আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই খেলছেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। প্রথম তিনটা মৌসুম ডেকেন চার্জার্স হায়দরাবাদের হয়ে খেলার পর ২০১১ থেকে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসে যোগ দান করেন ঘরের ছেলে রোহিত। অন্যদিকে আইপিএলের একদম প্রথম ম্যাচ থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জার্সিতে খেলছেন কোহলি। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাত ৮টায় আইপিএলের ১৮তম আসরে মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন ভারতীয় ক্রিকেটের এই দুই মহারথি। ম্যাচের আগে এক ভিডিও বার্তায় দুজনের সম্পর্ক নিয়ে আবেগঘন মন্তব্য করলেন কোহলি।
মুম্বাই আইপিএলে সবচেয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর একটি। অন্যদিকে ব্যাঙ্গালুরু দুটি ফাইনাল খেলার পরও শিরোপার ছোঁয়া পায়নি। তবে, এবারের মৌসুমের শুরুটা একেবারে ভিন্নভাবে করেছে ব্যাঙ্গালুরু। মুম্বাইয়ের চেয়ে অনেক বেশি প্রতিশ্রুতি দেখাচ্ছে তাদের। এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে, বিরাট তার এবং রোহিতের সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলেছেন।
ভারতীয় দলে কোহলি ও রোহিতের সম্পর্ক শীতল, এমন অনেক গুঞ্জণ রয়েছে। তাদের মধ্যে দ্বন্দ্বের গুঞ্জনও শোনা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে এই বিষয় খুব চর্চিত ছিল। সেই ব্যাপার গুলো কোহলির এই ভিডিওবার্তার পর খুবই ঠুনকো লাগছে।
আরো পড়ুন:
আরো একটি বিশ্বকাপে খেলার বিষয়ে যা বললেন কোহলি
প্রায় ১৮ বছর পর ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ের ‘অন্যরকম’ হার
কোহলি বলেন রোহিতের সাথে দীর্ঘদিন একসাথে খেলার কারণে, তারা একে অপরের সাথে বিভিন্ন আলোচনা করেন ও শিখেন, “আমি মনে করি, এটি খুব স্বাভাবিক। যখন আপনি কারও সাথে এত বছর খেলেন, তখন খেলা নিয়ে আপনার যে অন্তর্দৃষ্টি থাকে তা, একে অপরের সাথে শেয়ার করেন। একে অপর থেকে শিখেন। সমস্ত ধরনের প্রশ্ন এমনকি কোন ব্যাপারে দ্বিধা থাকলে সেটাও শেয়ার করেন।”
কোহলি আরও জানান, ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতে তারা যখন আলোচনা করতেন, তখন এক ধরনের বিশ্বাস কাজ করত তাদের ভেতর, “আমরা দলের (ভারত) নেতৃত্বের ক্ষেত্রে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি, তাই সর্বদা আইডিয়া নিয়ে আলোচনা হতো। বেশিরভাগ সময়, আমরা একই সিদ্ধান্তে চলে আসতাম। একটি বিশ্বাসের সম্পর্ক ছিল।”
কোহলি আরও বলেন, তিনি বা রোহিত কেউই ভাবেননি যে, তারা ১৫ বছর ধরে দেশের হয়ে খেলা চালিয়ে যাবেন, “আমরা অবশ্যই একসাথে খেলার সময়টা উপভোগ করেছি। তাই আমাদের ক্যারিয়ার দীর্ঘায়িত হয়েছে। যখন আমদের বয়স কম ছিল, তখন এটি নিশ্চিত ছিল না যে, আমরা ১৫ বছর ভারতের হয়ে খেলব। দীর্ঘ ও ধারাবাহিক যাত্রা। আমরা খুব কৃতজ্ঞ এবং খুশি সমস্ত স্মৃতি এবং সমস্ত মুহূর্তের জন্য।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।
সোমবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইট, ফেসবুক পেজ ও এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে দেওয়া পোস্টে এ পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পোস্টে বলা হয়, সোমবার দিনব্যাপী বিক্ষোভ হতে পারে। গাজায় সংঘাতের প্রতিক্রিয়ায় ঢাকাসহ সারা দেশে গণবিক্ষোভে অংশ নেওয়া এবং প্রতিবাদ দেখানোর পরিকল্পনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সম্ভাব্য যানজট ও দূতাবাস অভিমুখে প্রতিবাদ সমাবেশের কারণে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস আজ সোমবার বিকেলের সেবা সীমিত করবে।
পোস্টে আরও বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। মনে রাখা উচিত, শান্তিপূর্ণভাবে করার উদ্দেশ্যে আয়োজিত বিক্ষোভগুলো সংঘর্ষে রূপ নিতে পারে। সহিংসতায় পরিণত হতে পারে।
পোস্টে বলা হয়, মার্কিন নাগরিকদের বিক্ষোভ এড়িয়ে চলা উচিত। যেকোনো বড় সমাবেশের আশপাশে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
সতর্কবার্তায় মার্কিন নাগরিকদের পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পরিকল্পনা পর্যালোচনা করুন। স্থানীয় ঘটনাবলিসহ আশপাশের পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। হালনাগাদ তথ্যের জন্য স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো পর্যবেক্ষণ করুন।
সতর্কবার্তায় কিছু করণীয় পদক্ষেপের উল্লেখ রয়েছে। এগুলো হলো-বিক্ষোভ এলাকা এড়িয়ে চলুন, হালনাগাদ তথ্যের জন্য স্থানীয় গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ করুন, ভিড় এড়িয়ে চলুন, জরুরি যোগাযোগের জন্য সর্বদা চার্জযুক্ত মোবাইল ফোন সঙ্গে রাখুন। এছাড়া এ-সংক্রান্ত যেকোনো সহায়তার জন্য ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।