বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের পর ছাত্রদের মধ্য থেকেই দাবি করা হয়েছিল, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করা হোক। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পরও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠেছে ছাত্রদের মধ্য থেকেই। এর বহু আগে থেকেও ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি করা হয়েছিল। তবে সমগ্র ছাত্রসমাজ দলমত নির্বিশেষে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি করেছে, তা বলা যাবে না। ছাত্রদের মধ্যে সহিংস ঘটনা বা লেজুড়বৃত্তি রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বা অনৈতিক কর্মকাণ্ড যখন চরম আকারে পরিলক্ষিত হয় কিংবা সাধারণ জনমনে একশ্রেণি ছাত্রের প্রতি চরম ঘৃণার উদ্রেক হয়, তখন ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিও সামনে চলে আসে। এটি সত্য, শাসকগোষ্ঠীর অনুসৃত বা অঙ্গসংগঠন বা সহযোগী ছাত্র সংগঠনের অপকীর্তির কারণেই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি এসেছে বারবার। 

ছাত্র রাজনীতির একটি ছোট্ট ইতিহাস আছে। উনিশ শতকের সত্তর দশকের গোড়ার দিকে এ ভূখণ্ডে ছাত্র রাজনীতি সংগঠিত হতে শুরু করে। ভারতীয়দের মধ্যে সমাজ ও রাজনৈতিক চেতনা বিকাশের স্বার্থে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় একটি ছাত্র সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। জাতীয় কংগ্রেসের উদ্যোগে ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নিখিল বঙ্গ ছাত্র সমিতি। এর আগেও পাশ্চাত্য শিক্ষায় প্রচলিত ধ্যান-ধারণার বিরুদ্ধে ইয়ং বেঙ্গলের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা ছাত্র আন্দোলন ইতিহাসে সাক্ষী হয়ে আছে। ১৯৩২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড.

শহীদুল্লাহর নেতৃত্ব গড়ে তোলা হয় নিখিল বঙ্গ মুসলিম ছাত্র সমিতি। তবে বিশ শতকের প্রথম দিকেই ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী আন্দোলন, স্বদেশি আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতির প্রাসঙ্গিকতা বাড়তে থাকে। ছাত্র রাজনীতি শুধু শিক্ষা সংক্রান্ত দাবির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। ইতিহাসের সেই গড়ে ওঠা ছাত্র সংগঠন ও ছাত্র রাজনীতির ধারাবাহিকতাই আজকের স্বৈরাচারবিরোধী ’২৪-এর গণঅভ্যুত্থান।

আমাদের ছাত্র রাজনীতি কলুষিত হয়েছে। ছাত্র রাজনীতির মধ্যে শিক্ষাগত মান কমেছে। কমেছে নিষ্ঠা, মানবিকতা ও আদর্শবাদিতা। ভীষণভাবে কমেছে আদর্শবাদিতার অব্যাহত চর্চা। স্বার্থবাদিতা ও সুবিধাবাদিতা বিশালভাবে আশ্রয় নিয়েছে ছাত্র রাজনীতির মধ্যে। ছাত্র রাজনীতিকে খুবরে খুবরে খাচ্ছে দিন দিন। গণতান্ত্রিক সহিষ্ণুতা প্রায় উঠেই যাচ্ছে। বেড়েছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন, রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তি, স্বার্থবাদিতা, টেন্ডারবাজি, হিংসাপরায়ণতা ও সহিংসতা। স্বাধীনতার পর থেকেই ছাত্র রাজনীতির এসব নেতিবাচক দিক ক্রমবিকশিত হলেও বেশ কয়েক বছর হলো চরম আকার ধারণ করেছে। অনেক ক্ষেত্রে শাসকগোষ্ঠীগুলোর প্রচ্ছন্ন ছত্রছায়ায়ই ঘটেছে এসব অপকীর্তি। জনগণের অনাস্থা গ্রথিত হতে হতে ক্রমশ ঘনীভূত হয়েছে। ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠেছে সে কারণেই। এ দাবিও নতুন নয়। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি উঠেছে। রাষ্ট্র ও সরকার ব্যবস্থায় বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেও অনেকে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি করে আসছেন। বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়ার অশুভ শক্তি ঘোলাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে মাঝে মধ্যেই ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি নিয়ে সামনে আসে। সাদা চোখে দেখলে এ দাবি মোটেই অমূলক নয়। তবে বিষয়টিকে বিশ্লেষণাত্বক দৃষ্টিভঙ্গিতেই দেখা প্রয়োজন। 


ছাত্র রাজনীতি মানে হচ্ছে, ছাত্রদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলা। ছাত্ররা শিক্ষা গ্রহণ করবে, মেধা চর্চা করবে, মেধার বিকাশ ঘটাবে, গবেষণায় মনোনিবেশ করবে, মুক্তভাবে কথা বলবে, শিক্ষাসংক্রান্ত ন্যায়সংগত দাবি তুলবে, অধিকারের কথা বলবে, সামাজিক ন্যায়বিচারের কথা বলবে, সুশাসনের কথা বলবে, সমাজ প্রগতির পক্ষে সাংস্কৃতিক চর্চা করবে, প্রচার করবে, পরমতসহিষ্ণু হবে, ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী সম্পর্ক স্থাপিত হবে, সংগঠিত হবে, ছাত্র সংসদ নির্বাচনের নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে, নেতৃত্বের বিকাশ ঘটাবে। ক্ষমতাকেন্দ্রিক রাজনৈতিক চর্চা ও সংগঠিত করা ছাত্রদের দায়িত্বের বাইরে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে লেজুড়বৃত্তি ও ছাত্র রাজনীতি এক বিষয় নয়। লেজুড়বৃত্তি ও অন্যান্য নেতিবাচক বিষয় ছাত্র রাজনীতিকে দুর্বৃত্তায়িত করে, কলুষিত করে। এগুলো বন্ধ করতে হবে। শাসকগোষ্ঠীর ইচ্ছার ওপরেই নির্ভর করছে ছাত্র রাজনীতিকে কলুষমুক্ত করা। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর ইতিবাচক ভূমিকা হবে অগ্রগণ্য। লেজুড়বৃত্তি পরিহার করে ছাত্রদের সংগঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 


অন্যদিকে আইন করে এ রকম ছাত্র রাজনীতি বন্ধ থাকলে কালক্রমে মেধাচর্চা বা মেধার বিকাশও রুদ্ধ হতে পারে। মেধার পরিসীমাও সীমাবদ্ধ হয়ে যেতে বাধ্য। ছাত্ররা পাঠ্যক্রমের আওতার মধ্যেই হাবুডুবু খাবে। মেধাশূন্য হয়ে যেতে পারে জাতি। জাতির মেরুদণ্ড ভেঙে যেতে পারে কালক্রমে। মনে রাখতে হবে ছাত্রনেতৃত্বের মধ্য থেকেই সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে। গ্রাম-শহরে সামাজিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে ছাত্রনেতৃত্বের অপরিসীম ভূমিকাকে আমরা অবমূল্যায়ন করতে পারি না। আমরা সবাই জানি, ১৯৫২, ১৯৬২, ১৯৬৯, ১৯৭১, ১৯৯০ ও ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক ছাত্রনেতৃত্বের ভূমিকাই ছিল অগ্রগণ্য। এই অভ্যুত্থানগুলো বাংলাদেশের রাজনীতিতে যে অসামান্য ভূমিকা রেখেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই সামান্য ইতিহাসটুকু আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও সংস্কৃতি বিনির্মাণে ছাত্র রাজনীতির বিরাজমান ঐতিহাসিক ভূমিকা। সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির চর্চার মধ্য দিয়েই তা সম্ভব হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর হীন শ্যেনদৃষ্টি না পড়লে হয়তো ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিই উত্থাপিত হতো না। 


সে জন্য সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সেই ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব সবার। সব বুদ্ধিদীপ্ত মানুষের। সমাজের সব প্রতিনিধিত্বশীল রাজনীতিক, সুশীল ব্যক্তি, পেশাজীবী, সাংবাদিক, ছাত্রনেতৃত্বসহ সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির জন্য গ্রহণযোগ্য বিধিমালা ও প্রয়োগবিধি প্রণয়ন করতে হবে। সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির স্বার্থে ব্যাপক মানুষের মধ্যে প্রণীত বিধিমালা ব্যাপক প্রচার করতে হবে। ছাত্র ও জনগণের মধ্যে সুস্থ মনোভাব প্রস্তুত করতে হবে। জনগণের মধ্যেও সুস্থ মনোভাব প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে ছাত্র রাজনীতির হারানো ঐতিহ্য ও গৌরব ফিরিয়ে আনা সবারই কর্তব্য। সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠার পক্ষে এ দেশেই সংগ্রাম চলছে অব্যাহতভাবে। সংগ্রামের ধারা আরও বিকশিত হোক। আমরা সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতি চাই। 


সিরাজুমমুনীর: জাতীয় পরিষদ সদস্য, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ছ ত র র জন ত স স থ ধ র র ছ ত র র জন ত র ও ছ ত র র জন ত ই ছ ত র র জন ত বন ধ র দ ব র জন ত ক ব যবস থ গ রহণ স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজনৈতিক দলে সংস্কার যে কারণে জরুরি

রাষ্ট্র পরিচালনায় রাজনৈতিক দল মূল ভূমিকায় থাকে। রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে রাজনৈতিক দল। রাজনৈতিক দলের সংস্কার ছাড়া রাষ্ট্র সংস্কার টেকসই, অর্থবহ এবং কল্যাণকর হবে না। স্বৈরাচার পতনের পর তিন জোটের রূপরেখা মেনে চলার ওয়াদা থাকলেও পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক দল এবং জোট ক্ষমতায় বসেছে। প্রতিশ্রুতি রক্ষা না করে জাতির সঙ্গে প্রকারান্তরে প্রতারণা করেছে তারা।
 রাজনৈতিক দল আর দেশের স্বার্থ সমান্তরালে চললে কোনো অসুবিধা হয় না। রাজনৈতিক দলের নীতি ও কাজ দেশের স্বার্থের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হলে তখন রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গ যাতে দেশের স্বার্থ দেখে, সে দলে টিকে থাকতে পারে সে রকম একটা মেকানিজম প্রয়োজন। ১/১১ এর আমলে সংস্কার একটা অশ্লীল শব্দে পরিণত হয়েছিল। কালের পরিক্রমায় আজকে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা বাহ্যিকভাবে হলেও কেউই অস্বীকার করতে পারছে না। 

কোনো কাঠামো পুরোপুরি ধ্বংস করে নতুন করে গড়ে তোলাটাও সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। আবার যে কাঠামো বিদ্যমান ব্যবস্থাতে নেই, সেই কাঠামো নতুন করে প্রতিষ্ঠা করাটাও কিন্তু সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত। সংস্কারের অপব্যাখা দিচ্ছে অনেকে। সংস্কার মানে শুধু বিদ্যমান কাঠামোর পরিবর্তন বা বিদ্যমান কাঠামোর দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির পরিবর্তনই কেবল নয়, এটি অনুধাবন করতে পারাটা জরুরি। এমন কতগুলো বিষয় আছে, যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলের দায় আইনগতভাবে প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার। রাজনৈতিক দল সম্পর্কে স্পষ্ট আইন প্রণয়ন করা জরুরি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ব্যক্তির অর্থ খরচের সীমানা নির্ধারিত। তবে রাজনৈতিক দল এ সময়ে দাঁড়িয়ে কোন খাতে কতটা ব্যয় করতে পারবে, বাস্তবিক প্রেক্ষাপট আমলে নিয়ে তার একটা আইনগত কাঠামো চাই। জাতীয় রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দল সম্পর্কে আইন হওয়াটা জরুরি। অতীতে এরশাদের আমলে জাতীয় রাজনৈতিক ঐকমত্য যা প্রতিষ্ঠা হয়েছিল, তা রক্ষিত হয়নি।  

রাজনৈতিক দল সংস্কার কমিশনের দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর হর্তাকর্তাদের দেওয়া উচিত। জনগণ দেখতে চায়, তারা নিজ দলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দল সংস্কারে কী রকম প্রস্তাবনা নিয়ে হাজির হয় মানুষের সামনে। এ জাতির খুব কমই সৌভাগ্য হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলোকে একসঙ্গে খোলা মনে আলাপ করতে দেখার। সময়ের আবর্তে এই কমিশনের প্রয়োজনীয়তা যেমন অনুভূত হচ্ছে, ঠিক একইভাবে এ কমিশনের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলো একসঙ্গে বৈঠকে বসার একটা চর্চার মধ্যে অন্তত আসবে। 
ভবিষ্যতে প্রয়োজন হলে, দেশ সংকটে পতিত হলে জাতীয় রাজনৈতিক ঐক্য গঠনের তাগাদা কি শাসনের গুরুদায়িত্বে থাকা রাজনৈতিক দল অথবা দলের সমন্বয়ে রাজনৈতিক জোট অনুভব করবে– এর নিশ্চয়তা কে দেবে? রাজনৈতিক দলগুলো যেন ভুলে না যায় হাসিনা দলের পাশাপাশি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক সত্তা এবং ব্যক্তি পর্যায়ে হাসিনার কর্তৃত্ববাদী ও স্বৈরাচারী দুঃশাসনের বিরোধিতাকারীদের ওপর কেমন অত্যাচার চালিয়েছে। যদি মুখ্য শক্তি এবং গৌণ শক্তি নিরূপণের প্রশ্ন আসে তখন, জনগণ মুখ্য রাজনৈতিক শক্তি, আর রাজনৈতিক দল হচ্ছে গৌণ শক্তি। 
সংবিধান পুনর্লিখন অবশ্যই জরুরি। সংবিধানে আছে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগ সহায়তা করবে। সহায়তা না করলে কী হবে, সে বিষয়ে না আছে সংবিধানে কিছু, না আছে অন্য কোথাও কোনো শাস্তির বিধান। 

দেশের স্বার্থরক্ষা না করার পেছনে অতীতে ক্ষমতায় থাকা অনেক রাজনৈতিক দলের ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক দল ও জোট সম্মিলিতভাবে দায়ী। এ দায়বদ্ধতার কোনো বিচারের সুযোগ দেশের বিদ্যমান আইন কাঠামোতে নেই। এ ক্ষেত্রে সংস্কার নয়, বরং নতুন কাঠামোগত ভিত্তি দরকার। সংবিধান, বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, গণমাধ্যম, শিক্ষাসহ সব জায়গা সংস্কার হলেও রাজনৈতিক দল প্রকৃতপক্ষে সংস্কার না হলে দীর্ঘ মেয়াদে অকার্যকর হতে বাধ্য সবকিছু। কারণ, এসব কিছুর ওপর একক বা সম্মিলিত প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে নিয়ন্ত্রণ দিনশেষে দলগুলোর কাছে যাবে। যাওয়াও উচিত। সেই নিয়ন্ত্রণে লাগাম টানার রশিও জনগণের হাতে থাকা উচিত। একটা নিয়ন্ত্রণ অবশ্য আছে। সেটি হচ্ছে, পাঁচ বছর পর ভোট দিয়ে নিয়ন্ত্রণটা এক পক্ষ থেকে নিয়ে অন্য পক্ষের হাতে দিয়ে দেওয়া। কিন্তু এই পাঁচ বছর সময়কালে যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যায়, তা জাতি যুগের পর যুগ টের পেয়েছে অতীতে। সরকারের মেয়াদ কমিয়ে তিন বা চার বছর করাটা যেমন দরকার, একইভাবে ত্বরিত গতিতে যেন নিয়ন্ত্রণের বেপরোয়া বা লাগামহীন অপব্যবহার বন্ধে মানুষ যেন লাগাম টেনে ধরতে পারে, সে ব্যবস্থাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

অ্যাডভোকেট জায়েদ বিন নাসের: সভাপতি, 
বাংলাদেশ ল অ্যালায়েন্স

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘জনগণ নির্বাচনের জন্য মুখিয়ে আছে’
  • ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাবি
  • গাজায় নির্যাতিতদের পক্ষে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর
  • ঢাকা-দিল্লির পদক্ষেপই ঠিক করবে সম্পর্কের গতিপথ
  • রাজনৈতিক দলে সংস্কার যে কারণে জরুরি
  • গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারকে তারেক রহমানের পক্ষে সহায়তা
  • সংস্কার শেষ করেই নির্বাচন হবে: জামায়াত নেতা রফিকুল ইসলাম
  • বগুড়ার সাতটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল জামায়াত
  • বিএনপির অবস্থান কি গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাবিরোধী?