মানুষের দীর্ঘায়ুর খোঁজে রানি মৌমাছি নিয়ে গবেষণা
Published: 7th, April 2025 GMT
রানি মৌমাছির জীবন নিয়ে বিজ্ঞানীদের আগ্রহের শেষ নেই। এই পতঙ্গের সুস্বাস্থ্য আর দীর্ঘ জীবনের রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা বহু আগে থেকেই করে আসছেন তাঁরা। এবার নতুন করে রানি মৌমাছির জীবন নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন একদল গবেষক। লক্ষ্য—এ বিষয়ে ভালো বোঝাপড়ার পর, তা মানুষের আয়ু এবং সন্তান জন্ম দেওয়ার সক্ষমতার সময়কাল বৃদ্ধিতে কাজে লাগানো।
রানি মৌমাছি মৌচাকের প্রধান। চাকের বাকি সব কর্মী মৌমাছি। রানি ও কর্মী মৌমাছির ডিএনএ (প্রাণীর বংশগত তথ্যের ধারক) প্রায় একই। তবে রানি হিসেবে রাজকীয় সব সুযোগ–সুবিধা পেয়ে থাকে রানি। এগুলো আকারেও বড়, জীবনকালজুড়েই সন্তান জন্মদানে সক্ষম এবং কয়েক বছর বেঁচে থাকে। অপর দিকে কর্মী মৌমাছি বেঁচে থাকে সর্বোচ্চ কয়েক মাস।
নতুন এই গবেষণা শুরু করেছেন যুক্তরাজ্যের সরকারি সংস্থা ‘অ্যাডভান্স রিসার্চ প্লাস ইনভেনশন এজেন্সি’ (এআরআইএ)। এ জন্য সরকারের কাছ থেকে ৮০ কোটি পাউন্ডের তহবিল পেয়েছে তারা। এই গবেষণা প্রকল্পের জন্য আটজন পরিচালককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের একজন ইয়ানিক উরম গতকাল সোমবার বলেন, ‘এই গবেষণায় সবার জীবন বদলে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ইয়ানিক উরম লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির সাবেক অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি এই রহস্যের সমাধান করতে পারি এবং এটা বের করতে পারি যে রানি মৌমাছির জন্য এই চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে প্রকৃতি সমাধান করেছে, তাহলে সেই তথ্য কাজে লাগিয়ে মানুষের বয়স বৃদ্ধি থামিয়ে দেওয়া, সন্তান জন্মদানের সক্ষমতা বাড়ানো, অঙ্গ প্রতিস্থাপন এবং রোগ প্রতিরোধের নতুন উপায় বের করা সম্ভব হতে পারে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে চকলেট
যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটে এখন বসন্তকাল, চমৎকার উষ্ণ আবহাওয়া, আকাশে এলোমেলো উড়ে বেড়াচ্ছে কিছু মেঘ। এমন আবহাওয়ায় চকলেট বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
কি, অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন কীভাবে আকাশ থেকে চকলেট বৃষ্টি পড়বে? আপনি যখন এসব ভাবছেন, তখন ডেট্রয়েটের ওর্ডেন পার্কে কয়েক শ শিশু অধীর হয়ে চকলেট বৃষ্টি শুরু হওয়ার অপেক্ষায় আছে। তাদের হাতে রংবেরঙের ছোট ছোট ঝুড়ি, কেউ কেউ আবার খরগোশের কান পরে এসেছে। একটু পরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
হঠাৎই একটি হেলিকপ্টার উড়ে আসার শব্দ শোনা যায়, শিশুদের মধ্যে চঞ্চলতা বেড়ে যায়। এদিকে হেলিকপ্টার থেকে ওর্ডেন পার্কের সবুজ লন ভালো করে দেখে নেওয়া হচ্ছে, মুহূর্তখানেক পরই শুরু হয় চকলেট বৃষ্টি। হেলিকপ্টার থেকে বস্তার মুখ খুলে ফেলা হচ্ছে মার্শমেলো (চকলেট)। সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে পড়ছে রঙিন মার্শমেলো।
শিশুদের ধৈর্যের বাঁধ প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থা। কিন্তু হলুদ রঙের ভেস্ট পরা স্বেচ্ছাসেবকেরা নিরাপত্তার খাতিরে শিশুদের চকলেট কুড়াতে যেতে দিচ্ছেন না। হেলিকপ্টার থেকে চকলেট বৃষ্টি পড়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের কোনোমতে আটকে রাখা হয়। এরপর স্বেচ্ছাসেবকেরা সরে দাঁড়াতেই খুশিতে চিৎকার করতে করতে ঝুড়ি হাতে মাঠে ছড়িয়ে থাকা মার্শমেলোর দিকে শিশুরা ছুটতে শুরু করে। মার্শমেলো কুড়িয়ে হাতে থাকা ঝুড়ি ভর্তি করে ফেলে তারা।
খোলা জায়গায় ফেলা মার্শমেলো খাওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে যে কেউ ভাবনায় পড়তে পারেন। ভাবনার কিছু নেই, ‘দ্য অ্যানুয়াল গ্রেট মার্শমেলো ড্রপ’ উৎসবে যেসব মার্শমেলো ফেলা হয়, সেগুলো খাওয়ার জন্য নয়। শিশুরা কুড়িয়ে নেওয়া মার্শমেলোর বদলে গিফট ব্যাগ নিতে পারে। ওই ব্যাগে তাদের জন্য বিভিন্ন পার্কে বিনা মূল্যে প্রবেশের টিকিট থেকে শুরু করে ঘুড়িসহ নানা খেলনা থাকে।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে ডেট্রয়েটের শহরতলি রয়্যাল ওকে মার্শমেলো ড্রপ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওকল্যান্ড কাউন্টি পার্ক ওই উৎসবের আয়োজক।