চাঁদপুরের কচুয়ায় প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া নূর মোহাম্মদ তুষার (২৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কচুয়া থানার ওসি মো. আজিজুল ইসলাম।

আটককৃতরা হলেন- নিহতের প্রেমিকা ফিমা আক্তার (১৮) এবং তার মা হাছিনা বেগম (৪৫)। তারা কচুয়ার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রাজাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে ও স্ত্রী। 

আরো পড়ুন:

আবু সাঈদ হত্যার সঠিক বিচারে সচেষ্ট হতে হবে: প্রধান বিচারপতি

খাগড়াছড়িতে যুবককে গুলি করে হত্যার অভিযোগ

নিহত তুষার কচুয়ার মনোহরপুর গ্রামের সরকার বাড়ির মৃত মিজানুর রহমান ও তাছলিমা বেগম দম্পতির ছেলে। 

নিহত তুষারের মা তাছলিমা বেগম বলেন, “ফেসবুকে পরিচয় থেকে তুষার ও ফিমার মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফিমার ফোন কল পেয়ে তার বাড়িতে দেখা করতে যায় তুষার। মূলত বিয়ের আশ্বাসে তুষারকে ডেকে নিয়েছিল ফিমা। পরে সেখানে তুষারকে অবরুদ্ধ করে মারধর করে ফিমা, তার মা হাছিনা বেগম এবং তাদের বাড়ির লোকজন।”

তিনি আরো বলেন, “আমাকে ফোন কলে ডেকে নিয়ে রাত সাড়ে ১২টার সময় তুষারকে নিয়ে যেতে বলেন ফিমার মা। আমি সেখানে গিয়ে তুষারকে খারাপ অবস্থায় দেখি। তাকে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় নিয়ে বাড়ির দিকে রওনা হই। এসময় তুষারের নাম ও মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে। পরে তাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। সেখানে চিকিৎসক প্রাথমিক দিয়ে আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তুষারকে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তুষার মারা যায়।” 

তাছলিমা বেগম বলেন, “বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা অভিযুক্ত মা ও মেয়েকে আটক করে। আমি তাদের ফাঁসি চাই।”

পুলিশ হেফাজতে থাকা ফিমা ও তার মা হাছিনা বেগম গণমাধ্যম কর্মীদের দেখে জানান, তুষারকে রাতে চোর সন্দেহে এলাকাবাসী গণপিটুনি দেয়। এতে তিনি আহত হন। পরে তার মৃত্যু হয়।

কচুয়া থানার ওসি মো.

আজিজুল ইসলাম বলেন, “তুষারের মরদেহ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”

ঢাকা/অমরেশ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হত য অভ য গ

এছাড়াও পড়ুন:

নাটোরে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ২ 

নাটোরের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক প্রান্তজন-এর সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম সেলিমের ওপর হামলা চালিয়ে দুই হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির এক নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রকলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্কাস আলী এবং ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী আব্দুর রউফ ওহাব।

সাজেদুর রহমান সেলিম নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বরিবার রাত ৯টার দিকে সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের নামে মামলা করা হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত

মিয়ানমারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্ধার ও মেডিকেল সেবা অব্যাহত

নাটোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, বরিবার বিকেলে কলেজ শিক্ষক সেলিমের ওপর হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। রাতে ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তসহ দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। সেনা সদস্যরা সদর থানা পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক ও নাটোর প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা, নাটোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রান্তজন পত্রিকার সম্পাদক সাজেদুর রহমান সেলিমের ওপর স্থানীয় বিএনপি কর্মী আব্দুল ওহাবের নেতৃত্বে ৮-১০ জন হামলা চালায়। হামলায় তার দুই হাত ভেঙে যায়। 

সাজেদুল ইসলাম সেলিম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তরা তাকে শিক্ষকতার জন্য কলেজে আসতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে তার ওপর হামলা করা হয়।

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাটোরে সাংবাদিকের ওপর হামলা: বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ২