ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে শিবির ও ছাত্রদলে পৃথক কর্মসূচি
Published: 7th, April 2025 GMT
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। এছাড়া ছাত্রদলের পক্ষ থেকেও বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) এক যৌথ বিবৃতিতে শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম সাদ্দাম সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলা ও গণহত্যা মানবতার বিরুদ্ধে জঘন্যতম অপরাধ। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে বিশ্ব জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে ঘোষিত কর্মসূচিগুলোতে ছাত্রসমাজসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সক্রিয় অংশগ্রহণ কামনা করছি।
আরো পড়ুন:
ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি
ইসরায়েলেরর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৬ দাবি আগ্রাসনবিরোধীদের
শিবিরের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আগামী ৭ এপ্রিল বৈশ্বিক ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন এবং সর্বস্তরে অফিস-আদালত বন্ধ রাখার আহ্বান; ৮ এপ্রিল দেশের সব মহানগরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ; ৯ এপ্রিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও ভবনের ছাদে ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ‘সলিডারিটি উইথ প্যালেস্টাইন’ কর্মসূচি পালন।
বাকি কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ১০ এপ্রিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দেশের দূতাবাসে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান; ১১ এপ্রিল জেলা পর্যায়ে ‘ম্যাস মুভমেন্ট’ কর্মসূচি পালন; ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল সপ্তাহব্যাপী অনলাইন ক্যাম্পেইন ‘ ইকোস অব গাজা’ কর্মসূচি পরিচালনা।
অন্যদিকে, আগামীকাল মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় গাজা ও রাফায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। এছাড়া, সকাল সাড়ে ১০টায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে সংগঠনটি।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল ইসর য় ল গণহত য
এছাড়াও পড়ুন:
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা বললে সরকার পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি তুললে সরকার পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির ‘দোহাই’ দেয় বলে উল্লেখ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম। আজ শুক্রবার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এ কথা বলেছেন তিনি। ‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ এই সমাবেশের আয়োজন করে ইনকিলাব মঞ্চ।
আজ শাহবাগে এই উন্মুক্ত প্রান্তরে তাঁরা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের যে দাবি নিয়ে দাঁড়িয়েছেন, সেটা ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে পূরণ হওয়ার কথা ছিল বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন সারজিস আলম। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অবস্থান নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যখনই তাদের কাছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কথা বলি, তারা আমাদের পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গির দোহাই দেয়।’ এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘যখন শাপলা চত্বর, পিলখানা এবং জুলাইয়ে হাজারো মানুষকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমাদের দৃষ্টিভঙ্গি কোথায় ছিল?’
তবে সারজিস আলম তাঁর বক্তব্যে আওয়ামী লীগ নিয়ে এই অবস্থান ব্যক্তকারী হিসেবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তি বা উপদেষ্টা কিংবা পশ্চিমা কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি।
এ সময় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে সারজিস বলেছেন, ‘এই জেনারেশনকে (প্রজন্ম) ভয় করুন। যদি এই জেনারেশনের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আবেগ নিয়ে খেলা করেন, তাহলে এই জেনারেশন সকল ক্ষমতার বিপক্ষে গিয়ে যে কাউকে টেনেহিঁচড়ে ক্ষমতা থেকে নামাতে পারে।’
এই সমাবেশে ক্ষোভ প্রকাশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সহসমন্বয়ক মোসাদ্দেক ইবনে আলী বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়েছে, তারা বিদেশি দূতাবাসগুলোর কাছে নিজেদের শির দাঁড়া বিক্রি করে দিয়েছে। দল গঠনের পর তারা দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়, কিন্তু কোথাও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কথা ছিল না। এই সরকারের ঘুড়িটা অন্তর্বর্তীকালের মধ্যে ঘুরলেও তার নাটাইটা বিদেশি কোনো দূতাবাসের হাতে রয়েছে।
সরকার কোন কোন বিচার করছে এবং সেটা কতখানি হয়েছে, তা স্পষ্ট করে বলার দাবি জানান এবি পার্টির জেনারেল সেক্রেটারি আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক ফ্যাসিবাদী দলকে চিরস্থায়ীভাবে নিষিদ্ধের নজির আছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সেই নিয়মেই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
‘জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে’ সমাবেশে উপস্থিত দর্শকদের একাংশ। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে