মুগদায় একটি ভবনের চার ফ্ল্যাটে ডাকাতি
Published: 7th, April 2025 GMT
রাজধানীর মুগদার গ্রিন মডেল টাউন সোসাইটির একটি ভবনের চারটি ফ্ল্যাটে আজ সোমবার ভোরের দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে, ডাকাতেরা টাকা ও সোনার অলংকার লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন।
মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরের দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাত দল ওই ভবনের সামনে আসে। তাদের মধ্য থেকে সাত–আটজন ভবনের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে ডাকাতি করে। তাদের সবার মুখ কাপড় ও মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল।
ওসি বলেন, ওই ভবনের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় এখনো ডাকাতদের শনাক্ত করা যায়নি। তবে যেসব ফ্ল্যাটে ডাকাতি হয়েছে, সেখানে তাদের আঙুল ও পায়ের পাতার ছাপ রয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। সিআইডির মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, একটি বেসরকারি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে জমি কিনে নিজেরাই বাড়িটি বানিয়ে বসবাস করছিলেন। সেখানে ডাকাতেরা ঢুকে অস্ত্রের মুখে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে। পরে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটগুলোর চারটির দরজা ভেঙে ডাকাতি করে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুনধানমন্ডিতে র্যাব পরিচয়ে ভবনে ঢুকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ৬২৭ মার্চ ২০২৫গত ২৬ মার্চ ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৮ নম্বর সড়কে ভিকারুননিসা স্কুলের গলিতে ছয়তলা একটি ভবনে ভোরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। র্যাব পরিচয়ে একদল ব্যক্তি নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে ও বেঁধে রেখে ভবনের গয়নার দোকান ও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ভবন র
এছাড়াও পড়ুন:
এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’
আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।
উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।
নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।