Samakal:
2025-04-28@07:46:57 GMT

কবিতা

Published: 7th, April 2025 GMT

কবিতা

মৌন ভঙ্গি
মাসুদুর রহমান মাসুদ 

দেয়ালে তৈলচিত্র–
ফুলমুখী শত ডানার প্রজাপতি।
মৌনতার ভঙ্গিতে শালিক 
নম্রতা মেখে শ্যেন দৃষ্টিতে।

আকাশে একঝাঁক শকুন, 
বক্রতা ভেঙে পৃথিবী দাপিয়ে চলে।

সকালের রেখার মতো কিছু শান্তিকামী।
নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন বুনে, 
শকুনের চোখ থেকে ঝরে পড়ে আগুন!
ভস্ম হয় নতুন স্বপ্ন।

 

অভিমানে পোড়াও ফাগুন তুমি 
নিষাদ আফসারী খানম 

বোশেখেও কাটে না আমাদের জ্বর 
নরক-ঈশ্বরী কি আমি তবে
তাই কি সাজবে না কবিতার বাসর!
কদম ছুঁয়ে কবিতা লিখিনি এখনও 
বর্ষা এখনও আসেনি এখানে 
চৈত্রের খরা সয়ে যাচ্ছি 
আগুনে পুড়ছে বাসর। 
পলাশ ফুলে নিবেদিত হয়েছি,
কদম কেশর মাখিনি এখনও 
জারুল বনে কি আগুন লেগেছে! 
খরতাপে পুড়ছে ফাগুন, বোশেখী
বর্ষায়ও সিক্ত হয় না মন-প্রাণ, দেহ  
শীতলতা নামে না মনে।
আসন্ন শ্রাবণে হোক সবকিছু সুন্দর 
কবিতা ছুঁয়ে সাজাও বাসর কাব্যিক ঈশ্বর, 
বর্ষার জলে কবিতার গায়ে প্রাণ ঢেলে দাও তুমি!

 

অচেনা কেউ
শফিকুল মুহাম্মদ ইসলাম

সেদিন অচেনা কেউ কাছে এসে বলে
নীলাদ্রির রূপে এই গগনের তলে!
ভোরের নদীর মতো নীরব নিথর;
বাংলার মাঠ-ঘাট ও ঘাসের ভেতর।

দোয়েলের শিস আর কোকিলের সুর,
শুনেছ কি কেউ থেকে বহুদূর।

 

তারপর শুধুই আঁধার
শারমিন নাহার ঝর্ণা

হাঁটছি আঁধারের সিঁথি বেয়ে
আকাশে জোছনার আলো নেই
নক্ষত্র গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন।
গভীর অরণ্য ঘন আঁধার,
চোখে পড়ছে না হিংস্র হায়েনার হাসি।
অকস্মাৎ সারি সারি জোনাকির আলো
আলোর রশ্মি ধরে হাঁটতে চেয়েছিলাম বহুদূর।
বৈরী দমকা হাওয়ায় উড়ে গেল জোনাকি
তারপর শুধুই আঁধার!
জানি না কবে উঠবে জোছনা আবার।

 

কেন আড়ালে থাকো
মহসিন আলম মুহিন

আশা দিয়ে তুমি আড়ালে চলে গেলে,
কীসের ছুতায়, কী দোষ খুঁজে পেলে।
ভরা ভাদ্রে বলো কেন আছো দূরে সরে,
নদী যৌবনা, তবুও মিশে না কেন সাগরে।
নয়নের জলে বেদনারা ভিজে ভিজে সিক্ত–
ফল নাহি মেলে, সবই লাগে যেন রিক্ত।
ফুল আসে, কেন ফল নাই গাছের ডালে,
ঘুঙুর পরা পাখিরা বসে না কেন চালে।
কেন আড়ালে থেকে বিরহের দাও জ্বালা,
তোমারই বিহনে অন্তর পুড়ে হলো কালা।
মেঘে ঢাকা চাঁদ যায় না দেখা চোখ ভরে,
বিষাদ লাগে, সারাক্ষণ মনটা শুধুই পোড়ে।

 

বিশৃঙ্খল বেঁচে থাকা 
ইসতিয়াক আহমেদ হৃদয়

বেঁচে থাকা আজকাল; বিশৃঙ্খলা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হৃদয়ের বেদি ব্যথা, ঘুমের অসুখ, আহারের অরুচি,
বিছানায় ছন্নছাড়া অনিয়মের ছড়াছড়ি–
বয়সের ক্লান্ত লোমে বেড়ে চলেছে ক্রমাগত।
দিনরাত কবিতার টেবিলে তৈরি হচ্ছে
তোমাকে নিয়ে বাঁচার গল্প!

তবুও স্বপ্নের মধ্যে জেগে থাকার স্মৃতি 
তোমার নেপথ্যে নিশীথের হট্টগোল। 

ভাঙা চুড়ির আওয়াজ, মোলায়েম স্পর্শ,
দুঃখের ভরসমেত একটি শরীর–
আর বলো ক’জন নারীই বা নিতে চাইবে?
সস্তা প্রেমের মূল্য দিয়ে বলো, আজকাল আর
ক’জন প্রেমিকা দামি দামি স্বপ্ন কিনে?
কে জানে–
কবে শেষ হবে আমার এ দুর্ভেদ্য জীবন! 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার ভালো সমাধান

বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং উদাহরণ সৃষ্টিকারী নির্বাচন উপহার দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আলজাজিরায় এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে সাক্ষাৎকারটি গতকাল রোববার আলজাজিরার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে জুলাই বিপ্লব, সাবেক স্বৈরাচার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারতে পালিয়ে যাওয়া, সাবেক সরকারের দুর্নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে  কথা বলেন তিনি।        

আলজাজিরার উপস্থাপক ড. ইউনূসকে প্রশ্ন করেন, এটা কি বলা ঠিক যে, শেখ হাসিনার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের ‘মধুচন্দ্রিমা’ এখন সম্ভবত শেষ হয়েছে? কিছু বেশ বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপনাকে দিতে হবে। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অনেকে রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। 

জবাবে ড. ইউনূস বলেন, মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা অন্তর্বর্তী সরকারকে সরাসরি চলে যেতে এখনও বলছে না। বরং একটা ভালো নির্বাচন উপহার দিতে সরকারই নির্বাচন আয়োজনের দিকে যাচ্ছে। জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা এখনও বলছে না।  
লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে? জবাবে ড. ইউনূস বলেন, আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা ও জাতিসংঘের সঙ্গে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি। তারা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া যাতে তৈরি হয়।  

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা– এমন প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেন, এ প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে– তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কিনা। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ নানা বিষয় সামনে আসতে পারে। 
তাহলে আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি তা নয়। অন্যান্য রাজনৈতিক দল আছে, যারা বলতে পারে যে, এই আইনের অধীনে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।  

সাক্ষাৎকারে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে ড. ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের প্রসঙ্গ ওঠে। ড. ইউনূস জানান, তিনি বিমসটেক সম্মেলনের ফাঁকে মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে শেখ হাসিনাকে ‘চুপ’ রাখতে বলেছিলেন তিনি। জবাবে মোদি বলেছিলেন, এটা তাঁর জন্য সম্ভব নয়। শেখ হাসিনা সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কিছু বললে, সেটি তিনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।
যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, একসঙ্গে কাজ করার নীতি নিয়ে আগাতে চাই। আমরা একসঙ্গেই পারস্পরিক সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ নিতে চাই। 

 

 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে
  • জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না
  • জনগণ তাড়াতাড়ি ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলছে না: প্রধান উপদেষ্টা
  • আ.লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তাদেরকেই নির্ধারণ করতে হবে: ড. ইউনূস
  • অন্তর্বর্তী সরকারকে মানুষ এখনও ভালো সমাধান মনে করছে: আল জাজিরাকে
  • মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তী সরকার ভালো সমাধান
  • চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষা আন্তর্জাতিক মানের করতে হবে
  • মালদ্বীপে বিদেশি কর্মীরা চলতি মাসের মধ্যে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন না করলে বহিষ্কার
  • ফাইনালে অনিশ্চিত এমবাপ্পে, বড় ধাক্কা রিয়ালের
  • কুয়েটের অচলাবস্থা কাটেনি