‘আল্লাহ তুমি রক্ষাকর্তা’, ফিলিস্তিনিদের জন্য মুশফিক-রিয়াদদের প্রার্থনা
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিদের গাজায় অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েল বর্বর হামলা চালাচ্ছে। রকেট হামলার আঘাতে পুরো শহর ধ্বংসস্তূতে পরিণত হয়েছে। শিশু-নারীসহ হাজারো প্রাণ নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করছে। ইসরায়েলের এমন নির্মমতায় বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ হচ্ছে। রাজধানীসহ বাংলাদেশ বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনিদের জন্য সাহায্য প্রার্থনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম, মেহেদী মিরাজ, আফিফ হোসেন। এছাড়া ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া ফেসবুক পোস্টে প্রার্থনা করেছেন।
ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে মুশফিকুর রহিম ফিলিস্তিনের পতাকার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘আল্লাহ, নির্যাতিতদের সাহায্য করুন। আল্লাহ, তুমি তাদের রক্ষাকর্তা। তাদের সাহায্যকারী ও শক্তিদাতা হিসেবে কাজ করো।’
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বিধ্বস্ত গাজার একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ, দয়া করো, সাহায্য করো। হে রাহমানুর রাহিম, হে আল্লাহ, তুমি আমাদের রক্ষাকর্তা। দয়া করে তাদের রক্ষা করো ও বিজয়ী বানিয়ে দাও, আমিন। হে রব, এটা আর সহ্য করা যাচ্ছে না। তুমি আল-আহাদ, আস-সামাদ। হে আল্লাহ, তাদের প্রতি দয়া করো, রক্ষা করো।’
মেহেদী মিরাজ লিখেছেন, ‘গাজার আকাশ বারুদের গন্ধে ভারী। নিস্তব্ধ শিশুরা কাঁদছে নিঃশব্দে। প্রতিটি কান্না প্রতিধ্বনিত হচ্ছে আমাদের হৃদয়ে। আসুন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে কণ্ঠ মিলাই, নির্যাতিতদের পাশে দাঁড়াই, গাজার জন্য আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করি। হে আল্লাহ, গাজাকে শান্তি ও নিরাপত্তা দিন।’
ফিলিস্তিনের ফুটবলারদের সঙ্গে ছবি পোস্ট করে বাংলাদেশ ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া লিখেছেন, ‘তোমরা সবসময় আমাদের হৃদয় ও মনজুড়ে থাকবে। তোমাদের শুভদিনের জন্য প্রার্থনা।’ এছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক আকবর আলী গাজাবাসীর জন্য প্রার্থনা করে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প স ট কর আল ল হ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় দুই মাসে ২১৩ শ্রমিকের মৃত্যু
চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় ২১৩ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৮২ জনের মৃত্যু হয়েছে পরিবহন খাতে। এ ছাড়াও নির্মাণ খাতে ৭ জন ও পোশাক খাতে ৩ জন শ্রমিক মারা গেছেন। এই দুই মাসে কর্মক্ষেত্রে আহত হয়েছেন ১৭০ জন।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে উল্লিখিত তিনটি খাতের বাইরে অন্যান্য খাতে ২১ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া একই সময়ে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন ৭০ জন পরিবহন খাতের, ১৮ জন নির্মাণ খাতের এবং ১২ জন পোশাক খাতের। এ ছাড়াও আহত হয়েছেন অন্যান্য খাতের ৭০ জন শ্রমিক। জাতীয় দৈনিকগুলোয় প্রকাশিত সংবাদের ওপর ভিত্তি করে বিলস এ জরিপ পরিচালনা করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিবছর ২৮ এপ্রিল বিশ্বজুড়ে জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা দিবস বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক স্মৃতি দিবস পালিত হয়। যেখানে কর্মক্ষেত্রে নিহত, পঙ্গু, আহত বা অসুস্থ হওয়া শ্রমিকদের বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। বাংলাদেশেও গতকাল দিবসটি পালিত হয়েছে।