লক্ষ্মীপুর বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
Published: 7th, April 2025 GMT
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার চরবংশী ইউনিয়নে ঘটনাটি ঘটে। রায়পুর থানার ওসি নিজামউদ্দিন ভূইয়া একজন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ব্যক্তির নাম সাইজুদ্দিন।
আরো পড়ুন:
সিরাজগঞ্জে ২ পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ৪
শরিয়তপুরে ককটেল বিস্ফোরণ, প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
বিস্তারিত আসছে.
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ ব এনপ ন হত আহত
এছাড়াও পড়ুন:
হাতভাঙার ভুয়া এক্স-রে জমা দিয়ে মামলার অভিযোগ
লক্ষ্মীপুরে হাত ভাঙার ভুয়া এক্স-রে প্রতিবেদন দেখিয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে অন্য একজনের এক্সরে রিপোর্ট মামলার ডকুমেন্ট হিসেবে থানায় জমা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক পরিবার।
ঘটনাটি ঘটেছে লক্ষ্মীপুরে পৌর শহরের ২ নং ওয়ার্ডের বাঞ্চানগর এলাকায়। মামলার বাদী রুবিনা ইয়াছমিন। তিনি একই এলাকার ফরিদ হোসেনের স্ত্রী।
রবিবার (৬ এপ্রিল) অভিযোগকারী স্কুলশিক্ষিকা দিল আফরোজা সাংবাদিকদের জানান, ভুয়া হাত ভাঙার প্রতিবেদনে দায়েরকৃত মামলায় তার স্বামী কলেজ শিক্ষক খোকন আলম পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। আর এ কারণে ঈদের দিন শিক্ষক পরিবারটির ঘরে চুলার আগুন জ্বলেনি, বিলীন হয়ে গেছে ঈদ আনন্দ।
ভুক্তভোগী শিক্ষক খোকন আলম একই এলাকার মৃত আবুল কালামের ছেলে। তিনি দালাল বাজার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
দিল আফরোজা বলেন, “রুবিনা ইয়াছমিনদের সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। বিরোধীয় জমিতে ১৪৪ ধারা মামলা রয়েছে। ২৫ মার্চ ঘরে ঢুকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রুবিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে তিনি আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এতে ফেয়ার ডাগনস্টিক সেন্টারের একটি এক্সরে প্রতিবেদন দেখিয়ে সদর হাসপাতাল থেকে পুলিশ কেসের টোকেন নেওয়া হয়। ওই প্রতিবেদনটি ভুয়া ছিল। লিপি আক্তার নামে এক রোগীর প্রতিবেদনের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে রুবিনা মামলার জন্য মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন। মূলত রুবিনার হাত ভাঙেনি। আমার স্বামীকে ফাঁসাতে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন।”
ফেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের স্বত্ত্বাধিকারী মো. রেজাউল করিম ও কম্পিউটার অপারেটর নন্দ দুলাল সরকার স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রে রুবিনার এক্স-রে প্রতিবেদনটি ভুল বলে সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। নন্দ দুলাল সরকার বলেন, “রুবিনার সাথের লোক আমাকে ভুল বুঝিয়ে অন্য একজনের এক্সরে প্রতিবেদন নিয়ে গেছে। মূলত তিনি কোন এক্স-রে করেননি।”
এদিকে রুবিনা ইয়াসমিন বলেন, “আমার হাত ভেঙেছে। আমি মামলা করেছি। এক্স-রে প্রতিবেদন সঠিক।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন বলেন, “মামলার ঘটনাটি তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/লিটন/টিপু