মিয়ানমারভিত্তিক রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বান্দরবানের দুইটি আদালত।

এর আগে, আরসা প্রধানকে প্রথমে বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং পরে বান্দরবান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালত প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী আলমগীর চৌধুরী বলেন, “নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে ২০২২ সালে ১৪ নভেম্বর যৌথ বাহিনীর মাদক বিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই সদস্যকে হত্যা ও অস্ত্র আইনের মামলায় আরসা প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বান্দরবানের আদালতে হাজির করা হয়।”

আরো পড়ুন:

রোহিঙ্গা সংকট: উচ্চপর্যায়ের সম্মেলন করার প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত

টেকনাফে নৌকাডুবি: ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার, বিজিবি সদস্য নিখোঁজ

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রেজাউল করিম মজুমদার বলেন, “নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে মাদক বিরোধী ও ডিজিএফআই সদস্য হত্যা মামলায় তিনি (আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনি) পলাতক ছিলেন। আজ তাকে অতিরিক্ত জেলা দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়েছিল। আরেকটি মামলায় চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে। উভয় আদালত তাকে কারগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।”

গত ১৮ মার্চ নারায়ণগঞ্জে অভিযান চালিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে ডিজিএফআই কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী হত্যাকাণ্ড ও র‌্যাবের এক সদস্যকে আহত করার দুটি মামলা রয়েছে।

ঢাকা/চাইমং/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম ম র জ ন ন ব ন দরব ন র হ জ র কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে, নিরাপত্তা জোরদার

মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিন মামলায় ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার পর তাঁদের আনা হয়।

সেনা কর্মকর্তাদের আনা উপলক্ষে ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেনা, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন সদস্যরা ট্রাইব্যুনাল এলাকায় সকাল থেকে অবস্থান নিয়ে আছেন।

যে তিন মামলায় সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে, এর মধ্যে দুটি গুমের ঘটনায় করা মামলা। এর একটি হলো বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে টাস্কফোর্স ফর ইন্টারোগেশন সেলে (টিএফআই সেল) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা। এই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আসামি ১৭ জন। এ মামলার ১০ আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম এবং কে এম আজাদ; কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে); লে. কর্নেল মো. মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম। তাঁদের আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) গুম করে রাখার ঘটনায় করা মানবতাবিরোধী অপরাধের আরেকটি মামলার আসামি ১৩ জন। এর মধ্যে ১০ আসামি পলাতক। তিন আসামি গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী। তাঁদের আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় আসামি চারজন। এর মধ্যে দুজন গ্রেপ্তার আছেন। তাঁরা হলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ রেদোয়ানুল ইসলাম ও মেজর মো. রাফাত-বিন-আলম। তাঁদের আজ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে, নিরাপত্তা জোরদার