ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ মিছিল থেকে সিলেট নগরীর একাধিক বাটার জুতোর শো রুম ও কেএফসিতে হামলা করা হয়েছে। 

সোমবার বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে নগরীর জিন্দাবাজার, দরগাগেট ও মীরবক্সটুলা এলাকার শো রুমে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়।

ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে বিকেল ৩টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা মীরবক্সটুলা এলাকার রয়েল মার্ক হোটেলের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত কেএফসিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও ভেতরের প্রবেশ করে ভাঙচুর চালায়। হামলার সময় কোমল পানীয়বাহী একটি পিকআপ ট্রাক সেখানে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ জনতার কবলে পড়ে সেটি। ট্রাক থেকে বিভিন্ন কোমল পানীয় বের করে রাস্তায় ফেলে দেয় তারা। বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত রাস্তায় অবস্থান নিয়ে লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। ওই সময় রেস্টুরেন্টটি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। 

বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে দরগা গেট এলাকার বাটা ও পৌনে ৫টার দিকে জিন্দাবাজার মোড়ে অবস্থিত বাটার শো রুম ভাঙচুর করা হয়। ওই সময় শতশত জনতা শো রুমের সামনে বিক্ষোভ করে। এছাড়া জিন্দাবাজারের অপর শো রুম, একই এলাকার এপেক্স গ্যালারিসহ বন্দরবাজারের বাটার দোকানেও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ক্ষুব্ধ জনতা। 

এছাড়া হাউজিং এস্টেটেটের রাস্তার মুখে একটি খাদ্য প্রতিষ্ঠান থেকে কোকাকোলা বের করে রাস্তায় ফেলে দিয়েছে জনতা।  

তারা অভিযোগ করে বলেন, বাটা ও কেএফসি প্রতিষ্ঠানটি ইসরাইলের। যারা নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের গণহত্যাকারী। তাদের প্রতিষ্ঠানের ঠাঁই হবে না এ দেশে।
 
মহানগর পুলিশের ডিসি (উত্তর) দেবাশীষ রায় জানিয়েছেন পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক র ক এফস

এছাড়াও পড়ুন:

রক্তি নদীর নৌজটে আটকা শতাধিক বাল্কহেড-ট্রলার

বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার রক্তি নদীতে আবারও দেখা দিয়েছে নৌজট। দুবলারচর ও জামালগঞ্জের দুর্লভপুর এলাকায় এই জট দেখা দিয়েছে।
নদীর নাব্য সংকটের কারণে সেখানে নৌযান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে নৌজট সৃষ্টি হচ্ছে বারবার। সোমবার বিকেল থেকে কয়েকশ বালু-পাথরবাহী বাল্কহেড ও ট্রলার এই জটে আটকা পড়ে। যার ফলে সুনামগঞ্জের সবচেয়ে বড় বালু-পাথরমহাল যাদুকাটা থেকে বালু-পাথরবাহী বাল্কহেড ও ট্রলারগুলোর মতো বড় আকারের নৌকাগুলোও সেখান থেকে বের হতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে মালপত্র পরিবহন ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেগুলো গন্তব্যে পৌঁছানো নিয়ে উদ্বিগ্ন নৌযানের সঙ্গে থাকা লোকজন।
এদিকে বড় নৌকাগুলোও এই জটে আটকা পড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহন বিঘ্নিত হচ্ছে। স্থানীয়রা জানান, নদীর এই সরু অংশে নাব্য সংকট দীর্ঘদিনের। শুষ্ক মৌসুম হওয়ায় পানির স্তর আরও নেমে গেছে। এতে করে বড় বড় নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এমন নাব্য সংকটের কারণে নৌপথে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। 
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর এলাকার বালু-পাথর ব্যবসায়ী রঞ্জন দাস জানান, সোমবার থেকে আবারও এই এলাকায় নৌজটের সৃষ্টি হয়েছে। বিকেল থেকে কয়েকশ স্টিল বডি আটকে রয়েছে। এই নদী দিয়ে যাদুকাটা থেকে বালু-পাথর নিয়ে সুরমা নদী হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পৌঁছায়। ক’দিন পরপর এমন জট তৈরি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা লোকসানে পড়েছেন।
তাহিরপুর উপজেলার আনোয়ার গ্রামের 
বাসিন্দা রুকন উদ্দিন বলেন, দুপুর ১২টায় যাদুকাটা নদী থেকে দুই হাজার ফুট বালু নিয়ে রওনা হয়েছেন। তাদের গন্তব্য জামালগঞ্জ। বিকেল ৪টায় রক্তি নদীর দুর্লভপুর এলাকায় এসে দেখি শতাধিক নৌকা আটকে আছে। এখনও নৌজটে আটকে রয়েছেন। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে না তাদের। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন ব্যবসী ও নৌকার শ্রমিকরা।
একই উপজেলার দক্ষিণকোলের বাসিন্দা মো. নাসিম উদ্দিন বললেন, সোমবার ভোর ৬টা থেকে ২৬ ফুট বালু নিয়ে নদীতে আটকে আছি। কখন জট ছুটবে, জানি না। এরকম ক’দিন পরপরই দুর্ভোগে পড়তে হয় তাদের।

সম্পর্কিত নিবন্ধ