‘যতদূর চোখ গেছে, চোখের সামনে যা কিছু পেয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে। যেখানেই কোনো ধরনের নড়াচড়া চোখে পড়েছে, গুলি করে তা স্তিমিত করে দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা যেনো আর কোনোদিনই এখানে ফিরতে না পারেন, সে ব্যবস্থাই করেছে সেনারা।’

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের গণহত্যার বিবরণ এটি। পরিচয় গোপন করে নিজেদের অপরাধের এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা।

শুধু তাই নয়, বাফার জোনকে (সংঘাতের প্রভাব এড়াতে বিশেষ অঞ্চল) ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার ‘কিলিং জোনে’ পরিণত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের ট্যাঙ্ক স্কোয়াডে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তা। ট্যাঙ্কগুলোর ৫০০ মিটারের মধ্যে কেউ এলেই তাকে গুলি করা হতো, হোক সে নারী বা শিশু।

হতভাগ্য ফিলিস্তিনিরা জানেনও না ঠিক কোন পর্যন্ত এই বাফার জোনের বিস্তৃতি। না জেনেই হয়তো প্রবেশ করতেন মরণ ফাঁদে।

আরও পড়ুনগাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে পশ্চিম তীরে ধর্মঘট২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নির্দেশের পর গাজার জাবালিয়া এলাকা ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

ইউআইইউর ঘটনা তদন্তে ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) সাম্প্রতিক ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি ‘ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি’ গঠন করা হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ (বিওটি) এ সিদ্ধান্ত নেয় বলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জানানো হয়।

ইউআইইউর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক মো. মুজিবুর রহমানকে চেয়ারম্যান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিকসের সহযোগী অধ্যাপক মফিজুল হক মাসুমকে সদস্যসচিব এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাদিদ মুনিরকে সদস্য করা হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সাম্প্রতিক ঘটনা এবং অস্থিরতার একটি পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং নিরপেক্ষ অনুসন্ধানের জন্য কমিটিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাদের সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এর মধ্যে সমস্ত প্রাসঙ্গিক প্রমাণ, অনুসন্ধান এবং বিবৃতি অন্তর্ভুক্ত রাখতে বলা হয়েছে।’

রোববার অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ওই দিন রাত ১০টার দিকে ইউআইইউর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এক সংক্ষিপ্ত বার্তায় এ ঘোষণা দেন।

এর আগে শনিবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষক পদত্যাগ করেন। শনিবার রাতে পদত্যাগের আবেদন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের (বিওটি) চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দেন উপাচার্য। শিক্ষকদের শনিবার ভোর পর্যন্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুনইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা২৭ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ