চিকিৎসকেরা বলছেন, বিশ্বের অনেক মানুষ মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন মাইগ্রেন সারিয়ে তোলা যায় না। তাহলে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগলে করণীয় কী?
ভারতীয় নিউরোলজিস্ট ডা. অমিতাভ ঘোষ একটি ভিডিও সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘ মাইগ্রেনের ব্যথা টিপিক্যালি মাথার একদিকে হয়। হয়তো ডানে, নয়তো বামে। পরে ছড়াতে পারে। ব্যথা বেড়ে পুরো মাথায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু শুরু হয় একদিক থেকে। দপ-দপ করে। কারও কাছে মনে হতে পারে, কেউ মাথা পেটাচ্ছে। কেউ বলে মাথার ভেতর থেকে ফেটে বেরোচ্ছে। উজ্জ্বল আলোর দিকে তাকাতে কষ্ট হয়। আওয়াজে কষ্ট হয়। রোগী ঘরের আলো নিভিয়ে শুয়ে থাকতে চায়। অনেকের বমি আসে। দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হয়। অনেক সময় মনে হয় টেবিলে মাথা হেলিয়ে শুয়ে থাকি। বা বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়তে ইচ্ছা হয়। এগুলো টিপিক্যাল মাইগ্রেনের লক্ষণ।
এই নিউরোলজিস্ট আরও বলেন, ‘‘মাইগ্রেন ভয়াবহ কোনো রোগ নয়। এটি সারিয়ে তোলা যায় না কিন্তু কমিয়ে রাখা যায়। অনেক সময় মাইগ্রেনের ব্যথা ঘন ঘন হতে পারে। আবার এক মাসে একবার নাও হতে পারে। বিশ্বের প্রতি পাঁচ জন নারী ও শিশুর মধ্যে একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। নারী-পুরুষ মিলিয়ে প্রত্যেক দশ জনে একজন মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বের প্রায় এক শতাংশ মানুষ প্রত্যেক মাসে মাইগ্রেনের সমস্যায় ভুগে থাকেন। ’’
আরো পড়ুন:
কীভাবে বুঝবেন গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা নাকি হার্টের ব্যথা
ঘুম কম হয় কেন?
ডা.
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ
গাজীপুরে একটি বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজের আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত আটটার দিকে নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুর নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকার একটি বাসায় গতকাল রাত আটটার দিকে পারভিন আক্তার নামের এক নারী রান্না করছিলেন। এ সময় গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এতে পারভিনসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাঁদের প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়।
দগ্ধ অন্য চারজন হলেন সীমা আক্তার (৩০), তাসলিমা আক্তার, পারভিন আক্তারের দেড় বছরের ছেলে আয়ান, শেফালী বেগম (৪০) ও তাঁর মেয়ে তানজিলা।
বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কায়সার আহমেদ বলেন, গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওসি জানান, তাসলিমার শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এ ছাড়া দুজন ৯০ শতাংশ, একজন ৩২ শতাংশ ও অন্য একজন ২৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।