ইসরায়েলেরর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৬ দাবি আগ্রাসনবিরোধীদের
Published: 7th, April 2025 GMT
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে ছয় দফা দাবি জানিয়েছে আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলনের সদস্য সচিব আলামিন আটিয়া বলেন, “এডলফ হিটলার দ্বারা বিতাড়িত ইহুদিদের নিয়ে ১৯৪৮ মুসলমানদের পবিত্র ভূমিকে নিজেদের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে। আজ তারা প্যালেস্টাইনের নারী ও শিশুদের উপর বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ভূমি খালি করে তা দখলে নিয়ে ইসরায়েলকে সম্প্রসারণের অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সচেতন নাগরিক হিসাবে আগ্রাসনবিরোধী আন্দোলন বাংলাদেশ সরকারকে ছয় দফা দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছে।”
আরো পড়ুন:
৬ দাবিসহ মার্কিন দূতাবাস অভিমুখে মার্চ করবে আজাদ ফিলিস্তিন
ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন, প্রশাসনের স্থগিত
এছাড়া, এ বিষয়ে আগামীকাল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- পাসপোর্টে ইসরায়েল সন্ত্রাসী দেশ আখ্যায়িত করে পুনরায় ইসরায়েল প্রবেশ নিষিদ্ধ চাওয়া; ইসরায়েল ও তাদের মিত্রদের সব পণ্যের উপর ১০০% শুল্ক আরোপ করা; ইসরায়েল ভ্রমণ আছে এমন ব্যক্তিদের বিমানবন্দরে বিশেষ জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা।
অন্য দাবিগুলো হলো- মজলুম রাষ্ট্র ফিলিস্তিনের অনুদান পাঠানো সকল পণ্যে শুল্কমুক্ত ঘোষণা করা; এই হত্যাযজ্ঞ বন্ধে বিশ্বনেতাদের নিয়ে ফিলিস্তিনে মহাসমাবেশ করা; ওআইসি, আরব লীগকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার চিন্তা করার আলোচনা তোলা ও জাতিসংঘে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার জন্য তাদের সদস্যপদ বাতিলের দাবি তোলা।
এ সময় অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রয়েল খান, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান মারুফ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি মোহাম্মদ শাকিল, ঢাকা মহানগর প্রতিনিধি হাসিব শিকদার প্রমুখ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল র
এছাড়াও পড়ুন:
তৃতীয় পক্ষের অ্যাপে মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং
বিকাশের মতো তৃতীয় পক্ষের প্ল্যাটফর্মে উচ্চ মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির অভিযোগ এসেছে। ‘মোবাইল প্যাকেজ ওভার চার্জিং: এ কল ফর রেগুলেটরি অডিট অ্যান্ড কনজিউমার প্রোটেকশন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে মোবাইল অপারেটর অ্যাপে তালিকাভুক্ত দাম এবং বাহ্যিক চ্যানেলের মাধ্যমে চার্জ করা মূল্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অসঙ্গতি পাওয়া গেছে।
প্রধান উপদেষ্টার তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এ তথ্য ফেসবুকে জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্যাকেজগুলো অনুমোদিত মূল্যের চেয়ে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি হারে বিক্রি হয়েছিল। মোবাইল অপারেটরের নিজস্ব অ্যাপে ৩০ দিনের ৪৫ জিবি ডেটা প্যাকের দাম ছিল ৪৯৭ টাকা, কিন্তু একই প্যাকটি বিকাশের মাধ্যমে ৫৯৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে, যা ২০ শতাংশ বৃদ্ধি।
১৯৮ টাকায় তালিকাভুক্ত একটি ৭ দিনের ২৫ জিবি প্যাক বিকাশের মাধ্যমে একই দামে ২০ জিবি প্যাক হিসাবে বিক্রি হয়েছিল, যা ৮০ শতাংশ ওভারচার্জ।
২২৭ টাকা মূল্যের একটি সাত দিনের ৪০ জিবি প্যাক বিকাশে একই মূল্যের জন্য ৩৫ জিবি কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ভিত্তি মূল্যের তুলনায় ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি।
৭ দিনের ১০ জিবি এবং ৩-দিনের ৫ জিবি বিকল্পগুলোসহ অন্যান্য প্যাকেজগুলোও ৫৫ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ অতিরিক্ত চার্জে বিক্রি হয়েছে।
ফয়েজ আহমেদ লেখেন, বিটিআরসিতে সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের অধীনে একটি সুষ্পষ্ট প্রাইসিং রেগুলেশন রয়েছে। তার তোয়াক্কা না করে ২০ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত প্রাক্কলন অতিরিক্ত মূল্য আদায় গ্রাহকস্বার্থ ও রাষ্ট্রের সার্বিক স্বার্থবিরোধী বলেই বিবেচিত হওয়া উচিত। বিষয়টি প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের রেগুলেটরি শাস্তির মুখোমুখি করা দরকার বলে।