ঐকমত্য যেন প্রকৃতপক্ষেই জাতীয় হয়ে ওঠে: আলী রীয়াজ
Published: 7th, April 2025 GMT
সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করাই জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রচেষ্টা বলে উল্লেখ করেছেন এই কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ। তিনি বলেছেন, শুধু কোনো বিশেষ সমাজের বা বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর বা বিশেষ কোনো অংশের প্রতিনিধিত্ব নয়—এমন ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে, তা যেন প্রকৃতপক্ষেই জাতীয় হয়ে ওঠে।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ এ কথাগুলো বলেন। ঐকমত্য কমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির পর আজ থেকে আবারও সংস্কার প্রশ্নে জাতীয় ঐকমত্য গঠনের লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদল আজ আলোচনায় অংশ নেয়। কমিশনের সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড.
এবি পার্টির সঙ্গে আলোচনার শুরুতে অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, সবার অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা করাই তাঁদের প্রচেষ্টা, যাতে সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নের দিকে মনোনিবেশ করা যায়। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। রাজনৈতিক দলের পাশাপাশি সংস্কার বিষয়ে কীভাবে সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে। কমিশন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। তা ছাড়া সর্বস্তরের মানুষের মতামত নিশ্চিত করতে একটা জরিপ শুরু করার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে। খুব শিগগির সুনির্দিষ্টভাবে এ ব্যাপারে জানানো হবে।
নমনীয় থাকবে এবি পার্টিঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা শেষে এবি পার্টির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বৈঠকে জানান, জাতীয় ঐক্য ও একটি গ্রহণযোগ্য সংস্কার প্রস্তাবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বার্থে এবি পার্টি নমনীয় অবস্থানে থাকবে। দলের পক্ষ থেকে যে ৩২টি প্রস্তাবে দ্বিমত ও ২৬টি বিষয়ে আংশিক একমত পোষণ করা হয়েছিল, তার ব্যাখ্যাসহ দলের মতামত বৈঠকে তুলে ধরা হয়। এবি পার্টি জানায়, সার্বিক আলোচনার পর দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের ব্যাপারে এবি পার্টির যে ভিন্নমত ছিল, তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: জ ত য় ঐকমত য গ রহণ র
এছাড়াও পড়ুন:
গাজায় নির্যাতিতদের পক্ষে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ও গাজায় নির্যাতিত মানুষের পাশে সংহতি জানিয়ে আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) সব ধরনের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বর্জন ঘোষণা করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (৬ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা এই চরম দুর্ভোগ, অবিচার এবং মানবিক সংকটের সময়ে গাজার জনগণের সঙ্গে অটল সংহতি প্রকাশ করছি এবং বিশ্বব্যাপী ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করছি। আমরা গাজার জনগণের উপর নিপীড়ন, দখলদারিত্ব এবং সম্মিলিত অবিচারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছি। অতএব, আমরা আগামীকাল সোমবার (৭ এপ্রিল) কোনো ক্লাস, ল্যাব বা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করব না।
আরো পড়ুন:
নোবিপ্রবি উপাচার্যের নাম ও ছবি ব্যবহার করে প্রতারণা
মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, এটি কেবল একটি আঞ্চলিক সমস্যা নয়- এটি মানবাধিকার, মর্যাদা এবং ন্যায়বিচারের বিষয়। আমাদের নীরবতা আমাদেরকে জড়িত করে তুলবে। আমাদের কর্মকাণ্ড শান্তি, স্বাধীনতা এবং প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকারের পক্ষে; ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা, গাজার ন্যায়বিচারের জন্য।
বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা #StrikeForGaza #StandWithGaza #FreePalestine হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করেন।
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী