কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার দুধকুমার নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ মো. তাসিম বিল্লাহ সাজিমের (১৩) মরদেহ একদিন পর উদ্ধার হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তার মরদেহ ভেসে উঠতে দেখে এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার করে।

তাসিম বিল্লাহ সাজিম নাগেশ্বরী পৌরসভার পুরাতন বাজারের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম মতি সরকারের ছেলে। সে ৪ মাস আগে নাগেশ্বরী দারুল আবরার ক্যাডেট মাদ্রাসা থেকে হাফেজি পাস করেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, রবিবার (৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চার বন্ধু মিলে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের বড়মানী এলাকায় দুধকুমার নদীর তীরে বেড়াতে যায়। পরে সাজিম ও তার এক বন্ধু মিলে নদীতে গোসল করতে নেমে সাঁতার কেটে নদী পার হয়। ফেরার সময় মাঝ নদীতে ডুবে গিয়ে নিখোঁজ হয় সাজিম। এ সময় বাকিদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকে এবং তাকে খোঁজাখুঁজি করে ব্যর্থ হলে বিকেলে রংপুর থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে তাকে খুঁজে পায়নি।

আরো পড়ুন:

মেহেরপুরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

একই রশিতে ঝুলছিল মা ও ছেলের লাশ

নাগেশ্বরী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলের আধা কিলোমিটার ভাটিতে মরদেহ ভাসতে থাকলে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম রেজা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/সৈকত/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ নদ উদ ধ র ন গ শ বর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ আইনজীবীর

প্রায় আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়া (৩২)। পরিকল্পনা ছিল, বড় ভাইয়ের বিয়ের পর তিনি ধুমধাম আয়োজন করে স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন। তার আগেই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ এই আইনজীবীর। গত রোববার জেলা শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে। হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালত বর্জন করে সুজনের সহকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আইনজীবী সমিতি।

জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবী সুজন ও তাঁর কয়েক বন্ধু পৌর কার্যালয়ের পাশে চটপটির দোকানে ফুচকা খাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ-ছয় কিশোর হঠাৎ সুজনের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। তাঁর বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। সুজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 
সুজনের বড় ভাই সুমন মিয়া বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে তাঁর বিয়ে হয়। আমার বিয়ের পর অনুষ্ঠান করে সুজনের স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করব।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ