নাটোরের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক প্রান্তজন-এর সম্পাদক ও কলেজ শিক্ষক সাজেদুল ইসলাম সেলিমের ওপর হামলা চালিয়ে দুই হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় বিএনপির এক নেতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী। রবিবার (৬ এপ্রিল) রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রকলা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়। গ্রেপ্তার দুইজন হলেন, সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি আক্কাস আলী এবং ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী আব্দুর রউফ ওহাব।

সাজেদুর রহমান সেলিম নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে বরিবার রাত ৯টার দিকে সাতজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের নামে মামলা করা হয়।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর নেতৃত্বে উদ্ধার ও চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত

মিয়ানমারে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্ধার ও মেডিকেল সেবা অব্যাহত

নাটোর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, বরিবার বিকেলে কলেজ শিক্ষক সেলিমের ওপর হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে যৌথবাহিনী। রাতে ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্তসহ দুইজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। সেনা সদস্যরা সদর থানা পুলিশের কাছে আসামিদের হস্তান্তর করেছে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

রবিবার দুপুরে সদর উপজেলার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক ও নাটোর প্রেস ক্লাবের উপদেষ্টা, নাটোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক প্রান্তজন পত্রিকার সম্পাদক সাজেদুর রহমান সেলিমের ওপর স্থানীয় বিএনপি কর্মী আব্দুল ওহাবের নেতৃত্বে ৮-১০ জন হামলা চালায়। হামলায় তার দুই হাত ভেঙে যায়। 

সাজেদুল ইসলাম সেলিম আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। অভিযুক্তরা তাকে শিক্ষকতার জন্য কলেজে আসতে নিষেধ করেন। এ নিয়ে দ্বন্দ্বে তার ওপর হামলা করা হয়।

ঢাকা/আরিফুল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

এই কঠিন সময়ে ঐক্য ধরে রাখা প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির ঐক্য রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।

উপাচার্য বলেন, ‘আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করছি। এক অর্থে জাতির জন্য এটি একটি ক্রান্তিকাল। এই সময়ে আমাদের ঐক্য ধরে রাখা একান্তই প্রয়োজন।’

আজ রোববার সকালে রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের কাছে নিয়াজ আহমেদ খান এ কথা বলেন।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস জাতির জন্য পরম শ্রদ্ধা, কৃতজ্ঞতা ও মমতার দিন। এক গভীর ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, চিন্তাবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছিলেন। তাঁদের সেই চূড়ান্ত আত্মত্যাগ ইতিহাসে চিরভাস্বর হয়ে আছে।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, যুগে যুগে ও প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ এ জাতিকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ করেছে এবং সাহস জুগিয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় জাতি ১৯৯০ ও ২০২৪ সালের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অগ্রসর হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজও জাতির ঐক্য ধরে রাখার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোকবর্তিকা। একই সঙ্গে ১৯৫২, ১৯৬৮, ১৯৬৯, মহান মুক্তিযুদ্ধসহ প্রতিটি আন্দোলন–সংগ্রামে যাঁরা রক্ত ও জীবন দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও মর্যাদা রক্ষা করেছেন, তাঁদের সবার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা।

নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, ১৯৫২ থেকে ২০২৪—এর প্রতিটি দিন ও ঘটনাপ্রবাহ জাতির মৌলিক পরিচয়ের মাইলফলক। এর কোনো অংশ বাদ দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ইতিহাসই যুগে যুগে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছে, আর বর্তমান সময়ে সেই ঐক্য ধরে রাখাই সবচেয়ে বড় প্রয়োজন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ