বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না: প্রধান বিচারপতি
Published: 7th, April 2025 GMT
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আজ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সবার আগে বিচার বিভাগের স্থায়ী সংস্কার না করা হলে কোনো বিভাগের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না। বিচার বিভাগের সংস্কার শব্দটা এখন সংস্কারের প্রতিশব্দ হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আইনগত বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। সেগুলো নজরে এসেছে; এগুলো সংস্কার করা হবে।
আজ সোমবার দিনাজপুরের হাকিমপুরে মহিলা ডিগ্রি কলেজে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশের বহু মেধাবী শিক্ষার্থী শুধু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারে না। আর্থিক অসচ্ছলতা যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয় সে জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য একটাই, শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থী গড়ে তোলা।’
কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামান, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবির, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফত হোসাইন ও হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সোনালী ব্যাংকের সাবেক ৭ কর্মকর্তাসহ ১১ জনের কারাদণ্ড
সোনালী ব্যাংকের ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ মামলায় সাবেক সাত কর্মকর্তাসহ ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাকারিয়া হোসেন গতকাল সোমবার এ রায় দেন। এদের সাতজনকে ৩ এবং চারজনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের আনুপাতিক হারে পরিশোধ করতে হবে জরিমানার ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। পলাতক আসামিদের সাজা তাদের গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণের দিন থেকে কার্যকর হবে। দণ্ডপ্রাপ্তদের থেকে আত্মসাৎ করা টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
৩ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, সাবেক ডিএমডি মঈনুল হক, সাবেক জিএম ননীগোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, সাবেক ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান। ১০ বছর কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন– খানজাহান আলী সোয়েটারের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম মোল্লা, এমদাদুল হক শেখ এবং পরিচালক মীর মোহাম্মদ শওকত আলী ও রফিকুল ইসলাম। রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন মঈনুল হক, মীর মহিদুর, সফিজ উদ্দিন ও কামরুল হোসেন খান। বাকি সাতজন পলাতক।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের তৎকালীন হোটেল শেরাটন শাখা থেকে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।