ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের রায়ে প্রায় ২৫ হাজার শিক্ষক ও স্কুলকর্মীর নিয়োগ বাতিল হওয়ার পর এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকদের এক সভায় দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি বেঁচে থাকতে তোমাদের চাকরি কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না।’ 

ওই রায় অনুযায়ী, ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে শিক্ষক ও কর্মী নিয়োগ হয়েছিল, তাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হওয়ায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই বাতিল করা হয়েছে।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দল বিজেপি ও সিপিএম চক্রান্ত করে পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি জানান, রাজ্য সরকার এ রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাখ্যা চেয়ে একটি রিভিউ পিটিশন দায়ের করবে। এনডিটিভি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোরগঞ্জে ভাড়া বাসা থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

কিশোরগঞ্জ শহরের একটি বাসা থেকে আমিনুল ইসলাম (৩০) নামের এক পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরের নিউটাউন এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  

আমিনুল ইসলাম নেত্রকোনার মদন উপজেলার গঙ্গানগর গ্রামের আবদুল হামিদের ছেলে। তিনি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) জেলা কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।  

আমিনুল ইসলামের শ্যালক ইয়াসিন মিয়া জানান, গতকাল দুপুরে সর্বশেষ মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন আমিনুল। এর পর থেকে তাঁর মুঠোফোন নম্বর বন্ধ ছিল। পরে পরিবারের সদস্যরা কিশোরগঞ্জের পুলিশকে জানালে তারা গিয়ে বাসার দরজা বন্ধ পায়। ডাকাডাকি করেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। তখন দরজা ভেঙে আমিনুলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ইয়াসিন মিয়া আরও জানান, ঈদের ছুটিতে স্ত্রী ও তাঁর চার বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে গিয়েছিলেন। সাত দিন থেকে স্ত্রী ও মেয়েকে বাড়িতে রেখে আবারও কর্মস্থলে ফেরেন আমিনুল। কিন্তু কী কারণে এমনটা হলো, কিছুই বলতে পারছেন না তাঁরা।

কিশোরগঞ্জের পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ গিয়ে আমিনুলের মরদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ