রূপগঞ্জে ইসরায়েলি পণ্য বয়কটের ডাক গ্রীণ ইউনিভার্সিটির
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্তকায় ইসরায়েলের গণহত্যা ও দখলদারিত্বের প্রতিবাদে এবং গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজার সমর্থনে রূপগঞ্জে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও দোয়া মাহফিল করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ মানববন্ধন থেকে ইসরাইলের পণ্য বয়কটের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা কামনা করা হয়।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এ সময় উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’; ‘ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’; ‘তুমি কে আমি কে, ফিলিস্তিন ফিলিস্তিন’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন বলেন, গোটা বিশ্বে আজ সবচেয়ে নিগৃহীত ফিলিস্তিনবাসী। নবজাতক ও শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধদেরকেও আজ ইসরাইলিরা নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে।
আহত হয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে শত শত মানুষ। আহতদের চিকিৎসা প্রদানে এগিয়ে আসা স্বাস্থ্য-কর্মীদেরও হত্যা করা হচ্ছে। এ অবস্থায় বিশ্ব মানবতার আর চুপ থাকা উচিত নয়।
এ সময় তিনি নিহত প্রত্যেক ফিলিস্তিনির রুহের মাগফেরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য লাভে সবাইকে দোয়ার করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের বর্বরতার চরম মাত্রায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের উচিত- এই হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবি করা।
পাশাপাশি নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসরাইলের সব ধরনের পণ্য বয়কট করা। মানববন্ধন শেষে জোহর নামাজ শেষে বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে এক দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
গবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগ, প্রত্যাহার দাবি
সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম মুন্নার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করার অভিযোগ উঠেছে। এ মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৬ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
জানা গেছে, সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের কর্মীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উস্কানিতে বর্তমান সরকারকে উৎখাত, জনসাধারণের শান্তি বিনষ্ট ও সরকারি সম্পদের ক্ষতি সাধনের লক্ষ্যে গত ১২ মার্চ বিক্ষোভ মিছিল এবং দেশীয় অস্ত্রদ্বারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানোর অভিযোগ এনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এতে ৭৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১২৫ জনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ৫ এপ্রিল নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের কর্মী মর্মে সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ প্রহরায় ওইদিনই আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
মুন্নাকে গ্রেপ্তার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করেন মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মামলার এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার দিন ক্যাম্পাসেই ছিলেন মুন্না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বৃহত্তর খুলনা বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলেও উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে তাকে। অভিযুক্তের ফেসবুকেও ওইদিনের ইফতার সংক্রান্ত একাধিক পোস্ট ও ছবি রয়েছে।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মূখ্য সংগঠক ও গবি আইন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদ আহমদ সালেহীন বলেন, “আন্দোলনের শুরু থেকেই মুন্না আমাদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। মুন্নার বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত মব সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এ মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। আগামীতে কারো বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার পূর্বে যেন সঠিক সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করা হয়, সেটা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় এর পরিমাণ ভয়াবহ হবে।”
আইন বিভাগের প্রভাষক লিমন হোসেন বলেন, “এজাহারে উল্লেখিত ঘটনার দিন মুন্না ক্যাম্পাসে উপস্থিত ছিল এবং একটি ইফতার ও দোয়া মাহফিলেও অংশ নিয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থী এবং আইন বিভাগের সব শিক্ষকদের পক্ষ থেকে মুন্নার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ দেশের সব মানুষ যেন ন্যায়বিচার পায় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় সেই দাবি জানাই। আইন উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে অনতিবিলম্বে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে সুষ্ঠু-সুন্দর পরিবেশে মুন্না যেন দ্রুত শিক্ষা-কার্যক্রমে ফিরতে পারে, সেই দাবি জানাচ্ছি।”
এদিকে সার্বিক বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবীর মোল্লা বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়- এই মর্মে অভিযুক্তের যদি কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ থাকে, তিনি তাহলে আদালতে প্রমাণ পেশ করুক। আমাদের কাছেও কাগজপত্র দিলে আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেব।”
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী