খান মাসুদের সহচর সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী পিতা-পুত্র বাহিনী বেপরোয়া
Published: 7th, April 2025 GMT
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকারী পতিত স্বৈরাচার সরকারের দোসর বন্দরের আওয়ামী সন্ত্রাসী খান মাসুদের একান্ত সহযোগী সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুব ও তার সন্ত্রাসী পুত্রের অনৈতিক কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। এমন কথা গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, কলাগাছিয়া ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার মৃত আব্দুল মোতালিব মিয়ার ছেলে মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুব, তার ভাই বাবু, ছেলে রাহিম মিলে নয়ানগর, কল্যান্দি, জিওধরা, আদমপুরসহ কয়েকটি গ্রামে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও মাদকের স্বর্গরাজ্যে পরিনত করেছে।
এদের বিরোদ্ধে বন্দর থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। পুলিশ এদের কর্মকান্ড জেনেও ধরছে না। এমনকি ৫ আগষ্টের পর এসব মাদক সন্ত্রাসীর শেল্টার দাতা সন্ত্রাসী খান মাসুদ বিদেশে পালিয়ে গেলেও বয়াল তবিয়তে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে এরা।
সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ইয়াবা,ফেন্সিডিল বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছি হাজার হাজার টাকা। মাদক ব্যবসায়ী মাহাবুবের ছেলে রাহিমের রয়েছে একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী। কেউ প্রতিবাদ করলেই সন্ত্রাসী রাহিম বাহিনী গোটা এলাকা অস্ত্র প্রদর্শন করে দাবড়িয়ে বেড়ায়। তাই কেউ তাদের বিরোদ্ধে আঙ্গুল তুলতে সাহস পায় না।
মাদক ব্যবসায়ী পিতা ও সন্ত্রাসী পুত্রের কারনে ওই এলাকার ব্যবসায়ীরাও আতংকে দিন কাটাচ্ছে। এলাকাগুলোতে এই সন্ত্রাসীদের কারনে অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে আইন শৃঙ্খলা চরম অবনতি ঘটছে। তাই এলাকাবাসী এদের বিরোদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার দাবী জানিয়েছে।
আদমপুর এলাকার বিএনপি নেতা ফরিদ হোসেনের ঘনিষ্ট এক ব্যাক্তি জানান, গত ৫ আগষ্টের পূর্বে দেশে যখন স্বৈরাচার সরকারের বিরোদ্ধে ছাত্র জনতা আন্দোলন করছিল সেই সময় আওয়ামী সন্ত্রাসী খান মাসুদের নেতৃত্বে বিএনপি নেতা ফরিদ হোসেনের বাড়িঘরে হামলা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করেছিল মাহাবুব ও তার ছেলে মাহিনের সন্ত্রাসী বাহিনী।
এমনকি তারা বন্দর খেয়াঘাটে ছাত্রদের উপর হামলা করেছিল। এখন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা পালিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে মাহাবুব বাহিনী।
সন্ত্রাসী খান মাসুদ বিদেশে বসে এদের নিয়ন্ত্রন করছে। স্বৈরাচারের দোসর মাহাবুব ও তার সন্ত্রাসী পুত্রকে দ্রুত গ্রেফতার করতে আইণ শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা কামনা করছি।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সিনেমার টিকিটের জন্য যুদ্ধ, কাউন্টার থেকে ফিরে যাচ্ছে অনেকে
ঈদের দিন থেকে দেশের মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে বাংলা ছবি দেখতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন দর্শক। দর্শকদের এই চাপ সামলাতে মাল্টিপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ হলিউড ছবির শো একেবারেই কমিয়ে এনেছেন বলে জানিয়েছেন। তাতেও দর্শক সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। স্টার সিনেপ্লেক্সের ওয়েবসাইটে দেখা যায় ঈদের দিন থেকে পরের দিন পর্যন্ত প্রায় সবগুলো শাখাতেই টিকিট বুকড।
সরেজমিন কাউন্টারে গিয়েও পাওয়া যায়নি টিকিট। এমনকি ঈদের পঞ্চম দিনেও ওয়েবসাইটে পরের দুই দিনের টিকিট সোল্ডআউট দেখাচ্ছে। কেবল সামনের সারির কয়েকটি টিকিট পাওয়া যাবে দেখাচ্ছিল। হলে কাউন্টার থেকে জানিয়ে দেন, কাউন্টার খোলার ১ ঘণ্টার মধ্যেই সব টিকিট শেষ হয়ে যাচ্ছে। দর্শকদের চাপ সামলাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। চাহিদা থাকা ছবির শো বাড়িয়েও কুল পাচ্ছেন না। এককথায় টিকিটের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে দর্শকদের মাঝে।
গেল পাঁচ-ছয় বছর ধরে দুই ঈদে মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। ২০২২ সালে পরাণ ও হাওয়া সিনেমা সুপারডুপার হিট হওয়ার পর থেকে ঈদে উৎসবে বাংলা সিনেমা দেখতে মাল্টিপ্লেক্সে এমন উপচে পড়া ভিড় জমে। পরবর্তী সময়ে শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’ ও ‘তুফান’ এবং নিশোর ‘সুড়ঙ্গ’ দারুণভাবে মাল্টিপ্লেক্সমুখী করে দর্শকদের। সেই ধারাবাহিকতা এবারের ঈদেও পড়ছে।
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পায় শাকিব খানের ‘বরবাদ’, ‘অন্তরাত্মা’, আফরান নিশোর ‘দাগি’, সিয়ামের ‘জংলি’, সজলের ‘জ্বীন-৩’ ও মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমা। এর মধ্যে দর্শক ‘বরবাদ’, ‘দাগি’ ও ‘জংলি’ নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত। ঈদের দিন থেকে হাউসফুল যাচ্ছে এই তিন সিনেমা। দর্শক টানছে মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমাটিও।
গতকাল খোঁজ নিয়ে জানা যায় মাল্টিপ্লেক্সগুলোতে আগামী দুই দিনের টিকিটও সব বুকড হয়ে গেছে। স্টার সিনেপ্লেক্সের মিডিয়া অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার মেসবাহউদ্দিন আহমেদ জানান, স্টার সিনেপ্লেক্স সবসময় নিজেদের দেশের সিনেমা প্রদর্শনে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এবার ঈদেও তার ব্যত্যয় ঘটছে না। ঈদের ছবি নিয়ে আমরা আশাবাদী। দর্শক রেসপন্সে আমরা খুশি। বরবাদ, দাগি, জংলির দর্শক রেসপন্স খুবই ভালো।
ঢাকাই ছবির জন্য বিরল দৃশ্য
স্টার সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা শাখায় ঈদের পঞ্চম দিনও টিকিট কাউন্টারে প্রচণ্ড ভিড়। সকাল ১১টা ২০ মিনিটের শোতে ঘণ্টাখানেক কাউন্টারে টিকিট পাওয়া গেলেও পরে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বরবাদ, দাগি, জংলি ও চক্কর কোনোটিরই টিকিট নেই। পরের শোয়ের টিকিট খোঁজ করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। ব্যর্থ মনোরথে তাই ফিরে যেতে হচ্ছে দর্শকদের। যেতে যেতে করছেন আক্ষেপ, পাশ থেকে কেউ বলে উঠছেন তাহলে কি আমরা বরবাদ দেখতে পারব না, নিশোর দাগি কিংবা সিয়ামের জংলির কোনোটিরই টিকিট কি নেই? উত্তরে কর্তা ব্যক্তিটি জানাচ্ছেন, না। এমন আক্ষেপ নিয়ে অনেক পরিবারকেই ফিরে যেতে দেখা গেল। একই দৃশ্য সিনেপ্লেক্সের অন্য শাখাগুলোতে। লায়ন ও যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাসেও একই চিত্র। সেখানেও খোঁজ নিয়ে জানা গেল, দর্শক চাপের কথা। চাহিদা অনুসারে টিকিট না দিতে পারার কথা।
টিকিট না পেয়ে ভাঙচুর, চাপ সামলাতে লেটনাইট শো
ঈদে শাকিব খানের ‘বরবাদ’ দর্শকদের মধ্যে রীতিমতো উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে। এমনকি দু’দিন আগে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে টিকিট না পেয়ে হলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি দর্শকে চাপ সামলাতে মধ্যরাতে বিশেষ প্রদর্শনীর খবর এসেছে বগুড়ার মধুবন সিনেপ্লেক্স থেকে। হল কর্তৃপক্ষ ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানায়, ‘বরবাদ’ দর্শকের ভালোবাসা ও বিপুল আগ্রহ এবং চাহিদার কারণে ঈদের দ্বিতীয় দিন রাত ১১টা ৫৫ মিনিট থেকে বিশেষ শো চালু করা হয়েছে। দর্শকের অতিরিক্ত চাহিদায় লায়ন সিনেমাসে বরবাদ-এর স্পেশাল লেট নাইট শো রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। এখানে রাত ১০টা ৫০ মিনিট থেকে এই লেটনাইট শো চলছে।