বলিউডের সবচেয়ে আলোচিত অনস্ক্রিন জুটিগুলোর মধ্যে অন্যতম শাহরুখ খান ও দীপিকা পাড়ুকোন। যখনই শাহরুখ ও দীপিকা একসঙ্গে পর্দায় এসেছেন, তখন যেন এক আলাদা রসায়ন তৈরি হয়েছে। ‘ওম শান্তি ওম’ থেকে শুরু করে ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’, ‘পাঠান’ কিংবা ‘জওয়ান’– প্রতিটি সিনেমাই যেন প্রমাণ করে দেয় এ জুটি কখনও পুরোনো হয় না।
এবার তাদের দেখা যাবে পরিচালক সিদ্ধার্থ আনন্দের নতুন অ্যাকশন থ্রিলার ‘কিং’ সিনেমায়। ২০২৬ সালে মুক্তি পেতে চলা ‘কিং’ সিনেমার গল্পে রয়েছে এক নতুন মোড়, এক নতুন আবেগ। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ‘কিং’ সিনেমায় দীপিকাকে দেখা যাবে এক সম্পূর্ণ ভিন্ন চরিত্রে। তিনি অভিনয় করেছেন শাহরুখ খানের মেয়ে সুহানা খানের মায়ের ভূমিকায়। যদিও এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রধান চরিত্র নয়, তথাপি চরিত্রটি পুরো গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে।
নির্মাতা সিদ্ধার্থ আনন্দ ও শাহরুখ উভয়েই এ চরিত্রের জন্য দীপিকাকে চেয়েছিলেন এবং দীপিকাও সানন্দে রাজি হন। ‘কিং’ সিনেমার গল্প এগিয়ে চলে প্রতিশোধ, সহানুভূতি আর সম্পর্কের জটিলতাকে কেন্দ্র করে। শাহরুখ এ সিনেমায় অভিনয় করছেন একজন পেশাদার খুনির চরিত্রে, যার জীবনে হঠাৎই প্রবেশ করে এক কিশোরী। এই কিশোরী চরিত্রেই থাকছেন সুহানা খান। এক নির্জীব ঘাতক আর আহত মেয়েটির সম্পর্ক ধীরে ধীরে গড়ে তোলে এক অদ্ভুত রসায়ন। যার গভীরে আছে প্রেম, মমতা আর অতীতের ক্ষত। এই চরিত্রগুলোর মাঝে দীপিকার ভূমিকাটি গল্পে নিয়ে আসে অতিরিক্ত আবেগ ও নাটকীয়তা।
প্রথমেই সিনেমাটি পরিচালনা করার কথা সুজয় ঘোষের। সেই সময় গল্পটি ছিল থ্রিলারধর্মী আর শাহরুখের চরিত্র ছিল অতিথি চরিত্রের মতো। কিন্তু যখন সিনেমাটি সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালনার দায়িত্ব নেন, এরপর তিনি সিনেমার গল্পে পরিবর্তন নিয়ে আসেন। এখন ছবিটি পূর্ণদৈর্ঘ্য অ্যাকশন থ্রিলার, যেখানে শাহরুখ অভিনয় করেছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। শুরুতে সুহানার মায়ের চরিত্রে টাবুকে ভাবা হয়েছিল। কিন্তু গল্পের রূপরেখা পরিবর্তনের কারণে যুক্ত হন দীপিকা।
এ সিনেমার ভিলেনের ভূমিকায় দেখা যাবে অভিষেক বচ্চনকে। যিনি এক ভয়ংকর ও বুদ্ধিমান প্রতিপক্ষ হিসেবে হাজির হবেন। পাশাপাশি অভিনয় করেছেন ‘মুঞ্জ্যা’খ্যাত অভয় ভার্মা। ‘কিং’ বর্তমানে প্রি-প্রোডাকশনের পর্যায়ে রয়েছে এবং আগামী মাসেই মুম্বাইয়ে সিনেমাটির দৃশ্যধারণ শুরু হবে বলে জানা গেছে। সব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটলে সিনেমাটি ২০২৬ সালের শেষে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে বলে জানান নির্মাতা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষ্ণাকে ছাড়াই ভুটান গেলেন ৫ নারী ফুটবলার
সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়ার পর ভুটানের ফুটবল লিগে খেলতে গেলেন আরও পাঁচ নারী ফুটবলার। আজ সকালে তাঁরা থিম্পুর উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
এই পাঁচজন হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মাসুরা পারভীন ও রুপনা চাকমা। তাঁদের সঙ্গে ভুটান যাওয়ার কথা থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট হাতে না পাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ল কৃষ্ণা রানীর। বাফুফে সূত্রে আজ এমনটাই জানা গেছে।
আরও পড়ুনভুটানের লিগে খেলতে যাচ্ছেন কৃষ্ণা–সানজিদাসহ আরও চার ফুটবলার০৮ এপ্রিল ২০২৫৬ এপ্রিল ভুটান যাওয়া সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়া ও মনিকা খেলবেন ভুটানের ক্লাব পারো এফসির হয়ে। ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ডিফেন্ডার মাসুরা ও গোলকিপার রুপনাকে। ফরোয়ার্ড কৃষ্ণার একই দলের হয়ে খেলার কথা রয়েছে। আর থিম্পু সিটির হয়ে খেলবেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার।
বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন নয়। এর আগে মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া নারী লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কলকাতা ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে সানজিদা আক্তারের।
আরও পড়ুনঅনুশীলনে ফিরেও দুশ্চিন্তায় বিদ্রোহীরা০৮ এপ্রিল ২০২৫এরপর গত বছরের আগস্টে ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলতে যান বাংলাদেশের চার ফুটবলার সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা। তখন এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার জন্য তাঁদের নিয়েছিল ভুটানের ক্লাবটি।
১৫ এপ্রিল ভুটানের নারী লিগ শুরু হওয়ার কথা। এই লিগ প্রায় ছয় মাস চলে। ভুটানের লিগ চলাকালে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেলে তাঁরা ঢাকায় ফিরে আসবেন।