খুলনায় বাসার সামনে থেকে কলেজছাত্রীকে তুলে নিয়ে নির্যাতন
Published: 7th, April 2025 GMT
খুলনায় বাসার সামনে থেকে এক কলেজছাত্রীকে (১৭) জোর করে তুলে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পরে ছাত্রীটির চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করেন। সে খুলনা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
ভুক্তভোগী কিশোরী খুলনা নগরে তার খালার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে। তার খালু প্রথম আলোকে বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে সে (কলেজছাত্রী) বাইরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় কয়েকজন যুবক তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায়। ওই যুবকেরা আগ থেকে বাড়ির সামনে ওত পেতে ছিল। তারা মেয়েটির সঙ্গে পড়াশোনা করত। এর আগেও তারা বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিয়েছিল।
কলেজছাত্রীর বরাত দিয়ে তার খালু আরও বলেন, খুলনা নগরের আমতলা এলাকায় নিজেদের বাড়িতে নিয়ে তাকে আটকে রাখে এক যুবক। এ সময় তাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। পরে মেয়েটির চিৎকারে আশপাশের লোক এগিয়ে আসেন এবং তাকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মেয়েটিকে বাসায় নেওয়া হয়েছে। তাঁরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কলেজছাত্রীর খালু অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবকের বাবা মুঠোফোনে যোগাযোগ করেছেন এবং ব্যাপারটি মীমাংস করার প্রস্তাব দিচ্ছেন।
অভিযুক্ত যুবকের বাবা আইনজীবী। অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি মুঠোফোন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি আদালত থেকে বের হলাম। এ ব্যাপারে কিছু জানি না।’ তবে মেয়েটির খালুর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানোয়ার হুসাইন বলেন, ‘এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিচার বিভাগের সংস্কার না করলে কোনো সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না: প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, আজ বিভিন্ন খাতে সংস্কারের প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু সবার আগে বিচার বিভাগের স্থায়ী সংস্কার না করা হলে কোনো বিভাগের সংস্কার স্থায়িত্ব পাবে না। বিচার বিভাগের সংস্কার শব্দটা এখন সংস্কারের প্রতিশব্দ হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থায় আইনগত বেশ কিছু জটিলতা রয়েছে। সেগুলো নজরে এসেছে; এগুলো সংস্কার করা হবে।
আজ সোমবার দিনাজপুরের হাকিমপুরে মহিলা ডিগ্রি কলেজে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘দেশের বহু মেধাবী শিক্ষার্থী শুধু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে মেধার স্বাক্ষর রাখতে পারে না। আর্থিক অসচ্ছলতা যাতে কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয় সে জন্য শিক্ষাবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আমাদের লক্ষ্য একটাই, শিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে মেধাবী ও পরিশ্রমী শিক্ষার্থী গড়ে তোলা।’
কলেজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার আজিজ আহমেদ ভূঁঞা, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার হাসানুজ্জামান, দিনাজপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আলমগীর কবির, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুলফিকার উল্লাহ, দিনাজপুর জেলা প্রশাসক রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মারুফত হোসাইন ও হাকিমপুরের ইউএনও অমিত রায়।