হিমালয় চূড়া এভারেস্টের পর এবার প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে বিশ্বের দশম সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ অন্নপূর্ণা-১-এ লাল-সবুজের পতাকা ওড়ালেন চট্টগ্রামের কৃতী সন্তান বাবর আলী। এ অভিযানের স্পন্সর সংগঠন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের সভাপতি ও অভিযান ব্যবস্থাপক ফারহান জামান জানিয়েছেন, গতকাল সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় ভোরে ৮০৯১ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৪৫ ফুট উঁচু অন্নপূর্ণা-১-এর চূড়ায় পৌঁছান বাবর আলী। এ সময় বাবরের সঙ্গে ছিলেন গাইড ফুর্বা অংগেল শেরপা। নেপাল থেকে অভিযান পরিচালনাকারী সংগঠন মাকালু অ্যাডভেঞ্চারের স্বত্বাধিকারী মোহন লামসালের মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। 
বাবর অন্নপূর্ণা-১ জয় করায় এখন আনন্দের বন্যা বইছে তাঁর নিজ জন্মস্থান হাটহাজারীর বুড়িশ্চর এলাকাসহ গোটা চট্টগ্রামে। ছেলের সাফল্যে আনন্দে উদ্বেলিত বাবা লিয়াকত আলী ও  মা লুৎফুন্নাহার বেগম। 
ফারহান জামান জানান, দুর্গম অন্নপূর্ণা-১ পর্বত জয় করতে গত ২৪ মার্চ বাংলাদেশ থেকে নেপালে যান বাবর। কাঠমান্ডু থেকে পোখারা হয়ে ২৮ মার্চ পৌঁছান অন্নপূর্ণা বেজক্যাম্পে। উচ্চতার সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে ক্যাম্প-১-এ দুই রাত এবং ক্যাম্প-২-এ এক রাত কাটিয়ে আবার ২ এপ্রিল বেজক্যাম্পে নেমে আসেন। 
ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, লাখো শুভাকাঙ্ক্ষীর প্রার্থনার উত্তর দিয়েছেন স্রষ্টা। প্রকৃতিমাতা বিমুখ হননি। বঙ্গ সন্তান বাবরকে ক্ষণিকের জন্য নিজের চূড়ায় দাঁড়াতে দিয়েছে অন্নপূর্ণা।
ফারহান জামান জানান, আমরা জানতে পেরেছি, বাবর আলী সুস্থ অবস্থায় ক্যাম্প-৩-এ নেমে এসেছেন। বাবরকে আজ নেমে আসতে হবে ক্যাম্প-২-এ। আশা করছি, কাল তিনি বেজক্যাম্পে নামবেন। এর আগে বাবর পৃথিবীর সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এভারেস্ট ও চতুর্থ উচ্চতম শৃঙ্গ মাউন্ট লোৎসে জয় করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ন ব বর

এছাড়াও পড়ুন:

চোখের সামনে যাকে পেয়েছি, তাকেই হত্যা করেছি: ইসরায়েলি সেনার স্বীকারোক্তি

‘যতদূর চোখ গেছে, চোখের সামনে যা কিছু পেয়েছে, ধ্বংস করা হয়েছে। যেখানেই কোনো ধরনের নড়াচড়া চোখে পড়েছে, গুলি করে তা স্তিমিত করে দেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা যেনো আর কোনোদিনই এখানে ফিরতে না পারেন, সে ব্যবস্থাই করেছে সেনারা।’

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনাদের গণহত্যার বিবরণ এটি। পরিচয় গোপন করে নিজেদের অপরাধের এই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন কয়েকজন ইসরায়েলি সেনা।

শুধু তাই নয়, বাফার জোনকে (সংঘাতের প্রভাব এড়াতে বিশেষ অঞ্চল) ফিলিস্তিনিদের হত্যা করার ‘কিলিং জোনে’ পরিণত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের ট্যাঙ্ক স্কোয়াডে থাকা একজন সেনা কর্মকর্তা। ট্যাঙ্কগুলোর ৫০০ মিটারের মধ্যে কেউ এলেই তাকে গুলি করা হতো, হোক সে নারী বা শিশু।

হতভাগ্য ফিলিস্তিনিরা জানেনও না ঠিক কোন পর্যন্ত এই বাফার জোনের বিস্তৃতি। না জেনেই হয়তো প্রবেশ করতেন মরণ ফাঁদে।

আরও পড়ুনগাজায় হামলা বন্ধের দাবিতে পশ্চিম তীরে ধর্মঘট২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নির্দেশের পর গাজার জাবালিয়া এলাকা ছাড়ছেন ফিলিস্তিনিরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ