দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পুকুর খননের সময় পাওয়া গেছে ২৭ কেজি ওজনের একটি বিষ্ণুমূর্তি। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামের একটি পুকুর থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করে উপজেলা প্রশাসন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পুকুরটির পাশে একটি পরিত্যক্ত রাজবাড়ি রয়েছে। জনশ্রুতি আছে, সেখানে একসময় সনাতন ধর্মাবলম্বী এক রাজা বাস করতেন। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটির উচ্চতা ২৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৩ ইঞ্চি এবং ওজন ২৭ কেজি।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য হাফিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, পুকুরটির মালিক হরিনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা আনিছার রহমান। গতকাল সকাল থেকে এক্সকাভেটর দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছিল। একপর্যায়ে বিকেলে ওই যন্ত্রের বাকেটে মূর্তিটি উঠে আসে। খবর পেয়ে উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। পরে এক্সকাভেটরের চালক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মুঠোফোনে বিষয়টি জানান। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ইউএনও আশরাফুল হকসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান।

ইউএনও আশরাফুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখান থেকে ২৭ কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। এটির আনুমানিক মূল্য নির্ধারণ করা এখনই সম্ভব নয়। মূর্তিটি গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশি হেফাজতে দিনাজপুর জেলা ট্রেজারিতে পাঠানো হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ২৭ ক জ উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন ‘হাত-পা ছাড়া জন্ম নেওয়া’ অদম্য লিতুন

যশোরের মণিরামপুরে ‘হাত-পা ছাড়া জন্ম নেওয়া’ সেই অদম্য মেধাবী লিতুন জিরা চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন। মণিরামপুর উপজেলার গোপালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন লিতুন জিরা। তার পরীক্ষার কেন্দ্র উপজেলার নেহালপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজ। 

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্রথম দিনে ইউএনও নিশাত তামান্না পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে লিতুন জিরাকে দেখে অভিভূত হন। লিতুন জিরার এগিয়ে যাওয়ার পথে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাসও দেন ইউএনও।

যশোরের মণিরামপুর উপজেলার সাতনল খানপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান ও জাহানারা বেগম দম্পতির দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে ছোট লিতুন জিরা। বড় ছেলে ঢাকার একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন। লিতুন জিরা পিইসি (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা) ও জেএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বের স্বাক্ষর, প্রাথমিকে বৃত্তি লাভ, শ্রেণির সেরা শিক্ষার্থীর পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চায়ও রেখেছেন চমক জাগানো অবদান। 

লিতুন জিরার একাগ্রতা আর অদম্য ইচ্ছা শক্তির কাছে তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা হার মেনেছে। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটি বা পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমেও স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি।

অদম্য ইচ্ছা শক্তিতে সব বাধা টপকে সমাজের অন্যদের মতই এগিয়ে চলেছেন লিতুন জিরা। বরং এক্ষেত্রে স্বাভাবিক শিশুর চেয়েও দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে চলেছেন লিতুন। ২০২৩ ও ২০২৪ সালে পর পর দুই বছর লিতুন জিরা উপজেলা পর্যায় মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন, ২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের রচনা প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, একই সালে জাতীয় শিশু-কিশোর প্রতিযোগিতায় গোল্ড মেডেল অর্জনসহ একই বছরের ৪ জানুয়ারি লিতুন জিরা খুলনা বেতারে গান গাওয়ার সুযোগ পান।

লিতুন জিরার মা জাহানারা বেগম বলেন, জন্মের পর মেয়ে লিতুন জিরার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তায় অনেক রাত চোখের পানিতে ভাসিয়েছি। যার দুই হাত-পা নেই; সেই মেয়ে বড় হয়ে কিইবা করতে পারবে- এমন অজানা শঙ্কায় আঁতকে উঠতাম। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মেয়ের পড়ালেখার প্রবল আগ্রহ ও মেধার স্বাক্ষরতায় সেই আশংকা আজ আশার আলোয় রূপ নিয়েছে।

ঢাকা/রিটন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনুমতি বাতিল হলেও বৈশাখী মেলা করার ঘোষণা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের
  • হুমকিতে উদ্বিগ্ন ইউএনও, নিরাপত্তা চেয়ে জিডি
  • লক্ষ্মীপুরে রাস্তার পাশে পাওয়া গেল নবজাতক, হাসপাতালে ভর্তি
  • দিনাজপুরে জাপা নেতার বিরুদ্ধে সাংবাদিককে মারধর ও বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ভাঙার অভিযোগ
  • এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছেন ‘হাত-পা ছাড়া জন্ম নেওয়া’ অদম্য লিতুন
  • ছাত্রদল–যুবদলের নেতাদের বিরুদ্ধে ইউপি চেয়ারম্যানকে মারধর ও গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ
  • সরাইলে সংঘর্ষে আহত ব্যক্তির মৃত্যু, রাতেই গ্রাম ছেড়েছেন অনেকে