চট্টগ্রামে রিমান্ডের আসামিকে নিয়ে পুলিশের মহড়া
Published: 7th, April 2025 GMT
চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদকে সঙ্গে নিয়ে রাস্তায় মহড়া দিয়েছেন পুলিশ সদস্যরা। হাতকড়া লাগানো সাজ্জাদের পরনে ভেস্ট, মাথায় ছিল হেলমেট। অস্ত্র হাতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বিশেষ প্রশিক্ষিত সোয়াত সদস্যরা ছিলেন তার সামনে ও পেছনে। পুলিশ সদস্যরা হ্যান্ডমাইকে সন্ত্রাসীদের সতর্ক করছিলেন। সোমবার নগরীর অক্সিজেন ও রোববার রাউজান উপজেলা এলাকায় এই সন্ত্রাসীকে নিয়ে এভাবেই মহড়া দিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় আসামিকে নিয়ে এভাবে মহড়া দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ। তবে পুলিশ বলছে, অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।
গত ১৫ মার্চ রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স থেকে সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে পাঁচটি খুনসহ ১৭টি মামলা আছে। গ্রেপ্তারের পর ব্যবসায়ী তাহসিন হত্যা মামলায় সাজ্জাদকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ কোনো অস্ত্র উদ্ধার ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। রোববার দ্বিতীয় দফায় তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। ওইদিন বিকালে তাকে রাউজান উপজেলায় নিয়ে মহড়া দেওয়া হয়।
আজ বিকেলে নগরীর অক্সিজেন এলাকায় সাজ্জাদকে নিয়ে মহড়া দেওয়ার সময় হ্যান্ডমাইকে পুলিশকে বলতে শোনা যায়, ‘আপনাদের এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও ছিনতাইকারী ছোট সাজ্জাদকে পুলিশ কমিশনারের নির্দেশে গ্রেপ্তার করেছে সিএমপি। ছোট সাজ্জাদের মতো যদি কোনো সন্ত্রাসী চট্টগ্রামের আনাচে-কানাচে অবস্থান করে থাকে, তাদেরও এমন পরিণতি হবে। রাষ্ট্র কোনোদিন কোনো সন্ত্রাসীর কাছে হার মানবে না। আপনাদের আশপাশে কোনো সন্ত্রাসী যদি মাথাচাড়া দেয়, আমাদের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করুন।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালানো হয়েছে। এটি মহড়া নয়। যেসব এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে সেগুলো ছিল সাজ্জাদের আস্তানা। তাকে নিয়ে বের হলেই লোকজন জড়ো হয়ে যায়। তার সহযোগীরা যাতে ভয় পায় এ জন্য সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে তথ্য আদায় করা পুলিশের কাজ। এভাবে মাইকিং করে মহড়া দেওয়ার নজির নেই। তার কাছ থেকে তথ্য পেয়ে অস্ত্র উদ্ধার, সহযোগীদের গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডের মোটিভ বের করতে মনোযোগী হওয়া উচিত।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
অস্ট্রেলিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী নিহত
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যের জিলংয়ে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস (৩২) নিহত হয়েছেন। রোববার রাত সাড়ে আটটায় হ্যামিলটন হাইওয়ে–সংলগ্ন ব্যারুনাহ প্লেইনস এলাকায় তাঁর গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা খায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
ভিক্টোরিয়া পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফরমেশন টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী তীর্থ বিশ্বাস জিলংয়ের নর্লেন এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি এক বছর আগে স্টুডেন্ট ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় আসেন। তাঁর স্ত্রী ঋতিকা চৌধুরী গত ফেব্রুয়ারিতে স্পাউস ভিসায় অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছান।
তীর্থের পারিবারিক বন্ধু ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম সোহেল বলেন, নিহতের পরিবার চট্টগ্রাম শহরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা চন্দন বিশ্বাস চট্টগ্রাম জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য।
এ বছর ভিক্টোরিয়ার সড়কে এ পর্যন্ত ৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের সমান। পুলিশ দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করছে। ড্যাশক্যাম (গাড়ির ভিডিও রেকর্ডার) ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। কেউ কিছু জানলে তথ্য দিতে অনুরোধ করেছে।
তীর্থ বিশ্বাসের মৃত্যুর ঘটনায় অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি কমিউনিটি গভীর শোক প্রকাশ করেছে। নিহতের সৎকার ও পরিবারকে সহায়তা করতে স্থানীয় কমিউনিটি সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন।