Risingbd:
2025-04-29@17:05:24 GMT

বাংলাদেশ দলে আইপিএলের কোচ

Published: 7th, April 2025 GMT

বাংলাদেশ দলে আইপিএলের কোচ

কোচিং স্টাফে অদলবদল বাংলাদেশ ক্রিকেটে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার নতুন ফিল্ডিং কোচ নিয়োগ দিলো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) কাজ করা জেমস প্যামেন্টকে নিয়োগ দিয়েছে তারা। নিক পোথাসের স্থালাভিষিক্ত হবেন তিনি।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্যামেন্টের নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। ২০২৭ সালের অক্টোবর–নভেম্বরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকবেন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন দুই টেস্টের সিরিজের আগেই দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার।

৫৬ বছর বয়সী প্যামেন্ট নিউ জিল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার। তবে কখনো জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াননি। তার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তিনি নিউ জিল্যান্ডেই বড় হয়েছেন এবং ক্যারিয়ার থিতু করেছেন।

বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে আছেন প্যামেন্ট। নিজের অনুভূতি জানিয়ে প্যামেন্ট বলেছেন, ‘‘প্রতিভায় ভরা বাংলাদেশ দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়ে সত্যিই খুব রোমাঞ্চিত। আমি অধীর আগ্রহে দলের খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় আছি।’’

প্যামেন্ট সর্বশেষ কাজ করেছেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের সহকারী কোচ হিসেবে। এর আগে নিউ জিল্যান্ডের নর্দান ডিস্ট্রিক্ট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান কোচ হিসেবে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেছেন প্যামেন্ট। বিভিন্ন সময় কাজ করেছেন নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে। তাদের বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গেও কাজ করেছেন। অন্তর্বতী কোচ ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট দলেরও।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বাংলাদেশের ফিল্ডিং কোচের দায়িত্ব নেন শন ম্যাকডারমট। তিনি দায়িত্ব ছাড়ার পর ফিল্ডিংয়ে কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয় এর আগে সহকারী কোচের পদে থাকা নিক পোথাসকে। কয়েক মাস আগে তিনিও বিসিবির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন।

ঢাকা/রিয়াদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর ছ ন ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

মামলার আসামিসহ ২২ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানা গেছে। বরখাস্ত করা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪ জন মামলার আসামি। তবে বিএসইসি এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো আদেশ জারি করেনি। বুধবার (৩০ এপ্রিল) অফিস আদেশ জারি করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) কমিশন সভায় কর্মকর্তাদের এ বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসির একাধিক কর্মকর্তা এ বিষয়টি রাইজিংবিডি ডটকমকে জানিয়েছেন।

তবে এ বিষয়ে জানতে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও মুখপাত্র আবুল কালামের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তারা ফোন ধরেননি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএসইসির একজন কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “শুনেছি ২২ বা ২৩ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মামলার আসামিরাও রয়েছেন। তবে এ বিষয়ে আগে থেকে কোনো এজেন্ডা ঠিক করা হয়নি।”

বিএসইসির আরেক কর্মকর্তা রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, “আজকের কমিশন সভায় কর্মকর্তাদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আফিস আদেশ জারি করা হয়নি। বুধবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করা হতে পারে।”

গত ৪ মার্চ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় খন্দকার রাশেদ মাকসুদের কমিশন। এতে বিএসইসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। ওই ঘটনার জেরে ৫ মার্চ বিএসইসির চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে দাবি আদায়ের চেষ্টা করেন সেখানকার কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। একপর্যায়ে তারা কমিশনের মূল ফটকে তালা দেন; সিসি ক্যামেরা, ওয়াই-ফাই, লিফট বন্ধ করে দেন এবং বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে মারাত্মক অরাজকতা ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে গুরুতর জখমের প্রচেষ্টা করেন। পরে সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করেন।

তবে পরের দিন ৬ মার্চ সেনা ও কোস্টগার্ড সদস্যদের নিরাপত্তায় মধ্যে দিয়ে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশন। ওই দিন বিকেল ৫টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএসইসির ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের গানম্যান (পুলিশ সদস্য) মো. আশিকুর রহমান।

মামলার আসামিরা হলেন-বিএসইসির সাবেক নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম ও রেজাউল করিম, পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা, অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম পরিচালক রাশেদুল ইসলাম, উপ-পরিচালক বনী ইয়ামিন, আল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক জনি হোসেন, রায়হান কবীর, সাজ্জাদ হোসেন ও আব্দুল বাতেন, লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফ।

তবে এর মধ্যে সাইফুর রহমানকে আগেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। আরেক নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম পদত্যাগ করেছেন। বাকি ১৪ জন কর্মকর্তা জামিন নিয়ে কাজে ফিরেছিলেন। গত ২১ এপ্রিল দ্বিতীয় দফায় সেই মামলায় কর্মকর্তাদের জামিনও হয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে ১৪ জনসহ আরো ৮ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন রাশেদ মাকসুদের কমিশন।

ঢাকা/এনটি/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ