সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন শহরে দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।

সোমবার (৭ এপ্রিল) এক নির্দেশনায় তিনি বলেন, ‘‘আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। বাংলাদেশ পুলিশ বর্তমানে এ নিয়ে কাজ করছে।’’

আইজিপি আরো বলেন, ‘‘সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত বিক্ষোভে বাধা দেয় না। তবে, প্রতিবাদ কর্মসূচির আড়ালে কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না।’’

এদিকে চার দিনব্যাপী বিনিয়োগ সম্মেলন শুরুর দিনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা ‘ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন’ করে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন।

তিনি বলেন, ‘‘যখন আমরা বাংলাদেশকে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছি, তখন এ ধরনের ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিনিয়োগকারী, কিছু বিদেশি বিনিয়োগকারী আছেন যারা বাংলাদেশের প্রতি আস্থা রাখতেন। তারা সবাই আমাদের তরুণদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই জঘন্য ভাঙচুর চালিয়েছে তারা দেশের কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা বিরোধী।’’

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভারতে নিষিদ্ধ শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেল

পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে ১৬টি পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক, ভ্রান্ত ও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিষিদ্ধ হওয়া চ্যানেলগুলোর মধ্যে সাবেক পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতারের ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে।  

নিষিদ্ধের তালিকায় ডন নিউজ, সামা টিভি, এআরওয়াই নিউজ এবং জিও নিউজের মতো বড় সংবাদমাধ্যমগুলোর নামও রয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে জনপ্রিয় শোয়েব আখতারের চ্যানেল মূলত ক্রিকেট বিশ্লেষণ ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে কনটেন্ট প্রকাশ করত। তবে সাম্প্রতিক উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে সতর্কতার অংশ হিসেবেই তার চ্যানেলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভারতীয় সরকারের দাবি, এসব ইউটিউব চ্যানেল থেকে ভারতবিরোধী মনোভাব ছড়ানো হচ্ছিল, সেনাবাহিনী ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছিল এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়া হচ্ছিল। পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার ঘটনার পর বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

এখনও পর্যন্ত শোয়েব আখতার এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি। তার ইউটিউব চ্যানেল ভবিষ্যতে ভারতে পুনরায় চালু হবে কি না, সেটিও অনিশ্চিত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ