মাছ ধরা নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৪
Published: 7th, April 2025 GMT
কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাছের প্রজেক্টে মাছ ধরা নিয়ে দ্বন্দ্বে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ সোমবার উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের উত্তর হরিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত ব্যক্তিরা হলেন– উত্তর হরিপুর গ্রামের লনি মিয়ার ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (৪০), তাঁর ছোট ভাই ইব্রাহিম হোসেন (৩৫), ওলানপাড়া গ্রামের সেলিম সরকারের ছেলে মো.
এ ঘটনায় আটক তিনজন পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তারা হলেন– ইয়াসিন মিয়া, নাঈম হোসেন ও ফরহাদ হোসেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের ওলানপড়া ও উত্তর হরিপুর মৎস্যচাষ প্রজেক্ট মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনার ঘটে। আজ দুপুরে পারভেজ পক্ষের লোকজন মাছ ধরতে গেলে প্রতিপক্ষ ইসমাঈল ও তাঁর লোকজন বাধা দেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এতে উভয় পক্ষের চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, ওলানপড়া ও উত্তর হরিপুর মৎস্যচাষ প্রজেক্টে মাছ ধরা নিয়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। আটক ইয়াসিন পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন। গোলাগুলির সঙ্গে কারা জড়িত, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ আইনজীবীর
প্রায় আট মাস আগে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মৌলভীবাজার জেলা জজ আদালতের আইনজীবী সুজন মিয়া (৩২)। পরিকল্পনা ছিল, বড় ভাইয়ের বিয়ের পর তিনি ধুমধাম আয়োজন করে স্ত্রীকে ঘরে তুলবেন। তার আগেই দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে প্রাণ গেল তরুণ এই আইনজীবীর। গত রোববার জেলা শহরের পৌরসভা কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সুজন পৌর শহরের পূর্ব হিলালপুর গ্রামের জহিরুল ইসলামের ছেলে। হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে জেলা আইনজীবী সমিতি। আদালত বর্জন করে সুজনের সহকর্মীরা এসব কর্মসূচি পালন করেন। এ ছাড়া জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে আইনজীবী সমিতি।
জানা গেছে, রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইনজীবী সুজন ও তাঁর কয়েক বন্ধু পৌর কার্যালয়ের পাশে চটপটির দোকানে ফুচকা খাচ্ছিলেন। এ সময় পাঁচ-ছয় কিশোর হঠাৎ সুজনের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা করে। তাঁর বুকে একাধিক ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। সুজনকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সুজনের বড় ভাই সুমন মিয়া বলেন, ‘গত বছরের আগস্টে তাঁর বিয়ে হয়। আমার বিয়ের পর অনুষ্ঠান করে সুজনের স্ত্রীকে ঘরে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তা আর হলো না। এ ঘটনায় হত্যা মামলা করব।’
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি গাজী মাহবুবুর রহমান জানান, হত্যাকারীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।