বলিউড অভিনেত্রী ভূমি পেড়নেকারের গল্পটা শুরু হয়েছিল ১০ বছর আগে ‘দম লাগা কে হাইশা’ সিনেমার মধ্য দিয়ে। ‘দম লাগা কে হাইশা’ ছবিতে তাঁর চরিত্র ছিল সাহসী, বাস্তব আর সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিবিম্ব। সেদিন কেউ ভাবেননি এই মেয়ে একদিন গ্ল্যামার আর ঝলকানিতে ভরা চরিত্রে দাপিয়ে বেড়াবেন। কিন্তু সময় বদলেছে, বদলেছেন ভূমিও। 

তবে একটি জিনিস বদলায়নি– তাঁর আত্মবিশ্বাস। ২০২৫ সালে এসে ভূমি ওয়েব সিরিজ জগতে পা রাখছেন। তাঁকে দেখা যাবে ‘দ্য রয়্যালস’ নামের সিরিজে। এতে তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন ঈশান খট্টার। সম্প্রতি সিরিজটির ট্রেলার প্রকাশের পর এ জুটি নিয়ে ইতোমধ্যে দর্শকদের মধ্যে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সিরিজে অভিনয় প্রসঙ্গে ভূমি বলেন, ‘আমি খুবই রোমাঞ্চিত। এ সিরিজ নিয়ে আমি চাঁদে ওঠার স্বপ্ন দেখছি না, শুধু চাই সবাই কাজটাকে ঠিকভাবে দেখুক। এখন পর্যন্ত যা কিছু প্রকাশ পেয়েছে, তাতে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। ঈশানের সঙ্গে কাজ করাও বেশ আনন্দের।’ 

এ সিরিজে ভূমিকে দেখা যাবে একজন গ্ল্যামারাস ও সফল নারী উদ্যোক্তার ভূমিকায়। এক দশক আগে যে অভিনেত্রী নিজের শরীর নিয়ে সামাজিক বার্তা দিতে সিনেমায় এসেছিলেন, আজ তিনিই ধরা দিচ্ছেন একদম ফ্যাশন-ফরোয়ার্ড, ঝকঝকে এক চরিত্রে। তবে এ পরিবর্তনে তিনি গর্বিত হলেও, আত্মবিশ্বাস হারাননি নিজের পুরোনো রূপে ফিরতে।

ভূমি বলেন, ‘আমি আজকের ভূমি হতে পেরেছি বলেই পুরোনো ভূমিও আজও বাঁচে আমার মধ্যে।’ তবে শুধু গ্ল্যামার নয়, ভূমির পথচলা বরাবরই এক সামাজিক দায়িত্বের সঙ্গী। তিনি বিশ্বাস করেন, তাঁর প্রথম ছবিই তাঁকে এ দিকচিহ্ন দিয়েছিল। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে ভূমি বলেন, “যখন ‘দম লাগা কে হাইশা’ দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলাম, তখন ভাবতেই পারিনি আমি ‘দ্য রয়্যালস’ সিরিজে একদিন এমন একটি চরিত্র করব।

 এ সিরিজে আমি একেবারে নায়িকাসুলভ একটি চরিত্রে আছি। যদি আবার এমন কোনো চরিত্র করতে হয়, যেখানে আমায় নিজেকে বদলাতে হবে, আমি একপলকে রাজি হয়ে যাব। আমার সাফল্য এ পরিবর্তনে নয় বরং এ ব্যাপারে যে, ১০ বছর আগে যে মেয়ে ‘দম লাগা কে হাইশা’ করেছিল, সেই আজ ‘দ্য রয়্যালস’-এর এ চরিত্রও করছে।” ‘দ্য রয়্যালস’-এর মাধ্যমে ভূমি পেড়নেকার শুধু ওটিটিতে অভিষেক করছেন না, বরং প্রমাণ করছেন কোনো ফরম্যাটে নিজেকে আটকে না রেখে, নিজের বিশ্বাস ও স্বকীয়তাই একজন শিল্পীর আসল পরিচয়।
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জয়পুরহাটে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের জয়পুরহাটের আক্কেলপুর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখা থেকে অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত দল। আজ রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা আক্কেলপুরে যান। তাঁরা প্রতারিত গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা গ্রাহকদের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগও নিয়েছেন।

গত ২৩ মার্চ ইসলামী ব্যাংকের আক্কেলপুর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখায় গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ে। শাখার ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকারও করেছেন। পুলিশ সেদিন রাতে ক্যাশিয়ার মাসুদ রানা, এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার ব্যবস্থাপক রিওয়ানা ফারজানা ও এজেন্ট শাখার মালিক জাহিদুল ইসলামকে আটক করে। সেদিন রাতে একজন গ্রাহক থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এক দিন পর তিন আসামি জামিনে মুক্তি পান।

ওই ঘটনা তদন্তে আজ সকালে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা আক্কেলপুরে আসেন। সকালে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনের সড়কে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখার নিচে গ্রাহকদের ভিড়। দুজন ব্যক্তি গ্রাহকদের বক্তব্য শুনছিলেন। কথা বলে জানা যায়, তাঁরা বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়ার উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী ও গোলাম রাব্বী। তাঁরা বলেন, কর্তৃপক্ষ তাঁদের তদন্ত করতে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এই দুই কর্মকর্তা বলেন, তাঁরা পরীক্ষা করে দেখেছেন একটি সিম ব্যবহার করে হুবহু ব্যাংকের মতো করে গ্রাহকদের মুঠোফোনে লেনদেনের খুদে বার্তা পাঠানো হয়েছে। খুদে বার্তা যে ইসলামী ব্যাংকের নয়, সেটি গ্রাহকেরা বুঝতে পারেননি। তাঁরা আরও বলেন, বিভিন্নভাবে গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। ক্যাশিয়ার মাসুদ রানার হিলির ডাঙ্গাপাড়ায় ইসলামী ব্যাংকের একটি এজেন্ট শাখা রয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।

দুপুরের দিকে ইসলামী ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার কর্মকর্তারাও সেখানে আসেন। এরপর এজেন্ট ব্যাংকিং শাখার তালা খোলা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুজন কর্মকর্তা ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভেতরে ঢোকেন। সেখানে তাঁরা প্রতারিত গ্রাহকদের কথা শোনেন ও লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই কর্মকর্তা, ইসলামী ব্যাংক জয়পুরহাট শাখার ব্যবস্থাপকসহ ব্যাংকটির অন্য কর্মকর্তারা সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন। আজ শাখাটিতে কোনো লেনদেন হয়নি।

ইসলামী ব্যাংকের জয়পুরহাট শাখার ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, তাঁরা এখন পর্যন্ত দেড় কোটি টাকা আত্মসাতের কথা জেনেছেন। প্রতারিত গ্রাহকেরা এখনো আসছেন। এ কারণে আত্মসাৎ করা টাকার সঠিক পরিমাণ এখনই বলা যাচ্ছে না।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তা বলেন, আড়াই বছর ধরে কৌশলে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছিল। আত্মসাৎ করা টাকার পরিমাণ পাঁচ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে।

শাহিনুর ইসলাম নামের একজন গ্রাহক বলেন, তাঁর ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। টাকা ফেরতের দাবিতে তাঁরা ১০ এপ্রিল মানববন্ধন করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমণিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: শেখ সাদী
  • ভিউ ব্যবসায়ী সাংবাদিক পরীমনিকে  তাদের রুটিরুজির অংশ বানিয়েছে: সাদী
  • সড়ক দুর্ঘটনায় পথচারী নিহত, মদ্যপ পরিচালক গ্রেপ্তার
  • হাতভাঙার ভুয়া এক্স-রে জমা দিয়ে মামলার অভিযোগ 
  • ম্যারাডোনা: কখনো দেবতা, কখনো বিপ্লবী, আবার কখনো জোচ্চোর ও মাদকসেবী
  • গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ অব্যাহত, নিহত আরো অর্ধশতাধিক
  • গাজায় ১৫ চিকিৎসাকর্মীকে গুলি করে হত্যা, ভুল স্বীকার
  • জয়পুরহাটে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট শাখায় অর্থ আত্মসাতের তদন্ত শুরু