ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে তাসকিন–মুশফিকরা
Published: 7th, April 2025 GMT
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংস হামলার প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে গোটা বিশ্ব। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ইসরায়েলের মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ-সমাবেশ। ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি জানিয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বিভিন্ন অঙ্গনের তারকারাও।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে ফিলিস্তিনের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ, মুশফিকুর রহিম এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এরই মধ্যে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ পোস্টার পোস্ট করে ক্যাপশনে তাসকিন লিখেছেন, ‘একজন মানুষ ও মুসলমান হিসেবে আমি ফিলিস্তিনের নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। শান্তি, ন্যায়বিচার ও মানবতার জয় হোক—এই প্রার্থনা।’
আরও পড়ুনফিলিস্তিন ফুটবলের ‘লায়ন’কেও মেরে ফেলল ইসরায়েলি বাহিনী১৪ মার্চ ২০২৪ফিলিস্তিনিদের জন্য আল্লাহর সহায়তা চেয়ে পোস্ট দিয়েছেন উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ফিলিস্তিনের পতাকা পোস্ট দিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘হে আল্লাহ নির্যাতিতদের সব জায়গায় সাহায্য করুন। হে আল্লাহ তাদের রক্ষক, সাহায্যকারী, সমর্থক এবং শক্তিদানকারী হোন।’
এর আগে গতকাল গাজায় হামলার একটি প্রতীকী ছবি পোস্ট করে আল্লাহর সাহায্য কামনা করেছেন ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ। কদিন আগে ওয়ানডেকেও বিদায় জানানো মাহমুদউল্লাহ লিখেছেন, ‘ইয়া আল্লাহ, দয়া করে সাহায্য করুন, সাহায্য করুন। হে করিম, হে রহমানুর রহিম, সাহায্য করুন, সাহায্য করুন। হে আল্লাহ আপনি আমাদের রক্ষক। আপনি তাদের রক্ষা করুন এবং তাদের জয়ী করুন আমিন।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স হ য য কর ন আল ল হ
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের দুর্ভাগ্য, পেহেলগামের ঘটনায় সবর্দলীয় সভায় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থাকলেন না: কংগ্রেস সভাপতি
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামের হামলা ‘কাশ্মীরিয়ৎ’–এর ওপর আক্রমণ। জম্মু–কাশ্মীর বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে আজ সোমবার সর্বসম্মতিক্রমে পাস করা এক প্রস্তাবে এ কথা বলা হয়েছে। প্রস্তাবে এ কথাও বলা হয়েছে, ওই ঘৃণ্য ও জঘন্য আক্রমণের মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার কূটনৈতিক স্তরে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার তা অনুমোদন ও পূর্ণ সমর্থন করছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সর্বদলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত থাকায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করেছেন কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে।
জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার অধিবেশনে প্রস্তাবটি পেশ করেন উপমুখ্যমন্ত্রী সুরেন্দ্র চৌধুরী। পেহেলগামের ঘটনায় নিহতদের স্মৃতিতে কিছু সময় নীরবতা পালন করা হয়। ওই হামলায় নিহত স্থানীয় ঘোড়াওয়ালা সৈয়দ আদিল হুসেন শাহর সাহসিকতা ও মানসিকতার বিশেষ উল্লেখ করে বলা হয়, সন্ত্রাসীদের হাত থেকে নিরীহ পর্যটকদের বাঁচাতে তিনি বীরের মতো প্রাণ দিয়েছেন। দেশের সংবিধানে যে মূল্যবোধের কথা বলা হয়েছে, ওই হামলা ছিল তার প্রতি আক্রমণ। কাশ্মীরি জনতার যাবতীয় মূল্যবোধ, মানবিকতা, সৌভ্রাতৃত্ববোধ, শালীনতা—এককথায় যা ‘কাশ্মীরিয়ৎ’ বলে পরিচিত, ওই আক্রমণের লক্ষ্য ছিল তাতে আঘাত করা। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা।
পেহেলগামের হামলার পরদিন ভারত যা কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, যেমন সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত রাখা, ভিসা বাতিল করা ও অন্যান্য কূটনৈতিক পদক্ষেপ, প্রস্তাবে তার প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানানো হয়।
পেহেলগামের সন্ত্রাসী হানার পর কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিল। সেই বৈঠকে উপস্থিত সব বিরোধী নেতা এই সন্ধিক্ষণে সরকারের পাশে দৃঢ়ভাবে দাঁড়ানোর কথাও জানিয়েছিলেন। প্রত্যেকেই বলেছিলেন, পরিস্থিতির মোকাবিলায় সরকার যা উপযুক্ত মনে করবে, বিরোধীদের তাতে সম্মতি থাকবে।
কিন্তু সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত ছিলেন না। তাঁর সেই অনুপস্থিতির কড়া সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সোমবার রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরে এক অনুষ্ঠানে সেই প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, দেশের দুর্ভাগ্য, সব দলের নেতারা পেহেলগাম নিয়ে ডাকা সভায় উপস্থিত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি ব্যস্ত ছিলেন বিহারে ভাষণ দিতে।
খাড়গে বলেন, দেশ সবার আগে। তারপর দল বা ধর্ম। দেশের জন্য সবার জোটবদ্ধ থাকা জরুরি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, যখনই দেশ এগোতে থাকে, এ ধরনের লোকজন চেষ্টা করে তাদের পিছু টানতে। কংগ্রেসকে ওইভাবে দমানো সম্ভবপর নয়।
বিজেপির সমালোচনা করে খাড়গে বলেন, কংগ্রেস ঐকবদ্ধতার প্রয়োজনীয়তার কথা বলে, ওরা দেশকে ভাঙার চেষ্টা করে। কংগ্রেস সংবিধান রক্ষার কথা বলে, ওরা অমান্য করতে চায়।