ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক
Published: 7th, April 2025 GMT
“কন্ঠে এবার লাগাও জোর, ফিলিস্তিন স্বাধীন কর; আল-আকসা আল-আকসা, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ; নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; ট্রাম্পের দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; দুনিয়ার মুসলিম, এক হও লড়াই করো; বিশ্ববাসী অস্ত্র ধরো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো; ইসরাইলি পণ্য, বয়কট বয়কট; বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো; আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ; দিয়েছিতো রক্ত, আরো দেবো রক্ত; রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়; ফিলিস্তিনের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; ফিলিস্তিনে হামলা কেন?
জবাব চাই জবাব চাই; একটা একটা ইহুদি ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর; মুসলমানের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; গাজাবাসীর রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; গোলামী না আজাদী, আজাদী আজাদী; ইহুদীদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও; অ্যাকশান অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন” স্লোগানে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক উত্তাল হয়ে উঠেছে নানা শ্রেণী-পেশার বয়সের মানুষের বিক্ষুব্ধ কন্ঠে।
গাজায় নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের উপর ইজরায়েলি সৈন্যের নির্মম, নিষ্ঠুর, বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে সোমবার সকাল থেকে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিলে নামে সকল শ্রেণী-পেশার মানুষ। এসময় সড়কে চলাচলকারী পথচারীরাও মিছিলে অংশ নিয়ে বিক্ষুব্ধ কন্ঠে স্লোগান তোলে।
বিক্ষোভ মিছিলটি সকাল দশটায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চিটাগাংরোডস্থ শিমরাইল মোড় থেকে শুরু হয়ে মৌচাক ইউটার্ন প্রদক্ষীণ করে পুনরায় শিমরাইল মোড় বাসস্ট্যান্ডে এসে দুপুরে সামাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বিক্ষোভকারীরা বিশ্ব মুসলিমকে ঐক্য হয়ে গাজাবাসীর পক্ষে দাঁড়িয়ে ইসরায়েল-আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। প্রয়োজনে ইহুদিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার অনুরোধ জানান বিক্ষোভকারীরা।
পাশাপাশী বিশ্বাবাসীকে ইসায়েলি সকল পণ্য বয়কট করে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাকযুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদ: কুবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন
গাজায় চলমান গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদে গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা আন্দোলনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা। এরই অংশ হিসেবে আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সব অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।
রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় এক বিবৃতিতে তারা এ কর্মসূচি ঘোষণা দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, যখন একটি জনগোষ্ঠী বোমা হামলার শিকার হচ্ছে, অনাহারে মারা যাচ্ছে এবং নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে, তখন আমরা চুপ থাকতে রাজি নই। এটি একটি নৈতিক দায়িত্ব। চলুন, একসঙ্গে পর্দার গণ্ডি পেরিয়ে আমাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরি- সংযোগ গড়ি, প্রতিবাদ করি, সংগঠিত হই এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিই।
আরো পড়ুন:
নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই কুবির সাবেক রেজিস্ট্রারকে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ
কুবির ইনকিলাব মঞ্চের নেতৃত্বে হান্নান-ওসমান
এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্লাবন আহমেদ বলেন, “আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে আছি। আমাদের সাধ্যমতো ইসরাইলের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে ও ভাইদের সহায়তায় এগিয়ে আসতে চাই। দূর থেকে আমরা ফান্ড সংগ্রহ ও ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারি। এটা আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। যারা এতে ব্যর্থ, তারা আমার মুসলিম ভাই নয়। ইসরাইলের চলমান বর্বরতার প্রতিবাদ হিসেবে আমরা আগামীকাল আমাদের ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।”
প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সিনথিয়া রহমান বলেন, “আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পাশে ছিলাম, আছি এবং থাকব। দূর থেকে যতটুকু সম্ভব, তা দিয়েই তাদের সহায়তা করব—ফান্ড সংগ্রহ ও ইসরায়েলি পণ্য বয়কট করা এখন আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। প্রয়োজনে যুদ্ধেও অংশ নিতে প্রস্তুত, ইনশাআল্লাহ।”
কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত আহমেদ হিমেল বলেন, “ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরতা চরমে পৌঁছেছে। আমেরিকার মদদে তারা ড্রোন হামলা, বিষাক্ত বোমা ব্যবহার ও নিরীহ মানুষ হত্যা করে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করে ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে বিচার করতে হবে। আমরা, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, এ নৃশংসতার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী