রাজধানীর মুগদার গ্রিন মডেল টাউন সোসাইটির একটি ভবনের চারটি ফ্ল্যাটে আজ সোমবার ভোরের দিকে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বলছে, ডাকাতেরা টাকা ও সোনার অলংকার লুট করে নিয়ে গেছে। তাদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারজন আহত হয়েছেন।

মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভোরের দিকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি ডাকাত দল ওই ভবনের সামনে আসে। তাদের মধ্য থেকে সাত–আটজন ভবনের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে ডাকাতি করে। তাদের সবার মুখ কাপড় ও মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল।

ওসি বলেন, ওই ভবনের আশপাশে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় এখনো ডাকাতদের শনাক্ত করা যায়নি। তবে যেসব ফ্ল্যাটে ডাকাতি হয়েছে, সেখানে তাদের আঙুল ও পায়ের পাতার ছাপ রয়েছে। সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। সিআইডির মাধ্যমে ডাকাত দলের সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা করা হচ্ছে।

পুলিশ সূত্র জানায়, একটি বেসরকারি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে জমি কিনে নিজেরাই বাড়িটি বানিয়ে বসবাস করছিলেন। সেখানে ডাকাতেরা ঢুকে অস্ত্রের মুখে ভবনের নিরাপত্তাকর্মীকে জিম্মি করে। পরে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও পঞ্চম তলার ফ্ল্যাটগুলোর চারটির দরজা ভেঙে ডাকাতি করে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।

আরও পড়ুনধানমন্ডিতে র‍্যাব পরিচয়ে ভবনে ঢুকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, পুলিশের ওপর হামলা, গ্রেপ্তার ৬২৭ মার্চ ২০২৫

গত ২৬ মার্চ ভোরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৮ নম্বর সড়কে ভিকারুননিসা স্কুলের গলিতে ছয়তলা একটি ভবনে ভোরে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়। র‍্যাব পরিচয়ে একদল ব্যক্তি নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে ও বেঁধে রেখে ভবনের গয়নার দোকান ও কয়েকটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ঢুকে প্রায় সাড়ে ৩৬ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে। একপর্যায়ে তারা পুলিশের ওপরও হামলা চালায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভবন র

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত

অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস (৩২) নিহত হয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে আটটায় হ্যামিলটন হাইওয়ে–সংলগ্ন ব্যারুনাহ প্লেইনস এলাকায় তাঁর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

ভিক্টোরিয়া পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস জিলংয়ের নর্লেন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি এক বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তাঁর স্ত্রী ঋতিকা চৌধুরী গত ফেব্রুয়ারিতে স্পাউস ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান।

তীর্থের পারিবারিক বন্ধু ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, নিহতের পরিবার চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা চন্দন বিশ্বাস চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।

এ বছর ভিক্টোরিয়ার সড়কে এ পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের সমান। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে। ড্যাশক্যাম (গাড়ির ভিডিও রেকর্ডার) ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। কেউ কিছু জানলে তথ্য দিতে অনুরোধ করেছে।
তীর্থ বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে। নিহতের সৎকার ও পরিবারকে সহায়তা করতে স্থানীয় কমিউনিটি সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ