। মনের জোরে দৃষ্টিহীনতা জয় করে এগিয়ে যাচ্ছে। এবার ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় থেকে অংশ নিচ্ছে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায়।
মহির উদ্দিন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার পূর্ব শুখানপুকুরী গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে। প্রতিকূলতার মধ্যেও তার ইচ্ছা, শিক্ষাজীবন শেষ করে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় সে। হাসি ফোটাতে চায় মা-বাবার মুখে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দৃষ্টিশক্তি হারালেও ছেলে মহিরকে লেখাপড়া শেখানোর ইচ্ছা ছিল কৃষক মিলনের। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিরকে মুখে মুখে পড়াতে থাকেন মিলন। সেসব পড়া মহিরও দ্রুত রপ্ত করে ফেলত। পরে ছেলেকে বাড়ির পাশের পূর্ব শুখানপুকুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন মিলন। সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করে মহির।
২০১৭ সালে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেওয়া হয় মহিরকে। এরপর একের পর এক শ্রেণি পেরিয়ে যেতে থাকে সে। এবার সেখান থেকেই শ্রুতলেখকের মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে মহির। মহিরের কেন্দ্র পড়েছে ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। ১০ এপ্রিল এ পরীক্ষা শুরু হয়।
মহিরের ছোট ভাই মাসুদ রানা শ্রুতলেখকের দায়িত্ব পালন করছে। মাসুদ পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার পাঁচপীর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। আজ বৃহস্পতিবার ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র বিষয়ের পরীক্ষা শেষে মাসুদ বলে, ‘আমার হাত দিয়ে ভাই যদি পরীক্ষায় ভালো করতে পারে, তবে শান্তি পাব।’
পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মহিরের কাছে ইচ্ছার বিষয়ে জানতে চাইলে সে বলে, ‘লেখাপড়া করে চাকরি পেলে মা-বাবাকে নিয়ে সুখে থাকতে পারব। তাঁদের ঋণ কিছুটা হলেও শোধ করার চেষ্টা করব।’