ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ সাদিয়া জাহান প্রভা। একসময় নিয়মিত টিভি নাটকে অভিনয় করলেও এখন অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সরব তিনি। সমসায়িকা বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করেন এই অভিনেত্রী। 

প্রভার দৃষ্টিতে, সালমান মুক্তাদির আর ক্রিকেটার নাসির হোসেন ছাড়া তেমন কোনো পুরুষ মানুষ দেখতে পান না, যারা তাদের জীবনসঙ্গীকে প্রাপ্য সম্মান দিয়েছেন।

সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রভা তার ফেসবুক একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেন, “সালমান মুক্তাদির আর ক্রিকেটার নাসির ছাড়া আমি বাংলাদেশে (জীবনসঙ্গীকে সম্মান করা) তেমন কোনো পুরুষ মানুষ দেখতে পাইনি, যারা নিজের সম্মান ক্যারিয়ারের অজুহাত না দেখিয়ে, জীবনসঙ্গীকে প্রাপ্য সম্মান ও নিরাপত্তা দিয়েছে। যাক আরেকজন পুরুষ দেখতে পেলাম। আমি দোয়া করি ছেলেটা এমনই থাকুক, এ রকম একটা সাপোর্টটিভ পার্টনার প্রত্যেকটা মানুষেরই কাম্য।”

আরো পড়ুন:

মাকে হারালেন জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ

৬ দিনে সালমান-রাশ্মিকার সিনেমার আয় কত?

সালমান ও নাসিরের পর কাকে দেখে প্রভার এমন উপলব্ধি তা জানাননি প্রভা। যদিও তার পোস্ট শেয়ার করে মন্তব্যের ঘরে দুই-একজন নেটিজেন লিখেছেন তরুণ গায়ক শেখ সাদীর নাম।

সম্প্রতি পরীমণির বিরুদ্ধে তার তথাকথিত গৃহকর্মী পিংকির আনা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সরব হয়েছেন শেখ সাদী। সমর্থন করেছেন অভিনেত্রীকে। সেই সঙ্গে পরীমণিকে নিয়ে ভুল তথ্য ছাড়ানোর প্রতিবাদও জানিয়েছেন তিনি। অনেকের ধারণা, সম্ভবত সাদীর এই কার্যক্রম দেখেই সামাজিক মাধ্যমে পোস্টটি দিয়েছেন প্রভা।

পরীমণির সঙ্গে শেখ সাদীর প্রেমের গুঞ্জন সবার জানা। অভিনেত্রীর সুখে-দুঃখেও পাশে থাকতে দেখা যায় সাদীকে। এর আগে মামলায় পরীমণির জামিনদারও হয়েছিলেন এই তরুণ গায়ক।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ