সব সংস্করণ মিলিয়েই বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি এখন পারভেজ হোসেনের। কাল বিকেএসপিতে শাইনপুকুরের বিপক্ষে আবাহনীর হয়ে খেলতে নেমে ১৫ বলে ফিফটি করেছেন তিনি। শুধু লিস্ট ‘এ’ নয়, ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি–টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে দ্রুততম ফিফটি এখন পারভেজের।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে এর আগে দ্রুততম ফিফটি ছিল শুভাগত হোমের, ২০১৯ সালে শাইনপুকুরের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে যিনি ফিফটি করেছিলেন ১৬ বলে।
এমন একটি রেকর্ডের কথা ব্যাটিংয়ের সময় নাকি জানতেনই না পারভেজ। মুঠোফোনে প্রথম আলোকে পারভেজ আজ বলছিলেন, ‘আমি আসলে পরে শুনেছি। যখন ব্যাটিং করেছি, তখন জানতামই না।’
৪ চার ও ৬ ছক্কায় ২৩ বলে ৬১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলকে ১০ উইকেটের জয় এনে দিয়েছেন পারভেজ। তবে সব ছাপিয়ে গেছে তাঁর রেকর্ড। এমন এক কীর্তি গড়তে পেরে অনুভূতি কেমন? পারভেজের উত্তর, ‘এ রকম কোনো কিছু হলে তো সবারই ভালো লাগে। আমারও একই। তবে আমার রেকর্ড খুব একটা দেখার অভ্যাস নেই।’
১৫ বলে ফিফটি করেছেন পারভেজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জামায়াতের আমিরের
জাতীয় স্বার্থে দল–মতনির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই আহ্বান জানান জামায়াতের আমির। বইয়ের শিরোনাম ‘মাওলানা আব্দুস সুবহান রহ.: তৃণমূল থেকে শীর্ষে’।
অনুষ্ঠানে শফিকুর রহমান বলেন, একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে জাতির স্বার্থে জাতীয় ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ হলে এ জাতি বিজয়ী হবে।
মাওলানা আব্দুস সুবহানের ব্যক্তিত্ব দল–মতনির্বিশেষে সবাইকে মুগ্ধ করত বলে মন্তব্য করেন জামায়াতের আমির। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুমের শিকার হয়ে কনডেমড সেলে মৃত্যু অপেক্ষায় থেকেও মাওলানা আব্দুস সুবহান কখনো ভয় পাননি। জেলে থাকা অবস্থায়ও তিনি কারাগারে থাকা সবার খোঁজ খবর রাখতেন। নেতৃত্ব দিতে হলে মানুষকে বুঝতে হয়, এটার আজ বড় অভাব। মাওলানা আব্দুস সুবহান জেলে গিয়েও মানুষের সমস্যা সমাধান করতেন। তিনি ফাঁসির রায় শুনেও প্রশান্ত ছিলেন। দেশকে, মানুষকে ভালোবাসলে কেউ পালিয়ে যায় না। জামায়াত নেতারা তা প্রমাণ করেছেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, জুলাই বিপ্লবের বিতাড়িত সরকার আব্দুস সুবহানকে অপমানিত করতেই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি করেছিল। তবে আজ সেই আওয়ামী লীগই অপমানিত হয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে।
বইটির লেখক আলী আহমাদ মাবরুর। তিনিসহ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শামীম সাঈদী, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন প্রমুখ।