ইংল্যান্ডের ওয়ানডে ও টি-২০ দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন হ্যারি ব্রুক। ২৬ বছর বয়সী এই ব্যাটার জস বাটলারের জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন। 

বাটলারের ইনজুরিতে ব্রুক এর আগে পাঁচ ম্যাচে ইংল্যান্ডকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তবে নিয়মিত অধিনায়ক হিসেবে তিনি যাত্রা শুরু করবেন আগামী মে মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ দিয়ে। 

বোর্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রব কি বলেন, ‘হ্যারি শুধু অসাধারণ ক্রিকেটার নয়, একজন দারুণ ক্রিকেট মস্তিষ্কের অধিকারী। তার লক্ষ্য পরিষ্কার, যা দলকে দ্বিপাক্ষিক সিরিজসহ বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট জিততে সহায়তা করবে।’

সাদা বলে ইংল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়ে ব্রুকও আনন্দিত, ‘সাদা বলে ইংল্যান্ডের অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়া সম্মানের। শৈশবে ইয়র্কশায়ার ও ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখতাম। দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথাও ভাবতাম। আমাকে ওই সুযোগ দেওয়ায় গর্বিত। ইংল্যান্ড প্রতিভায় ভরপুর, তাদের নিয়ে সিরিজ, বিশ্বকাপসহ বড় ইভেন্ট জিততে চাই।’

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিশুর আনন্দে স্মৃতির ঝাঁপি খোলে প্রবীণের

মা-বাবার সঙ্গে মেলায় এসে পছন্দের পুতুল কিনেছে চার বছরের রোজা। এ জন্য খুশি ধরছিল না তার। আট বছর বয়সী বড় বোন জান্নাতুল তিশার বায়না পুতির মালার জন্য। এ নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে মান-অভিমান চলছিল শিশুটির। সোমবার তাদের পাওয়া যায় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার বাঘা দরগা শরিফে আয়োজিত ঈদমেলায়। এই পরিবারটি এসেছিল আটঘড়ি গ্রাম থেকে। তাদের মতো হাজারো মানুষের মধ্যে মেলার আনন্দ দেখে প্রবীণ ব্যক্তিরা তাদের শৈশব-কৈশোরের স্মৃতিচারণে মেতে ওঠেন।
নাটোরের লালপুর থেকে এই মেলায় এসেছিলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রশিদ। তিনি নাতি-নাতনিদের জন্য খেলনা কিনে বাড়ি ফিরছেন। মেলার প্রাণচাঞ্চল্যে মুগ্ধতা প্রকাশ করে বলেন, এই মেলায় এত মানুষের সমাগম হয়, ধারণাই ছিল না। বাঘার বাজুবাঘা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গার বাসিন্দা রাব্বি হোসেন। তিনি সুখ্যাতি শুনেই মেলায় এসেছেন। স্ত্রী-ছেলের পাশাপাশি শ্বশুরবাড়ির ছোট শিশুদের নিয়ে এসেছেন। সবাই সুইং চেয়ারে দুলবে। রাব্বি হোসেন বলেন, শিশুদের আনন্দ দেখে নিজের শৈশবের কথাই মনে হচ্ছে বারবার।
মিলিক বাঘার গ্রামের সেকেন্দার আলী (৬৮) এই মেলায় তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। ছোট বেলায় দলবেঁধে মেলায় এসে পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ দেখতেন। ফেরার সময় হাতে থাকত তালপাতা বা বাঁশের তৈরি বাঁশি। সেকেন্দার আলী বলেন, এখন মেলা থেকে তালপাতার বাঁশি কেনা হয় না। শোলার খেলনা, বেতের সরঞ্জাম, মাটির পশু-পাখি মেলায় দেখাই যায় না। 
এই মেলার মিষ্টান্নের সুখ্যাতি আছে। তাই ঈদে বেড়াতে আসা আত্মীয়-স্বজনেরও চাহিদা থাকে। তাদের জন্য ছানার তৈরি জিলাপি, চমচম নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হালিম। 
সোমবার দুপুরে মেলায় পসরা সাজিয়ে বসেন বগুড়ার ওসমান আলী (৭৫)। তিনি বিক্রি করেন পোড়ামাটি ও বাঁশের কাঠি দিয়ে তৈরি ব্যাঙগাড়ি। ষাটের দশকে এই গাড়ি বিক্রি করতেন এক টাকার কমে। ৩৫ বছর ধরে বাঘার এই মেলায় আসেন। এখন তিনি প্রতিটি গাড়ি বিক্রি করেন ১২-১৫ টাকায়। এবার ব্যাঙগাড়ি বিক্রি হয়েছে অনেক কম। 
৪০ বছর ধরে এই মেলায় আসছেন কুষ্টিয়ার বৃত্তিপাড়ার বাসিন্দা নগেশ্বর। তিনি বলেন, ১৫ বছর বয়স থেকে বাঁশের তৈরি জিনিসপত্র নিয়ে মেলায় আসছেন। এবার দিনে গড়ে বিক্রি হয়েছে তিন-চার হাজার টাকার পণ্য। খুলনার কসমেটিকস ব্যবসায়ী মেরাজ গাজী ঈদের তিন দিন আগে মেলায় এসেছেন। সোমবার পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকার বেচাকেনা হয়েছে তাঁর। পাইকারি-খুচরা মিলিয়ে সাড়ে চার লাখ টাকার খেলনা বিক্রি করেছেন সহিদুল ইসলাম। আড়াই লাখ টাকার মতো মিষ্টি-জিলাপি বিক্রি করেছেন সাইফুল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ