ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে সিলেট নগরীতে কেএফসি রেস্টুরেন্ট ও জুতার কোম্পানি বাটার কয়েকটি শোরুমে ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকালে নগরীর মিরবক্সটুলায় অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্ট এবং দরগাগেইট, জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার এলাকার বাটার শোরুমে ভাঙচুর করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৩টার দিকে নগরীর মিরবক্সটুলায় অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্টে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। এ সময় রেস্টুরেন্টের ভিতরে থাকা ইসরায়েলি বিভিন্ন কোমল পানীয় নষ্ট করা হয়। এ ঘটনার পর রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। আরেকদল বিক্ষুব্ধ জনতা নগরীর দরগাগেইট এলাকায় জুতার কোম্পানি বাটার একটি শোরুমে ভাঙচুর চালায়। একই সময়ে বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার এলাকায়ও বাটার দোকানে ভাঙচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনা সদস্যলা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়।

এর আগে নগরীর বিভিন্ন জায়গা থেকে দলে দলে বিক্ষুব্ধ জনতা মিরবক্সটুলায় অবস্থিত কেএফসি রেস্টুরেন্টের সামনে এসে জড়ো হয়।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

জিয়াউল হক জানান, কেএফসিতে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। 
 

ঢাকা/নুর/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক এফস নগর র

এছাড়াও পড়ুন:

‘প্রত্নকথা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন তিন উপদেষ্টার

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রকাশিত ভ্রমণ বই ‘প্রত্নকথা’র মোড়ক উন্মোচন করলেন অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টা। গতকাল সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলার উন্নয়ন-সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ সভা শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.), শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর উপস্থিতিতে বইটির আনুষ্ঠানিক মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
ভ্রমণ বইটি প্রকাশনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, 
তিনি অত্যন্ত আনন্দিত যে, জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রত্ননগরী খ্যাত মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখা, জেলার পর্যটনকে সমৃদ্ধ করা ও আগামী প্রজন্মের কাছে এগুলোকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের একটি ভ্রমণ বই প্রকাশ করতে পেরেছেন।
ভ্রমণ বইটিতে মুন্সীগঞ্জের প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় ৬২টি স্থানের সচিত্র বর্ণনা, অবস্থান, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকের কথা বিবেচনায় বইটির সব তথ্য 
এবং বর্ণনা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় 
লিখিত হয়েছে। 
বইটি সম্পাদনা করেন জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ উল্যাহ। তিনি জানান, বইটি মূলত দেশি-বিদেশি পর্যটকের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার একটি ভ্রমণ গাইড হিসেবে কাজ করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহ্‌রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব নিজাম উদ্দিন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মফিদুর রহমান, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের  মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম প্রমুখ। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ