কোমরে যন্ত্রণা, হাঁটুর ব্যথায় ভুগতে দেখা যায় অনেককেই। বয়স বাড়লে এ সব সমস্যা বেশি হয়। তবে এখন আর্থ্রাইটিসের মতো রোগ কম বয়সেও হানা দিচ্ছে শরীরে। আর্থ্রাইটিসের মূলত দুটি ভাগ। অস্টিয়ো আর্থ্রাইটিস ও রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস। অনেকের ধারণা, আর্থ্রাইটিসের সমস্যা কখনও সঙ্গ ছাড়ে না। কিন্তু চিকিৎসা ও সঠিক খাওয়া-দাওয়ার মাধ্যমে ব্যথা কমানো সম্ভব। কয়েকটি খাবার আছে, যা খেলে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। আর্থ্রাইটিসে ভুগলে রোজের ডায়েটে কোন খাবারগুলো এড়িয়ে চলবেন?
১.

বাতের ব্যথা থাকলে প্রক্রিয়াজাত খাবার, যেমন সসেজ, বেকন, হ্যাম খাওয়া যাবে না। এ ছাড়া চিপ্‌স, চিজ, পপকর্নের মতো প্যাকেটবন্দি খাবার আর্থ্রাইটিসের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর।
২. আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগলে পাঁঠার মাংস খাবেন না। কারণ, এতে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে। এ ধরনের খাবার ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে।
৩. ওমেগা ৬ যুক্ত খাবার, যেমন সোয়াবিন, মাংস, বাদাম, ভুট্টা হাড়ের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলো এড়িয়ে চলা ভালো।
Foods you should avoid if you have Arthritis problem
৪. আর্থ্রাইটিসে কাঁচা লবণ খাওয়ার অভ্যাস খুবই ক্ষতিকর। কাঁচা লবণে সোডিয়াম ক্লোরাইড থাকে, যা আর্থ্রাইটিসের ব্যথা স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ করতে সক্ষম।
৫. চিনি দেওয়া শরবত, নরম পানীয়, সোডা দেওয়া ফলের রস আর্থ্রাইটিসের রোগীদের পক্ষে একেবারেই উপকারী নয়। এগুলো ছাড়াও ভাজাভুজি, তেল-ঝাল-মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।v

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের সম্মাননা দিল আইএফআইসি ব্যাংক

প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ‘ইকো সলভ’-এ বিজয়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দিয়েছে আইএফআইসি ব্যাংক। টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সুরক্ষায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সৃজনশীল চিন্তা ও বিভিন্ন উদ্ভাবনী সমাধান বিষয়ে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

গত শনিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে আইএফআইসি টাওয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের স্মারক, সনদ ও সম্মাননা চেক হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেন। এ সময় তিনি নিরাপদ ও টেকসই ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে প্রকৃতির সম্পদের সঠিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এই প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ব্যাংকের একটি ক্ষুদ্র প্রয়াস হলেও এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থীকে বিজয়ী হিসেবে অভিহিত করেন। একই সঙ্গে পরিবেশরক্ষা ব্যক্তিগত পর্যায়ে সবার সামাজিক দায়িত্ব বলেও অবহিত করেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ইকো সলভ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তুলে ধরেন ব্যাংকের হেড অব সেন্ট্রালাইজড রিটেইল মার্কেটিং ফারিয়া হায়দার।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালক কাজী মো. মাহবুব কাশেম ও মো. গোলাম মোস্তফা; প্রতিযোগিতার বিচারক ওয়াটার এইডের রিজিওনাল হেড খাইরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুজ্জামান ভূইয়া, ব্র্যাক বিজনেস স্কুলের অধ্যাপক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান এবং নটর ডেম কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিপ্লব কুমার দেব প্রমুখ।

প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা ‘ইকো সলভ’-এ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। ‘পরিবেশ আপনার, দায়িত্ব আপনার’ শীর্ষক এই আয়োজনে তিন হাজারের বেশি প্রবন্ধ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থীর প্রবন্ধ চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ